সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: অক্টো ৬, ২০১৮ @ ২১:৫৫
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৬ অক্টোবরঃ বন্যপ্রাণ রক্ষায় সারা রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর বন দফতর কতটা তৎপর তার জন্য কোনও তথ্যের দরকার নেই। ঘটনাই যথেষ্ট। এই জেলা লাগোয়া বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকা জুড়ে বন্যপ্রাণের অস্তিত্ব। অথচ সেই বন্যপ্রাণকে কিভাবে রক্ষা করা যায় তার কোনও প্রয়াস কিন্তু আজ পর্যন্ত চোখে পড়েনি বন্যপ্রাণ প্রেমীদের মধ্যে।কখনও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হত্যা আবার কখনওবা হাতির মৃত্যু ঘিরে বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনটাই অভিযোগ বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের।
গতকাল শালবনীর গড়মাল অঞ্চলে একটি হস্তিশাবকের মৃত্যু হয়েছিল। ৩০টি হাতির দল এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। তারপর আজ ফের নয়াগ্রামে আরও একটি পূর্ণ বয়স্ক হাতির মৃত্যু হল। নয়াগ্রাম ব্লকের বড়খাঁকড়ি অঞ্চলের কাঁথি গ্রামের ধানক্ষেতে এই পূর্নবয়স্ক হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করে বন দফতর।এদিন সকালে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ধানক্ষেতে। হাতিটির শুঁড়ে রক্তের দাগ রয়েছে। হাতি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
এই জায়গাতেই প্রশ্ন উঠছে যে হাতিগুলি আপনা আপনাই মারা যাচ্ছে? না কি তাদের কেউ মেরে ফেলছে নাকি কৌশলে মারা হচ্ছে? নাকি বন দফতর বিষয়টি সব জেনেও না জানার ভান করছে শুধু মাত্র নিজেদের পিঠ বাঁচানোর লক্ষ্যে? এই প্রশ্নগুলি কিন্তু এখন উঠছে। যদিও বন দফতর এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন বোধ করছে না।
বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের আরও প্রশ্ন- মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম জেলা জঙ্গল লাগোয়া জেলা। মাঝেমধ্যেই এখানে হাতির দল খাবারের সন্ধানে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ে। তখন তাদের দ্বারা এলাকায় ক্ষতি হয় ঠিকই কিন্তু তাদের জন্য আজ পর্যন্ত বন দফতর সত্যি করে কিছু ইতিবাচক কাজ করেছে কি? ওরা ক্ষতি করছে তাই বলে কৌশলে ওদের হত্যা করা হবে? এর সঠিক তথ্য প্রমাণ এখনও কেউ যোগাড় করতে না পারলেও কিন্তু কারও বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না হাতিগুলির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে চলেছে। এর বিরুদ্ধে বন দফতর কি কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে?
Published on: অক্টো ৬, ২০১৮ @ ২১:৫৫