
সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল
Published on: মার্চ ৫, ২০১৮ @ ০৯:১১
সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল
এসপিটি নিউজ, মাদিনীপুর, ৫ মার্চঃ দক্ষিণ রায়কে খাঁচা বন্দি করা যে অত সহজ নয় সেটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে মেদিনীপুর বন দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে সুন্দরবন থেকে আসা অভিজ্ঞ বন কর্মীরাও। যেভাবে লালগড়ের জঙ্গলে সকলকে ফাঁকি দিয়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি সোজা মেদিনীপুর সদর ব্লকে গৃহস্তের দোরগোরায় এসে হাজির হয়েছে তা নিয়ে আতঙ্ক এখন চরম আকার নিয়েছে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার ভেড়ুয়া অঞ্চলের শিয়ারবনি এলাকায় এক গৃহস্তের বাড়ির গোয়ালঘরের কাছে শেহ রাতে দেখা গেছে বাঘটিকে। সকালেই সেখানে এসে বাঘটির পায়ের ছাপ নিয়ে গেছে বন দফতরের কর্মীরা।
সবাই যখন বাঘটিকে নিয়ে লালগড়মুখী হয়ে বসে আছে, বন দফতরের আধকারিক থেকে শুরু করে বন কর্মীদের নজর যখন রয়েছে লালগড়ের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির দিকে। ঠিক সেই সময় ঘটে গেল সেই রোমহর্ষক ঘটনা। শেষ রাতে বাড়ির গোয়ালঘর থেকে গরুর চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায় গৃহকর্তা অরবিন্দ মাহাতর।গতকালই এখানে এস গেছিল এক পাল দাঁতাল হাতি। তাই হাতির ভয়ে কাছে রেখেছিলেন বর টর্চ।
গরুর চিৎকার শুনে ঘর থেকে তিনি বেরিয়ে এসে টর্চের আলো ফেলতেই তার চোখ ছানা বড়া হয়ে যায়।তার নিজের কথায়, আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। দেখি বিশাল বড় একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আমাদের বাড়ির গোয়ালঘরের সামনে থেকে বক্সির জঙ্গলের দিকে চলে যাচ্ছে। গোয়ালঘরের দিকে তাকিয়ে দেখি একটি গরু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছটফট করছে।
এই এলাকাতেই বাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরেন্দ্র নাথ মাইতির বাড়িও। তিনিও এই ঘটনায় রীতিমতো শঙ্কিত। কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। এরমধ্যে বাঘটি সকালে এলাকায় বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হানা দেয়। মেদিনীপুরে এসে সে এলাকা পরিক্রমা শুরু করেছে। বন দফতর তাকে নিয়ে নাজে হাল হয়ে পড়েছে। সে যেভাবে টুকিটুকি খেলছে তা নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে বন দফতর।
Published on: মার্চ ৫, ২০১৮ @ ০৯:১১