Published on: এপ্রি ২২, ২০১৮ @ ১১:০৯
এসপিটি নিউজ, রেকংপিও(হিমাচল প্রদেশ), ২২ এপ্রিলঃ এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় রেকংপিও-তে সরকারি বাস নদীতে পড়ে গিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলার পাহাড়ি স্থান রেকংপিওতে এই দুর্ঘটনা ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাত লাগায় সেনা ও প্রশাসনের লোকজন। মৃতদের তিনজনের পরিচয় জানা গেছে।
হিমাচলপ্রদেশের অনলাইন সংবাদমাধ্যম দিব্য হিমাচলে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গেছে, হিমাচল পথ পরিবহন নিগমের একটি যাত্রীবাহী বাস শনিবার সন্ধ্যায় লিয়ো সম্পর্ক মার্গ দিয়ে রেকংপিও-র দিক থেকে হাঙ্গোর দিকে যাচ্ছিল।বাসটিতে ১৪জন যাত্রী ছিল। কিন্তু বাসটি পাথরের গায়ে ধাক্কা লাগতেই সাতজন নেমে পড়ে।তখন বাসের চালক বাসটিকে পিছনের দিকে করতে থাকে। কিন্তু আচমকা চালকের হাত থকে বাসটি নিয়ন্ত্রণহীণ হয়ে পড়তেই বাসটি সোজা গড়িয়ে নীচে স্পীতি নদীতে পড়ে যায়।ঘটনাস্থলেই বাস চালক সহ চারজনের মৃত্যু হয়। তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যে তিনজন মৃতের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- কিন্নর জেলার হাঙ্গো গ্রামের উধমমোনী, লিয়ো গ্রামের ভগবান সিংহ, কাংরা জেলার বাসিন্দা বাস চালক নন্দলাল। বাকি একজনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আহতদের পরিচয় জানা গেছে। যাদের মধ্যে আছেন বাস কন্ডাকটর অজয় কুমার, জঙ্গমো নেপাল তথা আশু।
ঘটনার খবর পাওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ডা. অবিন্দ্র শর্মা ঘটস্থলে পৌঁছে যান। তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে ১০ হাজার ও আহতদের পরিবারকে হাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এই দুর্ঘটনা চালকের অসতর্কতার জন্যই ঘটেছে। কারণ, হিমাচলের রাস্তা এখন অনেক উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর এক প্রতিনিধি হিমাচলপ্রদেশের কিন্নর জেলা পরিদর্শন করে এসেছেন। সেখানে তিনি দেখেছেন, রাস্তার ধারে কিভাবে লোহার গার্ডোয়াল দিয়ে রাখা হয়েছে। সেই কাজ চলছে গোটা হিমাচল জুড়ে। বর্তমানে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এই সড়ক। প্রশাসনিক তৎপরতা আছে যথেষ্ট।এই দুর্ঘটনা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করা হচ্ছে। এতে পর্যটকদের ভয়ের বা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।
Published on: এপ্রি ২২, ২০১৮ @ ১১:০৯