
সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: মার্চ ২৫, ২০১৮ @ ২৩:৫৩
এসপিটি নিউজ, খড়্গপুর, ২৫ মার্চঃ আগের দিন খড়্গপুরে বাইক র্যালি করে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে তিনি বলেছিলেন রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হবে কারও ক্ষমতা থাকলে সেই মিছিল আটকে দেখাক। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সেই হুঙ্কারের সামনে রবিবার সত্যি পুলিশ প্রশাসন কার্যত নীরব দর্শক হয়েই ছিল। পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে হাতে তীর-ধনুক, ত্রিশূল, তরোয়াল নিয়ে গোটা খড়্গপুর শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়ালেন দিলীপ ঘোষ। সেইসঙ্গে ফের হুঙ্কার দিয়ে বললেন, রামের হাতে অস্ত্র ছিল তাই পম্পরা মেনে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা হয়েছে। এতে অন্যায় কোথায়? এই মিছিল বন্ধ করলে তৃণমূল কংগ্রেস সমূলে উৎখাত হয়ে যাবে।
রবিবার খড়্গপুরে ১৪টি আঁখড়া থেকে রামনবমীর মিছিল বের হয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দেখা যায় খনও হাতে তীর-ধনুক, কখনও তরোয়াল, কখনও ত্রিশূল, আবার কখনও গদা নিয়ে ক্যামেরা বন্দি হতে। তাঁর সঙ্গে দেখা গেছে ত্রিশূল হাতে আর এক বিজেপি নেতা জয় ব্যানার্জিকে।
অস্ত্র হাতে দিলীপ ঘোষ একটি আঁখড়ায় গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অযোধ্যায় খুব শীঘ্রই রামমন্দির তৈরি হবে। বাংলায় রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। রামকে বাংলায় যত আটকাবে ততই ক্ষতি হবে তৃণমূলের। দিলীপের কটাক্ষ রামকে আটকানোর জন্য খড়্গপুর তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর এবার হাতছাড়া হবে তৃণমূলের বলে হুঙ্কার ছাড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
এরপর দিলীপ ঘোষের আস্ফালন, রামের হাতে অস্ত্র ছিল। তাই পরম্পরা মেনে আগেও অস্ত্র নিয়ে রামনবমীতে মিছিল হয়েছে আজকেও হচ্ছে এতে অন্যায় কোথায়। দিলীপের ফের হুঙ্কার এভাবে রামকে বাধা দিলে তৃণমূল আগামিদিনে বাংলা থেকে সমূলে উৎখাত হয়ে যাবে।
দিলীপ ঘোষ এদিন অভিযোগ করে বলেন, আঁখড়ায় অংশ নেওওয়ার জন্য তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলার তাদের বাবাড়ির জলের লাইন বন্ধ করে দেয়। যদিও তার এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা আর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার।
তবে এদিনের অস্ত্র মিছিলে যারা অংশ নিয়েছিল সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন।তাতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম থাকছে কিনা সেব্যাপারে কিন্তু পুলিশ কোনও জবাব দিতে পারেনি।
Published on: মার্চ ২৫, ২০১৮ @ ২৩:৫৩