রবিবারের বৃষ্টিতে সিমলায় শীতের আমেজ, বয়স্কদের ছিটকুল দেখাতে হাজির কুণডু স্পেশালও

দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

 

Published on: এপ্রি ৮, ২০১৮ @ ১৬:৩৫

এসপিটি নিউজ, সিমলা, ৮ এপ্রিলঃ  মাত্র কয়েক পশলা বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে গেছে হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলায়। রবিবার সকালে তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির কাছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সারা দিন ধরেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী সিমলায়। শীতের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর ভারতের এই শৈল শহরে। ছোট-বড় একাধিক ট্যুর অপারেটর কলকাতা থেকে ভ্রমনার্থীদের নিয়ে এসেছে। তবে সব ট্যুর অপারেটরদের মধ্যে নজর কেড়েছে ভারতের পর্যটন ব্যবসার পথিকৃত কুণডু স্পেশাল। রবিবার তারা প্রবীণদের নিয়ে হাজির হয়েছে সিমলায়।তাদের গন্তব্য কিন্নর-কল্পা। মূল গন্তব্য ভারত-তিব্বত সীমান্তের শেষ গ্রাম ছিটকুল দর্শন। মনে করা হচ্ছে এবারের মরসুমে কুণডু হতে চলেছে প্রথম ট্যুর অপারেটর যারা শুধুমাত্র বয়স্ক পর্যটকদের নিয়ে এই জায়গায় পৌঁছতে চলেছে।

দেশে একাধিক ভ্রমণ সংস্থা আছে। ভ্রমণের আয়োজন ও করেন অনেক সংস্থাই। কিন্তু একেবারে সুন্দর পরিকাঠামোর মধ্যে সব রকমের অসুবিধা দূর করে ভ্রমনার্থীদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য। আর সেই ঐতিহ্য তারা বজায় রাখল এবার এক অভিনব ট্যুরের মাধ্যমে। যেখানে তারা শুধুমাত্র বয়স্কদের সঙ্গে নিয়ে রওনা হয় হিমাচল প্রদেশ। রবিবার তারা পৌঁছেছে সিমলায়। যেখানে এদিন বেশ কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে পারদ বেশ খানিকটা নেমে গেছে। বলা যেতে পারে, কলকাতার ভ্রমনার্থীদের কাছে এও এক বিশেষ পাওনা।যেখানে তারা পেয়েছে শীতের আমেজ। এই বয়স্কদের বেশিরভাগেরই বয়স সত্তরের কাছাকাছি কিংবা তার উপরে।

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই ট্যুরকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তার কারণ-১) কুণডু স্পেশালের ব্যবস্থাপনা সবার থেকে আলাদা। কালকা মেলে দেখা গেছে, অন্য ট্যুর অপারেটররা যেখানে তাদের ভ্রমনার্থীদের রাতের খাবার পরিবেশন কিংবা দিচ্ছে তাতে খাওয়া খুবই অসুবিধার। সেখানে কুণ্ডু স্পেশাল বিশেষ প্যাকেটে এক একটি খাবারের আইটেমের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রেখেছে। যার ফলে কুণ্ডুর বয়স্ক ভ্রমনার্থীরা যে স্বাচ্ছ্যন্দ্য নিয়ে খেয়েছেন সেটা অন্য ট্যুর অপারেটররা দিতে ব্যর্থ হয়েছে.২) বয়স্ক ভ্রমনার্থীদের যাতে তাদের লাগেজ বইতে না হয়, তার জন্য কুণ্ডু স্পেশাল এক অভিনব ব্যবস্থা করে। যেখানে তারা ট্রেনের মধ্যেই ভ্রমনার্থীদের হাতে লাগেজ অনুযায়ী নিজেদের লেটার হেডের ট্যাগ দিয়ে দেয়, যেখানে সেই ভ্রমনার্থীরা তাদের নাম, ফোন নম্বর লিখে দিয়ে লাগেজ কুণ্ডুর হেফাজতে দিয়ে দিতে পারেন। কুণ্ডূ স্পেশালের লোকজন সেই লাগেজ হোটেলের নির্দিষ্ট ঘরে যেখানে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে দিয়ে আসে। ফলে এই ভারী লাগেজ গোটা ট্যুরে কোথাও বয়ে বেড়াতে হয় না.৩) এরপর আছে গাড়ির ব্যস্থা। যেখানে একটি বড় বাসের পরিবর্তে কুণডু স্পেশাল ভ্রমনার্থীদের জন্য ছোট ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করে থাকে। এবারের বয়স্কদের ট্যুরে যা বেশ নজর কেড়েছে।

যার ফলে বয়স্ক ভ্রমনপিপাসুদের কাছে কুণ্ডু স্পেশাল ছাড়া কিছুই হয় না। তেমনই এক বয়স্ক ভ্রমনার্থী দমদমের বেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা অরুণাভ গুপ্ত তো পরিষ্কার বলেই দিলেন-“আমি কুণ্ডুর সঙ্গে এ পর্যন্ত ১০টি ট্যুর করেছি। সত্যি কথা বলতে কি, এদের আতিথেয়তা, আন্তরিকতা আর আপ্যায়নে কোনও খামতি পাইনি। তাছাড়া কুণ্ডুর স্পেশাল যে পরিষেবা দিয়ে আসছে তা অন্য কোনও ট্যুর অপারেটর দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাই কুণ্ডু আছে কুণডুতেই। আমি তাই অন্য কারো সঙ্গে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না। আরো এক বয়স্ক ভ্রমনার্থী জানালেন, তিনিও কুণ্ডুর সঙ্গে আটটি ট্যুর করে ফেলেছেন। ইচ্ছে আছে আরও অনেক ট্যুরে যাওয়ার।“

Published on: এপ্রি ৮, ২০১৮ @ ১৬:৩৫

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

44 − 41 =