Published on: ডিসে ৭, ২০২০ @ ২১:৫৯
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৭ ডিসেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেস দল ছেড়ে অনেকেই বেরিয়ে গেছে। আবার অনেকি আবার পা বাড়িয়ে আছে। এদের বেশির ভাগই যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। মেদিনীপুর সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে একদিকে যেমন দলের সেই সমস্ত নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন ঠিক তেমনন ভাবেই বিঁধলেন বিরোধীদের। দিলেন হুঁশিয়ারি-“যারা ভাবছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনের সময় দুর্বল করবেন, তাদের বলবো- আগুন নিয়ে খেলার চেষ্টা করবেন না।”
সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস যথাক্রমে রক্ষক, ভক্ষক আর তক্ষক
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন- যারা বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের সালাম জানাই। কিন্তু সিপিএমের নামে একটা দল আছে যাদের আছে হার্মাদ এবং যারা হার্মাদ তৈরি করে। যারা কঙ্কালকাণ্ড করেছিল, যারা কেশপুর, কেশিয়ারি, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম করেছিল- আজ তারা হয়ে গেছে বিজেপির সবচেয়ে বড় রক্ষক। আর বিজেপি হয়ে গেছে সিপিএমের বড় ভক্ষক। আর কংগ্রেস! কখনও সিপিএমের গালে, কখনও ব্যাঙের গালে, কখনও সাপের গালে চুমু খেয়ে হয়ে গেছে তক্ষক। একজন রক্ষক, একজন ভক্ষক, একজন তক্ষক। এরা নাকি দেশ চালাবে।”
ভুলে গেছেন সব
মমতা বলেন- “বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমরা বাংলা দখল করতে দেব না। মনে রাখবেন- ৩৪ বছর ধরে লড়ে আমরা এই জায়গায় এসেছি। কারও দয়ায় আসিনি। ভুলে গেছেন- চমকাই তলায় মিটিং করতে গেছিলাম বন্দুক নিয়ে তাড়া করেছিলেন। কত গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। ননে নেই কেশপুরে কত হত্যা হয়েছে। মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলেন। মনে নেই নন্দীগ্রামে আজও ১৪ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মনে নেই নেতাইতে কিভাবে মা-বোনেদের দিয়ে গা টেপাতেন, পা টেপাতেন। তাদের দিয়ে রান্না করাতেন। ভুলে গেছি আমরা এসব!”
আগে মানুষ ভয়ে আসতে পারতো না এসব জেলায়
“সারা মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ জায়গা আপনারা অশান্ত করে দিয়েছিলেন। মানুষ ভয় পেত। মানুষের সাধের ঝাড়গ্রামে আসতে পারতো না। কনকদুর্গা মন্দিরে ভয়ে যেতে পারতো না। এই সব জেলা মানুষকে পছন্দ করে দেশকে ভালোবাসে কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। তৃণমূল কংগ্রেস যেদিন তৈরি হয়েছিল সেদিন আমরা জিততে পারিনি। দুই নম্বর হয়েছিলাম। কিন্তু আমরা লড়াই করেছিলাম।” বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে-মমতা
এরপর মমতা তৃণমূল বিক্ষুদ্ধদের প্রতি তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন- “তৃণমূল কংগ্রেস অত দুর্বল নয়। যদি কেউ মনে করে – ব্ল্যাক মেইলিং করব, বার্গেইনিং করব, তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনের সময় দুর্বল করব- তাহলে সেই বিজেপি দল এবং বিজেপি দলের যারা বন্ধু তাদের কাছে পরিষ্কার করে বলবো – আগুন নিয়ে খেলবার চেষ্টা করবেন না। আর যাকে পারেন জব্দ করতে কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসকে পারবেন না। কারণ, তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে। তৃণমূল কংগ্রেস জন্মলগ্ন থেকে আজকে লড়ে বেঁচে আছে।”
Published on: ডিসে ৭, ২০২০ @ ২১:৫৯