
সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
জেলশাসক ফোনে জানালেন তিনি বেড়াতে বেড়িয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না
Published on: ডিসে ২৬, ২০১৮ @ ২১:০৩
এসপিটি নিউজ ঝাড়গ্রাম, ২৬ ডিসেম্বরঃ রেলের জমিতে কোনওরকমে অস্থায়ী ঘর করে ছাউনি দিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হয়েছিল দিন আনা দিন খাওয়া এই মানুষগুলির। কিন্তু রেল তাদের জমি ফাঁকা করে দিতে বলেছিল ছয় মাস আগে। এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছিল। তবু তারা ওঠেনি। কারণ, উঠে তারা যাবেই বা কোথায়। তাই থাকার একটা জায়গা করে দেওয়ার অনুরোধ কিংবা আবেদন তারা জানিয়েছিল ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের কাছে।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় জেলাশাসক বিষয়টিকে কোনও গুরুত্বই দেয়নি বলে অভিযোগ। তিনি যদি বিষয়টি গুরুত্ব দিতেন তাহলে এই ১০০টি পরিবারকে আজ ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে এসে দাঁড়াতে হত না।
অনেকের অভিযোগ ঝাড়গ্রামের এই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে। তিনি নাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মত অবুযায়ী চলেন না। অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় একটা বলেন যে মানুষ বিপদে পড়ে প্রশাসনের কাছে এলে তাদের কথা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। তাদের সমস্যার সুরাহা করতে হবে। বাংলায় কারও থাকা-খাওয়ার অভাব হবে না। অথচ ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক বেমালুম কথাটাকে গুরুত্ব না দিয়ে এই গরিব মানুষগুলিকে অসসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিলেন বলে অভিযোগ। যদিও এই ১০০টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সোরেন।জেলাশাসক কিছু না করলেও মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক দিককে গুরুত্ব দিলেন এই সাংসদ।
খবর পাওয়া মাত্রই ঝাড়গ্রামের সাংসদ ডাঃ উমা সোরেন-এর নির্দেশে দলীয় কর্মীরা গিয়ে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। ঝাড়গ্রাম মিউনিসিপালিটির প্রশাসক, ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায়ের সহযোগিতায় এদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষগুলির চিকিৎসার জন্য সাংসদ ডাঃ উমা সোরেনের নির্দেশে মেডিক্যাল টিম গিয়ে পৌঁছয় রেলবস্তির মানুষগুলির কাছে। বড়দিনে উৎসব মুখরিত জঙ্গলমহলবাসী যখন চড়ুইভাতিতে ব্যস্ত তখনই এই মানুষগুলির পাশে দাঁড়াতে পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা গোপীবল্লভপুর ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার খগেন্দ্রনাথ মাহাত ও জঙ্গলমহল আদিবাসী ডাক্তার অ্যাশোসিয়েশনের সভাপতি ও বিনপুর ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার মহেশ্বর মান্ডির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।
Published on: ডিসে ২৬, ২০১৮ @ ২১:০৩