সংবাদদাতা- বাপ্পা মণ্ডল ছবি- রামপ্রসাদ সাউ
Published on: জানু ১৮, ২০১৮ @ ১৯:২৬
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১৮ জানুয়ারিঃ স্বজন হারানোর যন্ত্রণা তাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। কিভাবে এই যন্ত্রণা মিটবে তার উত্তর কারও জানা নেই। কারও বাবা, কারও ছেলে, কারওবা কাছের মানুষ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে অকালেই চলে গেছে বহুদূর। যেখান থেকে তাদের আর ফিরে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। কিন্তু মন যে মানতেই চায় না। তাই তো বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মৃতদের বাড়ির লোকজন। রাজ্য সরকার এই সমস্ত অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই মতো মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সৎকারের জন্য ১০ হাজার টাকা করে মৃতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে।
মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, খড়্গপুরের সতকুইতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জনের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃত সাতজনের পরিবারকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহগুলি সৎকার করার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহগুলি তাদের বাড়িতে পৌঁছনোর পর কিছু সাহায্য পৌঁছে দেবেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওরা। মর্গের সামনে নিহতদের আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে অজিতবাবু বলেন, রাজ্য ও জেলা প্রশাসন আপনাদের সাথে আছে।
বুধবার খড়্গপুরের সতকুই এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নয়ানজুলিতে একটি উল্টে গেলে সাতজনের মৃত্যু হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার মৃতদেহগুলি ময়নাওতদন্তের পর সাতটি অ্যাম্বুলেন্স করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহগুলি সৎকার করার জন্য খড়্গপুর লোকাল থানার ওসি বিশ্বরঞ্জন ব্যানার্জী মৃতদের পরিবার পিছু ১০ হাজার টাকা তাদের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
বৃহস্পতিবার মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে ময়না তদন্তের কাজে তদারকি করেন এবং মৃতদেহগুলি তাদের বাড়িতে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন মেদিনীপুর সদর মহকুমা শাসক দীননারায়ন ঘোষ সহ আরও অনেকে।
Published on: জানু ১৮, ২০১৮ @ ১৯:২৬