
সংবাদদাত-বাপ্পা মন্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: মার্চ ৫, ২০১৮ @ ২১:২৬
এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ৫ মার্চঃ মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণের ফল কি হতে পারে এখন সেটা টের পাচ্ছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।রবিবার ঝাড়গ্রামে এসে বিজেপির কিষাণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে বিজেপির দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এক জন রাজনৈতিক নেতার মুখে এমন অশালীন কথা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তাই তাদের একটা অংশ সেই সভার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপি ছেড়ে সদলবলে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
সোমবার ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন হয়। সেখানেই প্রায় ৫০০ বিজেপি কর্মী সদলবলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা, মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাত, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা সহ অন্যান্যরা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে জমবনীর রেন্টা হাঁসদা, বীরেন মান্ডি শংকর সমাদ্দার, ঝাড়গ্রামের শিপ্রা বিশ্বাস, সৌমিক কুন্ডু ও সাঁকরাইল ব্লকের রাহুল খাঁড়া ও উমাকান্ত সিং বলেন, মুকুল রায় ঝাড়গ্রামের সভায় দাঁড়িয়ে যে ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে গাল দিয়েছেন তা কোনও রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে আশা করা যায় না। আমরা তা মেনে নিতে পারিনি। তারপরই আমরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নি।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মুকুল রায় বিজেপিতে যাওইয়ার পর থেকে এমন অনেক ঘটনাই ঘটিয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। উপ-নির্বাচনে দেখা গেছে তিনি নোয়াপাড়া কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঠিক করে বিজেপি নেতৃত্বকে জানালেন। পরে সেই প্রার্থী জানিয়ে দিলেন তিন তৃণমূলে ছিলেন সেই দলেই আছেন। বিজেপিতে তার নাম তার অনুমতি না নিয়েই ঘোষণা করা হয়েছে।এরপর ঝাড়গ্রামের ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীকে গাল দেওয়ার পরদিন ৫০০ বিজেপি কর্মী বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। কি বলবেন মুকুল রায়?
Published on: মার্চ ৫, ২০১৮ @ ২১:২৬