সংবাদদাতা-দেবজিৎ মুখোপাধ্যায়
Published on: জানু ৫, ২০১৮ @ ১৯:৫৪
এসপিটি নিউজ, পুরুলিয়া, ৫ জানুয়ারিঃ এ যেন বাঁধ ভাঙা মানুষের ঢল। সবাই তাকে একবার ছুঁতে চায়। পুরুলিয়ায় কম বেশি সবার মুখে তাঁর নাম। উঠছে স্লোগান-তৃণমূল কংগ্রেসের নয়ণের মণি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।চারিদিকে যেন জনসমুদ্র। যার কেন্দ্রস্থল ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।যিনি এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে একদিকে যেমন রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরেছেন ঠিক তেমনই বিজেপির তুলোধনা করেছেন। যার মূল লক্ষ্য ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সম্প্রতি রাজ্যের এক পুলিশ কর্মী যার চাকরির মেয়াদ আছে ১০ বছর তাকে তিনি দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গেছে।সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে বলেন-চার আনার নকুলদানা তার আবার ক্যাশ মেমো। যার নিজের দলের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গোদীরই ঠিক নেই সে কিনা আবার সাধারণ পুলিশ কর্মচারীর চাকরি নিয়ে ভয় দেখায়, হুমকি দেয়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে থাকেন, আগে আপনারা নিজেরা নিজেদের নিয়ে ভাবুন, ঐ পুলিশ কর্মচারীকে ভয় দেখানোর আগে ভাবুন আপনাদের দল বিজেপি ২০১৯ সালের পর আর থাকতে পারবে কিনা! আরে, পুলিশ কর্মচারীর তো এখনও ১০ বছর চাকরি আছে, আর আপনাদের প্রধানমন্ত্রীর তো মোটে এক বছর। আগে তো নিজের ঘর সামলান পরে না হয় অন্যকে হুমকি দেবেন। এই কথা বলার সময় জনসভা প্রাঙ্গনে মুহূর্মুহু করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক।
এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাত, সুশান্ত মাহাত থেকে শুরু করে আরও অনেকে। এদিনের সভায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিষেক বলেন, তিনি নাকি জননেতা! তা সত্যি তিনি যদি জননেতা হয়ে থাকেন তাহলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলার ১৯০৮টি আসনের মধ্যে একটি আসনে তিনি জিতে দেখান। তাহলে বুঝব উনি সত্যি একজন জননেতা। উনি কংগ্রেসকে দিনের বেলায় গালমন্দ করেন। আর রাতে সেই নেতার বিড়িতে গিয়ে গল্পে মেতে ওঠেন।
মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে ফের অভিষেক বলেন, চাটনি দাদু ইদানীং বিজেপির বড় নেতা হয়ে উঠেছেন। অনেক কথা বলছেন। সরকারি কর্মচারীদেরও ধমকাচ্ছেন। আরে নিজের দলের জায়গাই অটুট থাকবে কিনা তার ঠিক নেই তিনি আবার অন্যকে ধমকান। যারা প্রকৃত নেতা তাঁরা উত্তরীয় পড়ে ঘোরেন না। তাঁদের উত্তরীয় পড়িয়ে মানুষ সম্মান জানায়। আর এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদের দেখুন-প্রত্যেকের গলায় ঝুলছে একটা গেরুয়া উত্তরীয়। আসলে ঐ উত্তরীয় তারা রেখেছেন চোখের জল মোছার জন্য। এক বছর বাদে কেন্দ্র থেকে যখন মোদী সরকার বিদায় নেবে তখন চোখের জল মুছতে সাহায্য করবে ঐ উত্তরীয়।
Published on: জানু ৫, ২০১৮ @ ১৯:৫৪