সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: জানু ১৭, ২০১৯ @ ০১:২১
এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ১৬ জানুয়ারিঃ জঙ্গলমহলের লোধা-শবরদের কাছে এই দেবী মা দুর্গার স্বরূপ বলেই পূজিত হয়ে আসছে।বলা হয়ে থাকে ইনি আসলে চিল্কীগড়ের কণক দুর্গারই অংশ। মায়ের আবাসভূমিও নাকি জঙ্গলের ভিতর। এই দেবীকে ঘিরেও আছে এক কাহিনি। যা মা দুর্গা মণি-র পরিচয় বহন করে থাকে।
আমোন যায়-” জামবনির চিল্কীগড় রাজ পরিবারের কুলোদেবী ‘মা কনক দুর্গা’র পূজার সময় লোধা– শবর, আদিবাসী মানুষদের পুজায় অংশ গ্রহণ নিয়ে রাজ পরিবারের লোকজন বিরোধিতা করেন। তা নিয়ে জঙ্গল খণ্ডের লোধা– শবর, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে রাজ সেনাদের যুদ্ধ বাঁধে। সেই যুদ্ধে লোধা – শবর মানুষেরা পরাজিত হয়ে জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়ার পর জঙ্গলের এক প্রান্তে ‘মা কনক দুর্গা’র অংশ স্বরূপ ‘মা দুর্গা মণি’ নাম দিয়ে দেবীর পূজা শুরু করেন আদিবাসী সম্পদ্রদায়ের মানুষজন। পুজো শুরুর পরেই মা স্বপ্নে আদেশ দেন- লোধা ও শবর সম্পদ্রদায়ের মানুষের হাতেই তিনি পূজিত হবেন। প্রায় ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে দেহুরি উপাধিধারী লোধা – শবর সম্প্রদায়ের মানুষজনের হাতেই পূজিত হয়ে আসছেন ‘মা দুর্গা মণি’।”
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে কুশবনি জঙ্গল লাগোয়া বনপুকুরিয়া শবর পাড়ার কাছেই গাছের নিচে মায়ের আবাসভূমি। শারদোৎসব এখানে হয় না। তবে মাঘ মাসে মকর সংক্রান্তির পরের দিন এখান যাত্রার সময় মহাসমারোহে মা দুর্গা মণি এখানে সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে মা দুর্গা রূপেই পুজো পান। পরবর্তী কালে ‘মা দুর্গা মণি’ আরও এক অংশে বিভাজিত হয়ে যান। একটি অংশ ভাগ হয়ে জামবনির সানগ্রামে এবং মায়ের আর একটি অংশের ভাগের অধিকারি হন জুগিবাঁধ মৌজার মানুষজনেরা।এইভাবেই জঙ্গলমহলের এই মানুষজন এই সময়টা এই অভিনব দুর্গা পুজোয় মেতে ওঠেন।
Published on: জানু ১৭, ২০১৯ @ ০১:২১