নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ১৫ হাজারেরও বেশি কর্মীকে নিয়ে ব্রিগেডমুখী হচ্ছে নৈহাটি তৃণমূল যুব কংগ্রেস

রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ১৭, ২০১৯ @ ১৬:৪৫

এসপিটি নিউজ, নৈহাটি, ১৭ জানুয়ারিঃ এ এক ঐতিহাসিক সমাবেশ হতে চলেছে ১৯শে জানুয়ারি ব্রিগেডে। যে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাদের প্রিয় নেত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কর্মীরা  সমাবেশে যোগ দিতে আসতে শুরু করে দিয়েছেন। এরই মধ্যে পশ্চিমনঙ্গ রাজ্য বিধানসভার পরিশদীয় সচিব নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের এলাকা বিশেষ করে তাঁর শহর যুব কংগ্রেস বিভাগ থেকেই ১৫ হাজারেরও বেশি তৃণমূল কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে চলেছেন। আর সেটা কার্যকর করার প্রস্তুতি একপ্রকাড় শেষ করে ফেলেছেন নৈহাটি তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সনৎ দে।

সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে নৈহাটির যুব তৃণমূল সভাপতি সনৎ দে বলেন-”  বাংলার মানুষ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। তাই ১৯শে জানুয়ারির ব্রিগেডের সমাবেশকে সফল করবার জন্য আমাদের রাজ্য কমিটির সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে আমাদের জেলার যুব সভাপতি পার্থ ভৌমিকের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন যে ভাবেই হোক আমাদের নৈহাটির থেকে অন্তত ১৫ হাজার কর্মী নিয়ে আমরা যেন ওই সমাবেশে যোগ দিতে যাই। তাই প্রতিটি বুথ ধরে ধরে আমরা সভা করেছি। আমাদের নৈহাটি শহর এলাকায় বুথ আছে ১৫৬টি। এই সমস্ত এলাকা থেকে ১৯শে জানুয়ারি জনতা হবে ব্রিগেডমুখী।”

“নেত্রীর নির্দেশ মেনে আমরা কাজ করে চলেছি। নৈহাটিতে কোনও তৃণমূল কর্মীর মনে ক্ষোভ নেই। আমরা পার্থ ভৌমিকের নেতৃত্বে নৈহাটিতে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলছি। নৈহাটির ক্ষেত্রে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আমরা একভাবে কাজ করছি। আমাদের শহরের সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায় এবং আমাদের বিধায়ক পার্থ ভৌমিক সকলে মিলা ১৯শে জানুয়ারির সমাবেশকে সফল করার জন্য আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে আমাদের মতো করে প্রস্তুতি চালিয়েছি। সভা করেছি।আমাদের মূল টার্গেট ১৯শে জানুয়ারির সভা- যে সভায় একটা কথাই মানুষ শুনতে চাইছে ২০১৯ বিজেপি ফিনিশ। অর্থাৎ ২০১৯ সালে বিজেপিকে ভারত থেকে যদি তাড়াতে পারা যায় মানুষ এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাবে না।” বলেন নৈহাটির তৃণমূল যুব সভাপতি।

সনৎ দে আরও বলেন-“মোদি দিনের পর দিন যেভাবে মানুষের উপর বোঝা চালাচ্ছে গ্যাস দেওয়ার নাম করে যে ভাওতা অর্থাৎ বিনা পয়সায় গ্যাস দেওয়া হচ্ছে- সেটা তো নয়! এই গ্যাস যারা নিয়েছিল তাদের ভর্তুকির টাকাটা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলছে- গ্যাসের সিলিন্ডারের জন্য এই টাকাটা আটকে রাখা হচ্ছে। মোদির আচ্ছে দিন আজ যাচ্ছে-তাই দিন হয়ে গেছে। আর যত ঘটনাই ঘটাচ্ছে সব মধ্য রাতে। নোট বন্দি হোক, সিবিআই দফতর নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হোক সবটাই হচ্ছে মধ্যরাতে। অর্থাৎ মধ্য রাতটাকে কেন উনি এত ভালবাসেন এটা আজ দেশবাসী বুঝতে পারছেন কেন তিনি মধ্যরাত বেছে নিয়েছেন। তাই যেভাবেই হোক মোদির এই মধ্যরাতের অবসান চাই। মোদির অবসান চাই- ২০১৯ বিজেপি দেশবাসীর আওয়াজ বিজেপি ফিনিশ।”

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আদর্শ ও এই নীতিকে দেখেই আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করতে এসেছি। আমরা তো সকলেই কংগ্রেস করতাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের কথা হল- মাটির কথা বলতে হবে, মানুষের কথা বলতে হবে। তাই মাটির কথা, মায়ের কথা মানুষের কথা যারা না ভাবে তারা এই দল করে না। যারা মা- মাটি-মানুষের কথা ভাবে তারাই এই দল করে। মমতা বন্দ্যোয়াপধ্যায়ের এই নীতি ও এই আদর্শের না ভাবে তারা কখনও রাজনৈতিক দিক থেকে সফল হতে পারবে না।” বলেন নৈহাটির যুব সভাপতি সনৎ দে।

২০০৩ সাল থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস করছেন। কিন্তু নেত্রীর সঙ্গে দেখা হল প্রায় সাত বছরের মাথায়। সেটাও একটা অদ্ভুত ঘটয়ার মধ্যে দিয়ে। সেকথা বলতে গিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করেন সনৎ। তিনি বলেন- সালটা ২০১০। অষ্টমীর রাত। আমরা দিদির বাড়ির পাশ দিয়ে আসছিলাম। ঘড়িতে রাত তখন প্রায় দুটো। দেখলাম দিদি বাড়ির সামনে হাঁটাচলা করছেন। দেখে সেখানে পৌঁছে যাই। আমরা সাতজন ছিলাম। আসলে আমরা কালীপুজো করি তো। সেই পুজোর প্যান্ডেল খুঁজতে গিয়ে দিদির কাছে পৌঁছে গেছিলাম। আমাদের নিরাপত্তা রক্ষীরা আটকেছিলেন। কিন্তু দিদিই বললেন ওদের আসতে দাও। আমরা ওইদিন দিদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলাম।দিদির সাথে সেইদিন দু’চারটে কথা কিছু হয়েছিল- সেইসময় আমি পরিচয় দি যে আমি নৈহাটি যুবর সভাপতি। আজও তা ভুলতে পারি নি।”

Published on: জানু ১৭, ২০১৯ @ ১৬:৪৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 40 = 49