Published on: জুলা ২৬, ২০২১ @ ২০:৩৪
এসপিটি নিউজ: পর্যটন নিয়ে কেন্দ্র সরকার কি ভাবছে, কতটা তারা পর্যটনের পিছনে অর্থ ব্যয় করছে, তার ফলই বা কেমন হচ্ছে এসব নিয়ে এক সুস্পষ্ট জবাব দিয়েছে তারা। পর্যটন মন্ত্রক ভারতকে একটি সামগ্রিক পর্যটন গ্নতব্য হিসাবে তুলে ধরেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি।
পর্যটনের প্রচার ও বিকাশ মূলত রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন করে থাকে। স্বদেশ দর্শন ও ‘প্রসাদ’ প্রকল্প অনুসারে পর্যটন মন্ত্রনালয় মহারাষ্ট্র সহ দেশে পর্যটন অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং তাদের অনুমোদন, প্রস্তাব জমা দেওয়া, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের গাইডলাইনগুলির সঙ্গে তাদের সম্মতি নিয়ে , উপযুক্ত বিশদ প্রকল্পের প্রতিবেদন জমা দেওয়া, তহবিলের সহজলভ্যতা এবং সেই সাপেক্ষে চিহ্নিত করা হয়। সেই মতো প্রকাশিত তহবিলের অধীনে প্রাপ্ত অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে।
সেই অনুযায়ী পর্যটন মন্ত্রণালয় ২০১৫-২০১৬ সালে সিন্ধুদুর্গ উপকূলীয় সার্কিট (শিরোদা বিচ), সাগরেশ্বর, তারকারলি, বিজয়দুর্গ (সমুদ্র সৈকত এবং তট), দেবগড় (দুর্গ ও সৈকত), মিতভাব, তোন্ডাবলি, মোসেহমাদ ও নিবাতী দুর্গের জন্য মহারাষ্ট্র উপকূলীয় সার্কিটের উন্নয়নকে অনুমোদন দিয়েছে- সেই অনুযায়ী তাদের ১৯.০৬ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। তেমনই পর্যটন মন্ত্রনালয়ের ‘প্রসাদ’ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ সালে ত্র্যম্বকেশ্বরের উন্নয়নের জন্য ৫৪.০১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছিল।
পর্যটন মন্ত্রক ব্যাঘ্র সংরক্ষণাগার, জাতীয় উদ্যান, পার্বত্য কেন্দ্র, সৈকত, বন্যজীবন, ঐতিহ্যবাহী স্থান, ঐতিহাসিক স্থান এবং মন্দির সহ এক সামগ্রিক পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে ভারতকে তুলে ধরেছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসাবে, ‘অবিশ্বাস্য ভারত’ দেশে পর্যটন পণ্য এবং গন্তব্যগুলি প্রচারের জন্য ব্র্যান্ড-লাইনের আওতায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রিন্ট, বৈদ্যুতিন, অনলাইন এবং আউটডোর মিডিয়া মারফত প্রচার চালায়। মন্ত্রণালয় পর্যটনের স্থান এবং পণ্যগুলি নিয়ে সময়ে সময়ে তৈরি করা ওয়েবসাইট এবং প্রচারমূলক সামগ্রীর মাধ্যমেও প্রচার করে থাকে।
পর্যটনমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি আজ লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাব জবাবে একথা জানিয়েছেন।
Published on: জুলা ২৬, ২০২১ @ ২০:৩৪