Published on: নভে ১৬, ২০১৮ @ ২১:১৫
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ হিমালয় পর্বত ঘিরে মানুষের উৎসাহের শেষ নেই।এই পর্বত কবে সৃষ্টি হয়েছিল, কিভাবে এর উৎপত্তি হয়েছিল এমন কত প্রশ্ন আজও উঁকি মারে সাধারণ মানুষের মনে। এসব নিয়ে ভূ-বিজ্ঞানীদের গবেষনার শেষ নেই। শোনা যাচ্ছে এই হিমালয় পর্বত প্রতি বছর অল্প অল্প করে বেড়েই চলেছে। আর এর ফলে ভারতে যে প্রভাব পড়তে চলেছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ ভূ-বিজ্ঞানীরা সক্রিয়। ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকারের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রালয়ের তরফে কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য চার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের গবেষনা প্রজেক্ট দেওয়া হয়েছে। সেই গবেষনা থেকে আমরা জানতে পারব হিমালয়ের পাথর কত পুরনো এবং তারা কত দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এ বিষয়ে বিষে এক রিপোর্ট তুলে ধরেছে এক সর্বভারতীয় হিন্দি নিউজ পোর্টাল।
এই গবেষনা থেকে জানা যাবে যে আমাদের দেশকে রক্ষা করে চলা হিমালয় পর্বত প্রতি বছর কতখানি করে উঁচু হচ্ছে। কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যক্ষ ডা. ভগবান এ বিষয়ে গবেষনার জন্য প্রফেসর আরসি প্যাটেলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।ভূ-বিজ্ঞান বিভাগের তরফে এই গবেষনাটি করার জন্য প্রফেসর ডা. আরসি প্যাটেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এই একটি কাজের জন্য দুটি গবেষনার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।
এই কাজে গবেষনার জন্য হিমালয়ের কয়েকটি জায়গা বাছা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রফেসর প্যাটেল। এর একটি হল হিমাচল প্রদেশের কাংরা এবং অপরটি উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর গঙ্গোত্রী।এই সব স্থানের পাথরের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।একটি গবেষনার প্রজেক্ট-এ মন্ত্রনালয়ের পক্ষে অন্তত ৭৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হবে। এই প্রজেক্টে প্রফেসর ডা. প্যাটেল ২৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬০০ টাকার প্রজেক্ট দিয়েছেন। এছাড়াও দ্বিতীয় প্রজেক্টে ৭৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬০০ টাকার প্রজেক্ট শুধুমাত্র কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় নিজেরা বহন করবে।
সর্বভারতীয় ওই হিন্দি নিউজ পোর্টালকে দেওয়া বিবৃতিতে ডা. আরঅসি প্যাটেল জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত গবেষনা থেকে যেটুকু তারা পেয়েছেন তাতে তারা জানতে পেরেছেন যে হিমালয়ের পাথর সবসময় ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে তৈরি হতে পারে। এক কিলোমিটার নীচে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারেযেখানে হিমালয়ের পাথর ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার নীচে তৈরি হতে পারে। এই গবেষনা থেকে জানা যাবে হিমালয়ের এই পাথর কত দিনের পুরনো। আরও জানা যাবে এই পাথর উপরে কত গতিতে এগিয়ে আসছে।
প্রফেসর প্যাটেল এও জানিয়েছেন যে গবেষনার প্রথমে এটা জানা গেছে- হিমালয় ক্রমেই উঁচু হয়েই চলেছে। এর ফলে ভারতীয় দ্বীপকে চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।এজন্য ভারতীয় দ্বীপ প্রতি বছর কমপক্ষে চার সেন্টিমিটার করে কমতে শুরু করেছে।যা চিনের নীচে চলে যাবে।
Published on: নভে ১৬, ২০১৮ @ ২১:১৫