- প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন- “সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট নাগরিকতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয় এটা নাগরিকতা দেওয়ার আইন।”
- “যে কোনও ধর্মের মানুষ সে ভগবানকে মানুন আর নাই মানুন যিনি ভারতের সংবিধান মেনে চলবেন তিনি ভারতের নাগরিকতা নিতে পারেন।”
- “আজ যদি নাগরিকতা আইনের সংশোধন না আনতাম তাহলে এত বিতর্ক হত না আবার সারা বিশ্ব এটাও জানতে পারত না যে আজ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর কী ধরনের অত্যাচার চালানো হচ্ছে।”
Published on: জানু ১২, ২০২০ @ ১৭:১০
এসপিটি নিউজ, বেলুড়, ১২ জানুয়ারি: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে অংশ নিতে এসে আজ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রধান কার্যালয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট নিয়ে বিস্তারিত জানালেন। সেই সঙ্গে বিরোধীদের দিলেন এক বার্তা। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন যে সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট কারও নাগরিকতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নাগরিকতা দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে।এই নিয়ে কিছু মানুষ শুধু শুধু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
আমি পশ্চিমবঙ্গের যুবক, উত্তর-পূর্ব ভারতের যুবকদের আমি বেলুড় মঠের এই পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে চাই।এটা এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি যে দেশকে বদলাতে ভারত সরকার রাতারাতি দেশে নয়া আইন বানিয়ে ফেল্ল।আমি আপনাদের বলতে চাই- দ্বিতীয় কোন দেশ থেকে অন্য কোনও ধর্মের কোনও ব্যক্তি যিনি ভারতে আস্থা রাখেন, ভারতের সংবিধানকে মানে্ন, তিনি ভারতের নাগরিকতা নিতে পারেন এখানে কোনও অসুবিধা নেই। আমি আবারও বলছি সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট নাগরিকতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয় এটা নাগরিকতা দেওয়ার আইন। সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট শুধুমাত্র একটি সংশোধন আছে। এই সংশোধন কি আছে? জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
কাদের কথা ভেবে এই সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট আইন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মদি বলেন-“আমরা এটাই বদলেছি যে ভারতের নাগরিকতা নেওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা এজন্যই বাড়ানো হয়েছে সেইসব মানুষের জন্য যারা দেশ ভাগের পর পাকিস্তানে রয়ে গেছে। তাদের ধার্মিক- আধ্যাত্মিকতা ভাবনার উপর অত্যাচার হয়েছে। অন্যায় হয়েছে। তাদের বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে গেছে। একাধিক সমস্যায় তারা জর্জরিত হয়ে পড়েছে। আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই স্বাধীনতার পর মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠিত মানুষজন সকলেই বলে এসেছেন ভারতে এধরনের মানুষজনকে নাগরিকতা দেওয়া উচিত যাদের নিজেদের ধর্মের জন্য পাকিস্তানে অত্যাচার চালানো হচ্ছে।”
অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই মোদি জনগণের মত নেন
তিনি প্রশ্ন তোলেন- “এখন আপনারাই বলুন তো এসব মানুষজনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে তাদের কি সেখানে ফেরত পাঠানো উচিত? আমাদের দায়িত্ব আছে না নেই? তাদের আমাদের দেশের নাগরিকতা দেওয়া উচিত কিনা? তারা যদি আইন ও নিয়ম মেনে আমাদের দেশে থাকে তাহলে আমরা খুশি হব নাকি হব না? এই কাজ পবিত্র নয় কি? আমাদের করা উচিত না কি নয়? এই কাজ করা ভালো না খারাপ? এই কাজ মোদিজি যদি করে তাহলে আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন তো?হাত উপরে উঠিয়ে বলুন সাথে আছেন তো? যে কথা মহাত্মা গান্ধী বলে গেছে সেটাই আমরা পালন করেছি। সিটিজেনশিপ অ্যাক্টে আমরা নাগরিকতা দিচ্ছি এতে কারও নাগরিকতা ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। যে কোনও ধর্মের মানুষ সে ভগবানকে মানুন আর নাই মানুন যিনি ভারতের সংবিধান মেনে চলবেন তিনি ভারতের নাগরিকতা নিতে পারেন।এটা বুঝতে পেরেছেন। যা আপনারা বুঝতে পারছেন সেটা রাজনীতির খিলাড়ীরা বুঝতে চাইছে না। এমনকি উওত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উপর যাতে এর কোনও প্রভাব না পরে সেদিকেও আমরা নজর দিয়েছি।”
পাকিস্তানে সংখ্যালঘ্যুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে
“কিন্তু আজকে আমরা দেখছি দেশের কিছু মানুষ এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আর এর বিরুদ্ধে আমাদের যুবকরাই আওয়াজ উঠিয়েছে। আজ যদি নাগরিকতা আইনের সংশোধন না আনতাম তাহলে এত বিতর্ক হত না আবার সারা বিশ্ব এটাও জানতে পারত না যে আজ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর কী ধরনের অত্যাচার চালানো হচ্ছে।কিভাবে সেখানে মানবাধিকারের হনন হচ্ছে।কিভাবে মা-বোনেদের জীবন বরবাদ করে দেওয়া হয়েছে।এ আমাদের উদ্যোগের পরিনাম। পাকিস্তানকে আজ জবাব দিতে হবে যে ৭০ সাল ধরে আপনারা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার কেন করেছেন। এসবের উপর ভিত্তি করেই ভারতকে আমরা শ্রেষ্ঠ আসনে দেখতে চাই।
Published on: জানু ১২, ২০২০ @ ১৭:১০