‘ শেষবার যখন এসেছিলাম তখন গুরুজি স্বামী আত্মস্থানন্দজীর আশীর্বাদ নিয়েই গিয়েছিলাম ‘

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী বলেন-

  • “আমার সৌভাগ্য যে আমি এমন পুন্যভূমিতে রাত্রিবাসের সুযোগ পেয়েছি। আমাকে এখানকার স্বামীজীরা থাকার অনুমতি দিয়েছেন।”
  • “এই স্থান স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী ব্রহ্মানন্দের মতো মহাপুরুষদের পদধূলিতে ধন্য।”
  • “বিবেকানন্দের বিচার, বানী ও তাঁর ব্যক্তিত্ব এসবের জন্য আমাদের সোজা বেলুড়ে টেনে আনে।”
  • “আমার সঙ্গে আরও একজন আছে। যাকে আমি দেখতে পাই না। উনি ঈশ্বরের রূপ।”

সংবাদদাতা- অনিরুদ্ধ পাল

Published on: জানু ১২, ২০২০ @ ১৯:১২

এসপিটি নিউজ, বেলুড়, ১২ জানুয়ারি:  স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে উপ্সথিত থেকে স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার বেলুড় মঠে বক্তৃতা দিতে উঠে তাঁর গলাতে সেই আবেগ প্রকাশ হয়। গুরুজি আত্মস্থানন্দজীর কথা প্রথমেই বলেন প্রধানমন্ত্রী।একই সঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের দেখানো পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি।

প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন- “আমার সৌভাগ্য যে আমি এমন পুন্যভূমিতে রাত্রিবাসের সুযোগ পেয়েছি। আমাকে এখানকার স্বামীজীরা থাকার অনুমতি দিয়েছেন। এই স্থান স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী ব্রহ্মানন্দের মতো মহাপুরুষদের পদধূলিতে ধন্য। আজ সেই স্থানে আমি থাকতে পেরে অভিভূত। শেষবার যখন এসেছিলাম তখন গুরুজি স্বামী আত্মস্থানন্দজীর আশীর্বাদ নিয়েই গিয়েছিলাম। কিন্তু ওনার কাজকর্ম, ওনার দেখানো পথ, রামকৃষ্ণ মিশন এর রূপে আমার লক্ষ্যকে প্রশস্ত করে চলেছে।”

কিসের টানে মানুষ বেলুড়ে আসেন

“এখানে অনেক যুবা ব্রহ্মচারী বসে আছেন। আমার সৌভাগ্য যে তাদের সঙ্গে কিছু সময় অতিবাহিত করার সময় মিলেছে যে মনের অবস্থা আপনাদের এখন আছে তা আমারও রাছে। আপনারা অনুভব করবেন যে বহু মানুষ এখানে সোজা চলে আসেন। তার কারণ, বিবেকানন্দের বিচার, বানী ও তাঁর ব্যক্তিত্ব এসবের জন্য আমাদের সোজা এখানে টেনে আনে। কিন্তু এখানে আসার পর এখানে মাতা সারদা দেবীর আঁচল আমাদের এখানে এক স্নেহ-ভালোবাসায় আগলে রাখে। যত ব্রহ্মচারী আছে তাদের সকলেরই এই একই অনুভূতি হবে যা আমি করি।” বলেন মোদি।

স্বামী বিবেকানন্দ এক জীবনধারা

প্রধানমন্ত্রী বলেন- “স্বামী বিবেকানন্দ হওয়া শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি হওয়াই নয় কেননা সে এক জীবনধারা ছিল। জীবনশৈলী। দরিদ্র-নারায়ণ সেবা তাঁর জীবনের প্রথম ও শেষ লক্ষ্য নিয়েছিলেন। যার জন্য আজও কোটি কোটি যুবককে রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন। দেশের প্রত্যেক যুবক বিবেকানন্দকে জানুন আর না জানুন কিন্তু সকলেই কিন্তু জেনে কিংবা না জেনে তাঁরই সঙ্কল্পেরই আদি অংশ হয়ে গেছেন।সময় বদলেছে, যুগ বদলেছে, কিন্তু স্বামীজীর সেই সঙ্কল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দায়িত্ব আমাদের উপর যেমন আছে ঠিক তেমনই আগামী প্রজন্মের উপরই থকছে।”

সঙ্কল্পের কথা জানালেন মোদি

“আমি এক এক সময় ভাবি আমার একা করার মধ্যে দিয়ে কি হবে? আমার মা তো শুনতেই চায় না। আমি একটা কথা সব সময় মেনে চলি, বিশ্বাস করি। আমি কখনও একা নই। আমার সঙ্গে আরও একজন আছে। যাকে আমি দেখতে পাই না। উনি ঈশ্বরের রূপ। আমাদের ইচ্ছা আমাদের সঙ্গেই থাকে। আজও স্বামীজীর সেই কথা আমার স্মরণে আছে – স্বামীজী বলেছিলেন আমি যদি ১০০জন যুবক পাই তাহলে গোটা ভারতকে আমি বদলে দেব। আজ ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বদলে দেওয়ার জন্য দেশের কোনায় কোনায় আজ কোটি কোটি যুবক ছড়িয়ে আছে। এখানকার যুবকদের থেকে শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্ব অনেক কিছু পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে। একবিংশ শতাব্দীতে এক নয়া ভারত গড়ার সঙ্কল্প নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। এই সঙ্কল্প ১২০ কোটি ভারতবাসীর।” বলেন মোদি।

স্বামীজীর ঘরে প্রধানমন্ত্রী

এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বামীজীর ঘরে যান। সেখানে গিয়ে আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। সেকথা জানাতে গিয়ে বলেন-” আজ আমি স্বামীজীর ঘরে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেছি। সেখানে বসে আমার মনে হয়েছে স্বামীজী আমাকে আরও কাজ করার জন্য উৎসাহিত করছে, প্রেরিত করছে। এটাই আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। আসুন আমরা সকলে মিলে স্বামীজীর নতুন ভারত গড়ার সঙ্কল্প নিই।”

Published on: জানু ১২, ২০২০ @ ১৯:১২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 1 =