সংবাদদাতা- দিব্যেন্দু সিনহা
Published on: জানু ১৬, ২০১৮ @ ২০:১২
এসপিটি নিউজ, জলপাইগুড়ি, ১৬ জানুয়ারিঃ মাত্র এক মাস ১৩ দিনের শিশুকে বেবি ফুড খাওয়াতে গিয়ে বিপদের মুখে পড়ল শিশুর পরিবার। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের গড়াল বাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের কৃষি বাগান এলাকায় বহুজাতিক কোম্পানির সেই বেবি ফুড খাইয়ে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সেই বেবি ফুড খাওয়ানো বন্ধ করে দেয়। এরপর সেই বেবি ফুডের কৌটো খুলে দেখতে পায় তার ভিতর পোকা কিলবিল করছে।সেই অবস্থায় তারা দোকানে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাদেরকে কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে কথা বলতে বলে একপ্রকার ভাগিয়ে দেওয়া হয়। টাকাও ফেরত দেয়নি। দোকানদারের জবাব, আমরা তো সিল প্যাক কৌটো দিয়েছি। এখন ভিতরে কি আছে তা আমাদের জানার কথা নয়। কাজেই আমাদের কিছুই করার নেই। এমন জবাব পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শিশুর মা অর্চনা দাস জলপাইগুড়ি থানায় ঐ দোকানদার ও বহুজাতিক কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, কৃষিবাগান এলাকার বাসিন্দা পেশায় পুলিশ কর্মী সুব্রত দাসের স্ত্রী অর্চনা দাস গত ৩ ডিসেম্বর এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। শিশুর জন্মের পর থেকেই তাকে চিকিৎসকের পরামর্শে ওই বহুজাতিক কোম্পা্নির বেবি ফুড-সিমিল্যাক অ্যাডভান্স ১ খাওয়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে তারা শিশুটিকে একটি ফাইল খাইয়ে ফেলেছেন।
এদিন শিশুটির মা অর্চনা দাস অভিযোগ করেন, “ছেলের খাবার শেষ হয়ে যাবার কারণে তিনি তাড়াহুড়ো করে ভাগ্নেকে দিয়ে বৌবাজার এলাকার একটি ওষুধের দোকান থেকে ৫২৫ টাকা দিয়ে সিমিল্যাক অ্যাডভান্স ১ এর একাটি কৌটো কিনে আনিয়ে ছিলেন। যার ব্যাচ নম্বর ১০১৫২১৭, এবং, মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় দেওয়া হয়েছে ৫.৩.১৯ তারিখ।দোকানদার সিল প্যাক কোটো দিয়েছিলেন।ওই রাতে সিমিল্যাক অ্যাডভান্স ১ খাওয়ানোর পরেই শিশুর বমি শুরু হয়।” শিশুওটির মা অর্চনা দাসের কথায়, “আমরা ঐ অবস্থায় স্থানীয় একজন হোমিওপ্যাথী চিকিৎসককে দেখাই। তিনি বলেন, খাবারের থেকেই কিছু হয়েছে। একথা শুনে সন্দেহ হওয়ায় বাড়ি এসেই দুধের কৌটো খুলতেই দেখি ছোট ছোট লাল পোকা কৌটতে কিলবিল করছে।”
শিশুটির পিসে মহাশয় বাপি নাথ দাস অভিযোগ করেন, ওই বেবি ফুড খেয়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পরে।তারা জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককেও দেখান। চিকিৎসক সিমিল্যাক অ্যাডভান্স ১ খাওয়াতে নিষেধ করেন। বাপিবাবুর প্রশ্ন, সিমিল্যাক অ্যাডভান্স ১ কৌটটি কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি। তার পরেও কি ভাবে কৌটোর ভেতরে পোকা থাকে? দোকানদারও এই প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি। এরপর তারা ঐ বহুজাতিক কোম্পানি এবং দোকানদারের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সাথে তারা এই বিষয় নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতেও অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে বৌ বাজার এলাকার ওই ওষুধের দোকানের মালিক অন্ময় ঠাকুর বলেন আমরা শিশু খাদ্যের কৌটো সিল প্যাক অবস্থাতে তাদের দিয়েছি। এবার ভিতরে কি অবস্থায় আছে তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। ওই পরিবারটি আমাদের কাছে আসার পরে আমরাই ওই কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে বলি।
Published on: জানু ১৬, ২০১৮ @ ২০:১২