বাম আমলে ঘরছাড়া কেশপুরের তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যু হল সংঘর্ষে, দলের নেতারা বলছেন পুলিশ দেখছে বিষয়টি

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল

Published on: জানু ১২, ২০১৮ @ ২৩:২৪

এসপিটি নিউজ, কেশপুর, ১২ জানুয়ারিঃ কেশপুরে সংঘর্ষ নতুন কোনও ঘটনা নয়।এলাকার দখল নিয়ে এই সঘর্ষ সেই সিপিএমের আমল থেকেই লেগে আছে।তখন ছিল সিপিএমের আমল আর এখন তৃণমূলের আমল।শুক্রবারও কেশপুর ব্লকের ৪ নম্বর নেড়াদেউল গ্রামপঞ্চায়েতের কেঁউসা গ্রামের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল।আহত হল সাতজন, নিহত একজন। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

নিহত চিত্তরঞ্জন ভুঁইয়া ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেস করার অপরাধে সিপিএমের অত্যাচারে তাকে বাড়ি ছাড়া হতে হয়েছিল। রাজ্যে পরিবর্তনের পর চিত্তরঞ্জন ফের গ্রামে ফিরে এসে তৃণমূল কংগ্রেস করতে শুরু করেন। এই সময় অনেকেই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখায়। যার ফলে তখন থেকেই গ্রামে নব্য তৃণমূলী আর পুরনো তৃণমূলীদের ভাগাভাগি হয়ে যায়। ফের শুরু হয় লড়াই। এলাকার দখলের নেতৃত্ব কাদের হাতে থকবে নব্য না পুরনো এই নিয়ে সমানে লড়াই চলতে থাকে। পুলিশ বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।গত কয়েকদিন ধরে গণ্ডগোল চলার ফলে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন ছিল। শুক্রবার পুলিশ না থাকায় সংঘর্ষ রণক্ষেত্রের আকার নেয়। তখনই আক্রান্ত হয় চিত্তরঞ্জন, দুলাল ঘোষ সহ আটজন। তাদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কোলাঘাটে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর মৃত্যু হয় চিত্তরঞ্জনের। দুলালকে কলকাতায় এস এস কে এম হা্সপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

চিত্তরঞ্জনের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নতুন করে সংঘর্ষ ঠেকাতে মোতায়েন করা হয়েছে গ্রামে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় পান জানান, ঠিক কি কারণে ঐ গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখব। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, এটা কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ব্যাপার নয়। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।

Published on: জানু ১২, ২০১৮ @ ২৩:২৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + = 23