বাম্বু মিশন আর গোবর্ধন ! এই নিয়ে চলছে বিজেপির জনার্দন, ২০১৯-র পর তো দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না, কটাক্ষ মমতার

এসপিটি এক্সক্লুসিভ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ২, ২০১৮ @ ২১:১৭

এসপিটি নিউজ, উলুবেড়িয়া, ২ ফেব্রুয়ারিঃ হাওড়ার ডুমুরজলার সভা থেকে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের সেবায় বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের তীব্র কটাক্ষ করেন।তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির তফাত আছে। তাঁর কটাক্ষ, কৃষকদের ঋণ মুকুব করতে পারে না আর বাম্বু মিশন করে বিজেপি। এক হাতে ঝান্ডা আর এক হাতে ডান্ডা নিয়ে বাম্বু মিশন জিন্দাবাদ করে বেড়াবে।আর কি করেছে দিল্লির বিজেপি সরকার? গোবর্ধন।গোবর্ধনের নাম নয়, গোবর্ধন।গোবরকে দিরে ধন তৈরি করছে।গোবর জমাও আর ওটা ব্যাঙ্কে ঢোকাও।বাম্বু মিশন আর গোবর্ধন এই নিয়ে চলছে বিজেপির জনার্দন।

বিজেপির বাজেট প্রসঙ্গ তুলে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা। তাঁর ক্ষোভ, ১২ হাজার কৃষক আছে ভারতবর্ষে আত্মহত্যা করেছে।তাদের একটাই দাবি ছিল কৃষকদের ঋণটা মুকুব করে দাও।আজ পর্যন্ত করেনি।কৃষকদের আয় বাড়বে কি করে?আজ পর্যন্ত একটা কিছু করেছে?যা টাকা রেখেছে, কোনো সুবিধা রাখেনি।কোনও টাকা সেভাবে রাখা হয়নি।সমস্তটাই মিথ্যে কথা বলা হয়েছে।হতাশার বাজেট, নার্ভাসনেসের বাজেট। ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে নার্ভাস হয়ে গেছে গরমেন্ট।

এরপর তাঁর কটাক্ষ-এটা একটা বাজেট, বাম্বু বাজেট!কি এই বাম্বু বাজেট-১৫০০ কোটি টাকা দিয়ে একটা বাম্বু মিশন তৈরি করছে।শুনেছেন কখনও, বাঁশের মিশন তৈরি করবে।বাঁশ মানে তো বাম্বু।মানে এবার থেকে যারা প্রতিবাদ করবে ঐ বাম্বু দিয়ে পেটানো হবে। মাথা থেকে এল কোথা থেকে, বাম্বু মিশন?নাকি ডান্ডা নিয়ে মিছিল করে বেড়াবে। এক হাতে ঝান্ডা আর এক হাতে ডান্ডা নিয়ে বাম্বু মিশন জিন্দাবাদ করে বেড়াবে। কৃষকদের ঋণ মুকুব করতে পারল না আর বাম্বু মিশনের নাম করে বাম্বু মিশন করে দিল।

তাঁর প্রশ্ন, আর কি করেছে দিল্লির বিজেপি সরকার? গোবর্ধন। এরপর মমতার কটাক্ষ- গোবর্ধনের নামে নয়, গোবর্ধন।গোবরকে দিয়ে ধন তৈরি করছে।গোবর জমাও আর ওটা ব্যাঙ্কে ঢোকাও।গোবর জমাও আর ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করে দাও।আরে মাথায় ঢুকল না গোবর্ধনটা কি? আপনারা কি কেউ বুঝতে পারছেন?ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুরা গোবরটাকে বলেছে জমা রাখতে ওটা নাকি ধন। ধন-সম্পত্তি হলে ব্যাঙ্কে রাখবেন। বাম্বু মিশন আর গোবর্ধন এই নিয়ে চলছে বিজেপির জনার্দন।

বিজেপির বিরুধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মমতা বলেন, বাংলায় আমরাই একমাত্র পার্টি, বাকি তিন পার্টি যুক্ত করলেও আমাদের ধারেকাছে আসতে পারবে না।মানুষের আশীর্বাদ-শুভেচ্ছা-দোয়া আছে আমাদের উপর।এটা মানুষের অহঙ্কার। আমরা কৃতজ্ঞ মানুষের কাছে।কমরেডদের জিজ্ঞাসা করুন-কে ফার্স্ট হবে, কে সেকেন্ড হবে, কে থার্ড হবে এটা দেখবার আমাদের কোনও প্রয়োজন নেই।যে জিতবে সেই সিকান্দার।কোনও কিছু করবার ক্ষমতা নেই শুধু লোক খুন করছে, মিড-ডে-মিলের টাকা কমিয়ে দিয়েছে,বাচ্চারা যাতে মিড-ডে-মিল খেতে না পারে।সংখ্যালঘুদের টাকা ৪ হাজার কোটি টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার কোটি টাকা করে দিয়েছে।৫০ লক্ষ লোকের নাকি স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে, এদিকে টাকাই নেই।ফান্ডে টাকা নেই টোটালটাই ভাঁওতা।নার্ভাস হয়ে গেছে। এমন হারা হারবে না ২০১৯-এ যে বিজেপিকে আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না।দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না, বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর তিনি বলেন, সিপিএম গোহারা হেরেও লজ্জা নেই।এত নির্লজ্জ সিপিএম আর কংগ্রেস যে পিঠে দিয়েছে কুলো আর কানে দিয়েছে তুলো।আর যত পারে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের নামে গালাগালি দিয়ে যায়।আর কোনও কাজ নেই। মমতা বলতে থাকেন, আজও বিধানসভায় ওরা বড় বড় ভাসন দিচ্ছিল।আমি বললাম-আপনাদের কি একটুও লজ্জা নেই?একটুও ঘৃণা নেই, একটুও ভয় নেই।সিপিএম-কংগ্রেস যত বেশি আমাদের অন্ধ বিরোধিতা করবে ততই তারা ইঁদুরের গর্তে ঢুকে যাবে।মানুষ ক্ষমা করবে না।এত অপরাধ করেও লজ্জা করে না!এতদিন ধরে এখানে রাজত্ব করেছে,ওদের দেনা আমাদের শোধ করতে হচ্ছে। ওদের দেনায় আমরা জর্জরিত হয়েছি। আজকে আমাদের একটা সরকার সারা পৃথিবী ঘুরে দেখান আমাদের সরকার যে কাজ করেছে এই কাজ কোনও সরকার করে দেখাতে পারবে না-আমি গর্ব করে বলি।একটা অন্য রাজ্যে গিয়েও যদি কেউ খুন হয়ে যায় তার পরিবারকেও আমরা সাহায্য করি।একটা ছোট্ট বাচ্চা জন্মালে তাকে আমরা একটা গাছ দিয়ে মানুষ করি।সে যখন বড় হবে গাছটা বিক্রি করে তার পয়াশুনোর খরচা চলে যাবে।জন্মালেই সবুজশ্রী। স্কুলে গেলেই মিড-ডে-মিল।অথবা খাতা অথবা বই অথবা পড়ার জামা-কাপড়।অথবা শিক্ষাশ্রী তপশিলি আদিবাসীদের। সংখ্যালঘুদের জন্য সংখ্যালঘু স্কলারশিপ, আছে কন্যাশ্রী। উচ্চ শিক্ষার জন্য ২০০ কোটি টাকা দেওয়া আছে।কন্যাশ্রী আমার ৪৫ লক্ষ।খুব ভাল কাজ করছে আমার কন্যাশ্রীর মেয়েরা, তারা আমাদের গর্ব।তাদের স্কলারশিপও ৭৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।কৃষকের ভাতা ৭৫০ থেকে ১০০০টাকায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।কৃষকদের জন্য খাজনা মুকুব করা হয়েছে।মিটেশন ফি মুকুব করা হয়েছে।

মনে রাখবেন, এই সরকার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর বিরোধী দলগুলির কোনও কাজ নেই নিজেরা যখন ক্ষমতায় ছিল কিছু করতে পারেনি সবার অভিশাপ নিয়ে ফিরে গেছে। আর এখন বলছে-এই চাই-ঐ চাই, এই দাও-ঐ দাও।ওদের বলায় তো কো্নও ট্যাক্স নেই। আর টাকাটা তো ওদের দিতে হবে না।দেনা করে চলে গেছে।একটা স্কিম করতে পেরেছিল? এবার আরও একটা স্কিম তৈরি করে দিয়েছি।আপনারা দেখেছেন কন্যাশ্রীর মতো রূপশ্রী তৈরি করে দিয়েছি।মেয়েরা বিবাহযোগ্য হলে ১৮ বছর বয়স হলে-যাদের বাৎসরিক আয় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা তাদের পরিবারের মেয়েদের বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা করে পাবেন।কন্যাশ্রী যেমন পাচ্ছে রুপশ্রীরাও পাবে। মেয়েরা আমাদের গৃহলক্ষী।ওরা আমাদের ঘরের লক্ষী।মনে রাখবেন এইসব কাজগুলি আমরা করছি।

Published on: ফেব্রু ২, ২০১৮ @ ২১:১৭

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

50 − 43 =