
সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল
Published on: মার্চ ২৮, ২০১৮ @ ২১:১৮
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ২৮ মার্চঃ বুধবার আবার বোঝা গেল বাঘ ধরার কাজে বন দফতর যে পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছে তা কতটা সঠিক। সেই সঙ্গে বন দফতরের অযোগ্যতাও প্রকাশ পেল এদিন পর্যন্ত। আর তা করে দিয়ে গেল সেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি। যাকে নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে বন দফতর নানা পরিকল্পনা করে চলেছ কার্যত দেখে গেল এসব কিছুই সেই ধূর্ত বাঘের কাছে আদতে “অশ্বডিম্ব” ছাড়া কিছুই নয়।যে বাঘটিকে ধরার জন্য এত আয়োজন বুধবার সেই বাঘটিকেই গুড়গুড়িপাল থানার বাঘঘরার জঙ্গলে খোশমেজাজে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল। এর ফলে প্রমাণ হয়ে গেল বাঘটি তার সেই পুরনো করিডরের মধ্যেই অবস্থান করে চলেছে। এখন তাই প্রশ্ন উঠল তবে কেন বন দফতর তাকে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে দিনের পর দিন?
গত ২ মার্চ শেষবারের মতো বাঘটিকে বন দফতরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় দেখে গেছিল। তারপর বাঘটিকে ধরার জন্য বন দফতরের আয়োজনে কোনও খামতি ছিল না। খামতি যা ছিল তাহল বাঘের অবস্থান জানার মতো সেইরকম দক্ষ কর্মী তাদের হাতে না থাকা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বাঘটি সেই লালগড়, গোয়া্লতোড়, শালবনী, গুড়গুড়িপাল-এর বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই জঙ্গল এলাকাকে সে এই কদিনে স্থানীয় বন কর্মীদের চেয়ে বেশি ভালো চিনে নিয়েছে। দীর্ঘদিন এখানে কাজ করেও জঙ্গলের যে জায়াগাগুলে স্থানীয় বনকর্নীদের অচেনা, অজানা সেই জঙ্গলের প্রতিটি কোনা-ঝোপঝাড়, গোপন আস্তানা খুঁজে নিয়েছে ওই রয়্যাল বেঙ্গল। যার ফলস্বরূপ সে বন কর্মীদের বোকা শুধু নয়, প্রমাণ করে দিচ্ছে তাকে ধরা অত সহজ নয়।
বুধবার সকালে বাঘঘরা সুরক্ষা কমিটির সদস্য মানিক মাহাতো, রঞ্জিত মাহাতো, পঞ্চানন রানা, হরেন মাহাতোরা রোজকার মতো ওই জঙ্গলে গেছিল।তারা তখন পাহারা দিচ্ছিল। সেইসময় তাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটিকে। এত কাছে বাঘ দেখে ভয়ে আঁতকে ওঠেন তারা। এরপর তারা যখন বন কর্মীদের এসে খবর দেয় ততক্ষণে বাঘটি জায়গা পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে গেছে। ফলে বন কর্মীদের ফের ছোটাছুটি, গ্রামবাসীদের সতর্ক করার কাজ শুরু হয়ে যায়।প্রমাণ হয়ে যায় বাঘ রয়েছে নাগালেই।তাকে এখনও না ধরতে পারাটা বন কর্মীদের ব্যর্থতা।
Published on: মার্চ ২৮, ২০১৮ @ ২১:১৮