বটগাছের ডালে ঝুলে পড়ার আগে যুগল কি লিখে রেখে গেল

রাজ্য
শেয়ার করুন

এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রামঃ দুই পরিবারের সকলেই ভেবেছিল, এবার বোধ হয় সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যা ঠিক হওয়ার নয়, তা কি কোনদিন ঠিক হয়?গোয়ালমারা গ্রামেও তাই ঠিক হয়নি।অবোইধ সম্পর্কের বাঁধনে আটকে চিরতরে নিভে গেল দুটি তরতাজা প্রাণ। এক নব বিবাহিত যুবক আর দুই নাবালক সন্তানের মা। সবটাই ঘেটে গেল।গ্রামের এক বটগাছের ডালেই ঝুলে পড়ল তারা। যাওয়ার সময় গাছের নীচে ফেলে রেখে দিয়ে গেল তাদের “সুইসাইডাল নোট”।যাকে ঘিরে দানা বাধঁছে অনেক প্রশ্ন। পুলিশও যুগলের মৃত্যুর আগে লিখে রেখে যাওয়া লাইঙ্গুলি ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার গোয়ালমারা গ্রামের একটি বটগাছে যুবক-যুবতীর মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়। এলাকার বাসিন্দাদের চোখে এই দৃশ্য পড়তেই গ্রাম জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গোটা ঘটনাটি তারা জানায় স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৮ পাতার এক সুইসাইড নোট উদ্ধার করে।

মৃত বাড্ডু হেমব্রম (৩০)ও সোনামণি বাদল (৩৫)-এর বাড়ি বেলিয়াবেড়া থানার ডাইনমারি গ্রামে।বাড্ডু বেলিয়াবেড়া থানায় সিভিক ভল্যান্টিয়ারের কাজ করত। মাত্র দু’মাস আগে সে বিয়ে করে। মৃত সোনামণি বাদলের ১২ আ ৬ বছরের দুটি ছেলে আছে।সোনামণির স্বামী চুনারাম বাদল গ্রামে চাষবাসের কাজ করে। জানা গেছে, সোনামণি আর বাড্ডুর মধ্যে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের কথা কিছুদিন আগে জানাজানি হতেই দুই পরিবারের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। সোনামণি নিজেই দেখাশুনো করে বাড্ডুর বিয়ে দেয়। এমনকী, সোনামণির বাড়িতে বাড্ডুর অবাধ যাতায়াত ছিল।বিয়ের পর বাড্ডুর স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গে সোনামণির অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারে। তারপর থেকে বাড্ডুর পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। যদিও দুই পরিবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেনি। দুই নাবালক ছেলেকে বুকে আঁকড়ে সমানে কঁদে চলেছে চুনারাম।তবে দুই যুবক-যুবতীর এমন অস্বভাবিক মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ তাকিয়ে আছে উদ্ধার হওয়া সেই সুইসাইসাড নোটের দিকেই।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 3 = 6