Published on: মে ৪, ২০১৯ @ ০৯:২৭
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা-আতঙ্ক-ভয়ের মেঘ কেটে গেল পশ্চিমবঙ্গের উপর থেকে ‘ফণী’ দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশের দিকে এগোতেই। রাত দেড়টা নাগাদ এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আচমকাই তার দিক পরির্তন করে। যার ফলে এ যাত্রায় রক্ষে পেল কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। তবে প্রবল বৃষ্টির হাত থেকে ছাড় মেলেনি। গভীর রাত থেকে জায়গায় জায়গায় প্রবল বর্ষণে বহু জায়গায় জল জমে গিয়েছে।
সারা রাত আতঙ্কেই কাটাল মানুষ
1) শুক্রবার রাতে ‘ফণী’ উড়িষ্যার দিক থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করে। কিন্তু সেটি আর কলকাতা মুখী না হয়ে আচমকাই তার দিক পরিবর্তন করে ফেলে। ফলে কলকাতা ও তার লাগোয়া দুই জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষ সারা রাত আতঙ্কেই কাটাতে থাকেন। কখন ‘ফণী’ আঁছড়ে পড়বে, এই আশঙ্কায়। কিন্তু ততক্ষণে ‘ফণী’ যে দিক পরিবর্তন করে অন্য দিকে ঘুরে গিয়েছে সেটা রাত জাগা মানুষ বুঝতে পারছিলেন না।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি
2) তবে ফণির প্রভাবে কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়ায় রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দিঘা সহ গোটা উপকূলজুড়েই জলোচ্ছ্বাসও দেখা গিয়েছে। সেটা লক্ষ্য করা গিয়েছে কাকদ্বীপ, হলদিয়ার মতো নদী তীরবর্তী এলাকগুলিতেও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে কিন্তু বৃষ্টির প্রভাব বাড়বে।
রবিবার থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে
3) গভীর রাতেই ‘ফণী’ দিক পরিবর্তন করে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যায়। যাওয়ার সময় আসামেও কিছুটা নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। ফলে সেখানেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে। এর ফলে গোটা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ ‘ফণী’র ‘বিষাক্ত দংশন’-এর থেকে রক্ষা পেল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বেলা যত গড়াতে থাকবে দুর্যোগ ততই কমতে থাকবে। আকাশও পরিষ্কার হতে শুরু করবে। আগামিকাল সকালের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাবভাবিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Published on: মে ৪, ২০১৯ @ ০৯:২৭