Published on: জুলা ৩১, ২০২১ @ ২১:২৮
এসপিটি নিউজ: শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে পুওলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের পান্ডা এবং জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের আত্মীয় মহম্মদ ইসমাল আলভি ওরফে লম্বু ওরফে আদনান মাসুদ আজহার সহ দু’জন জঙ্গি। তবে দ্বিতীয় জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।য়াজ দক্ষিণ কাশ্মীরের পুল ওয়ামার দাচিগামের নামিবিয়ান এবং মরসর এলাকার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। আজহার মাসুদের আত্মীয় লম্বু হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার একে নিরাপত্তা বাহিনীর বড় সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এনকাউন্টার ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭, একটি এম-৪ রাইফেল এবং অন্যান্য গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
লম্বুর পরিচয়
আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মহম্মদ ইসমাল আলভী ওরফে লম্বু ওরফে আদনান মাসুদ আজহার মাসুদের পরিবারের সদস্য ছিলেন, যিনি পাকিস্তানে জইশ-ই-মহম্মদ সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান ছিলেন। তিনি একজন আইইডি বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং ২০১৯সালের ফেব্রুয়ারির লেথপোরা পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনায়ও জড়িত ছিলেন যাতে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হন। লম্বু আত্মঘাতী হামলার দিন পর্যন্ত আদিল দারের সঙ্গেই ছিলেন। শুধু তাই নয়, তার কণ্ঠ আদিল দার ভাইরাল ভিডিওতেও ছিল।
নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ
পাকিস্তানি জঙ্গি লম্বু ভাই নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছিল। পুলিশ বেশ কয়েক বছর ধরে জঙ্গি লম্বু ভাইকে খুঁজছিল, যাকে আইইডি তৈরিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হত। গত বছরের নভেম্বরে লম্বুকেও নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে রেখেছিল কিন্তু রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সে এনকাউন্টার সাইট থেকে পালিয়ে যায়। পুলওয়ামা হামলার পর থেকে জাইশ-ই-মহম্মদের বিশেষ আইইডি বলে বিবেচিত তিনজন সন্ত্রাসী নিরাপত্তা বাহিনীর টার্গেটে ছিল। দুই আইইডি স্পেশালিস্ট ডা সাইফুল্লাহ, ওয়াহিদ ভাইকে গত বছর জুলাই ও নভেম্বর মাসে একটি এনকাউন্টার চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে হত্যা করে কিন্তু লম্বু ভাই এনকাউন্টার থেকে পালানোর পর মাটির নিচে চলে যান। পুলিশ শুধু এতাই জানত যে তিনি পুলওয়ামার কোথাও লুকিয়ে ছিলেন।
গুলির লড়াই
একজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আজ সকালে ডাচিগামের নামিবিয়ান এবং মরসার এলাকার মধ্যে জঙ্গলে কিছু সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে দেখা গেছে বলে তারা জানতে পারে। এরপরই সেখানে এসওজি, সেনাবাহিনীর ৫৫ আরআর এবং সিআরপিএফ ১৯২ ব্যাটালিয়নের একটি যৌথ দল সেখানে পৌঁছে যায়। তারা জঙ্গলে জঙ্গিদের খুঁজতে শুরু করলে তারা সামনে থেকে গুলি চালাতে শুরু করে।
পালাতে গিয়েই গুলিতে নিহত
নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা জবাব দেওয়ার আগে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয় কিন্তু তারা সমানে গুলি চালিয়ে যায়। জঙ্গলের আড়ালে জঙ্গিরা সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, নিরাপত্তা বাহিনী সংক্ষিপ্ত লড়াইয়ে উভয় সন্ত্রাসীকে একের পর এক হত্যা করে। নিহত জঙ্গিদের মৃতদেহ নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গেছে। নিহত জঙ্গিদের শনাক্ত করার জন্য যখন স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয়, তখন দেখা যায় যে নিহতদের মধ্যে একজন জইশ-ই-মহম্মদের কুখ্যাত সন্ত্রাসী লম্বু ভাইও রয়েছে। যদিও দ্বিতীয় সন্ত্রাসীর পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি, তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে তিনিও একজন বিদেশী। এনকাউন্টার ঘটনাস্থল থেকে দু’টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং অন্যান্য গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
আইজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার এই সাফল্যের জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লম্বু নিহত হওয়ার পর উপত্যকায় আইইডি চ্যালেঞ্জ কিছুটা হলেও কমবে।
Published on: জুলা ৩১, ২০২১ @ ২১:২৮