সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: এপ্রি ২, ২০১৮ @ ০০:০৯
এসপিটি নিউজ, গোয়ালতোড়, ১ এপ্রিলঃ পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই শুরু হয়ে গেল দলবদল। গোয়ালতোড় দিয়েই শুরু হয়ে গেল এই প্রক্রিয়া। সেখানকার বিজেপি নেতা বিমান রায় তার অনুগামীদের নিয়ে রবিবার যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর পাঁচজন তৃণমূল কর্মীর মতো তিনিও জানিয়ে দেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তাকে এও বলতে শোনা যায় যে স্বেচ্ছায় তিনি এই দলে যোগ দিয়েছেন।রাজনৈতিক মহল মনে করছে অন্য কথা। তারা বলছে, বিজেপির এইসব নেতা-কর্মীরা বুঝে গেছে পঞ্চায়েত ভোটে কি হতে চলেছে। সেখানে বিজেপি কেমন ফল করতে চলেছে।আসলে দলের উপর আস্থা হারিয়েই এরা তৃণমূলে ভীড়ছে। এজন্য বিজেপির খুব বেশি হেরফের হবে না।
গোয়ালতোড়ের এই বিজেপি নেতার যোগ দেওয়ার খবরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের বিধায়করা। শালবনীর বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে যেমন বলতে শোনা গেন, গোয়ালতোড়ের এই নেতার দলে যোগদান এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করে তুলল। গড়বেতার বিধায়ক আশীষ চক্রবর্তী বলেন, বিমানবাবু ও তার অনুগামীদের দলে যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে। তারা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের হয়ে কাজ করবেন।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিমান রায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে দল তাকে যে দায়িত্ব দেবে তিনি সেই দায়িত্ব পালন করবেন।কিন্তু তিনি ও তার লোকজন আচমকা ঠিক কি কারণে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সেটা তিনি কবুল করেননি।অনেক সময় দেখা গেছে, নতুন দলে যোগ দিয়ে অনেকেই পুরনো দল সম্পর্কে যা তা বলে বেড়ান। এখানে তে্মনটা দেখা গেল না।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে আছে? যা বিমান রায়দের মুখ দিয়ে বলতে দেওয়া হল না!যেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দলীয় কর্মীদের উদবুদ্ধ করতে কত গরম কথাই না বলে চলেছেন। তারপরও যদি দলের কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেয় তাহলে প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক। তবে কি, বিজেপি কর্মীরা পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বুঝে যাচ্ছে যে ফল কি হতে চলেছে, তাই আগে থেকেই দল বদল করে নিজেকে নিরাপদ রাখাই শ্রেয় মনে করছেন? জবাবের জন্য অপেক্ষা করে থাকতেই হবে।
Published on: এপ্রি ২, ২০১৮ @ ০০:০৯