Published on: জুন ১০, ২০১৯ @ ২৩:৫০
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশের নিরাপত্তা ও বাংলায় হিংসার ঘটনা নিয়ে এক বৈঠক ডেকেছিলেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভাল। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যদিও, রাজ্যপাল একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেছেন। নিরাপত্তা বৈঠক নিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গী বলেছেন, যেভাবে বাংলায় হিংসা ছড়াচ্ছে তাতে এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। দলীয় কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে বিজেপি এদিন ১২ ঘণ্টার বসিরহাট মহকুমা বনধের ডাক দিয়েছিল। একই সঙ্গে এদিন রাজ্যে কালাদিবসও পালন করে তারা।
বিজয়বর্গী জানিয়েছেন, “বাংলায় হিংসা ছড়ানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। তিনি পরিবর্তনের ভাবনা থেকে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।মমতা তাঁর দলীয় কর্মীদের বলছে যেখানে তাঁর দল হেরেছে সেখানে তারা যেন বিজেপি কর্মীদের নিশানা বানায়। অর্থাৎ সমস্ত গুন্ডা তৃণমূলের পাশে আছে তাদের কাছে পিস্তল ও বোম আছে। আমাদের কর্মীদের কাছে কোনও হাতিয়ার নেই। বাংলায় এভবে হিংসা ছড়াতে থাকলে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ তো করতেই হবে। প্র্যয়োজন হলে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনও জারি হতে পারে।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব বলছেন- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
বাংলায় হিংসার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রবিবার অ্যাডভাইসরি নোটিশ জারি করে। সেখানে মমতা সরকার রাজ্যে মানুষের বিশ্বাস অর্জনে ব্যর্থ বলে জানানো হয়। রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে সোমবার এর জবাব দিত্তে গিয়ে দাবি করেন-রাজ্যে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মুখ্যসচিব চিঠিতে লিখেছেন-“ভোটের পর কিছু অসামাজিক তত্ত্ব দ্বারা হিংসা ঘটানো হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা রুখতে আধিকারিকদের দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।”
“মমতা বোম, গুলি এবং বারুদের রাজনীতি করছে”-বিজেপি
বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হোসেন সোমবার জানান- “মা-মাটি-মানুষ-এর রাজনীতি করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বোম, গুলি, বারুদের রাজনীতি করতে শুরু করেছে।” বিজয়বর্গী বলেন- আমার বিশ্বাস বাংলায় এই হিংসার ঘটনা কেন্দ্রীয় সরকার খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। মানুষের ভিতর এই হিংসা নিয়ে ক্ষোভ আছে।
মমতা বলছেন -নিহতের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা বলছে বিজেপি
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- বিজেপি নিহতের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা বলছে। ওই ঘটনায় দুই ত্ররণমূল কর্মী ও একজন বিজেপি কর্মী নিহত হয়েছে। আর বিজেপি বলছে মারা গিয়েছে তাদের চারজন। মিথ্যা বলছে। যদি তাই হয় তাহলে তাদের নাম, ঠিকানা জানাক। এই প্রশ্নের জবাবে মুকুল রায় বলেন, আমরা যদি নিহতদের নাম, ঠিকানা দি তাহলে মুখ্যমন্ত্রী তাদের খুঁজে দিতে পারবেন তো? আর তা না দিতে পারলে উনি পদত্যাগ করবেন কি?
Published on: জুন ১০, ২০১৯ @ ২৩:৫০