দুর্গাপুর, ৩০ নভেম্বরঃ ডেপুটেশন দিতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি নেতা-নেত্রীসহ কর্মীরা।আহত ১৫ জন।শ্লীলতাহানির অভিযোগও জানিয়েছেন এক বিজেপি নেত্রী।অভিযোগ তৃনমূলের বিরুদ্ধে।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের বিডিও অফিসে।
এদিন ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে নয় দফা দাবীর ভিত্তিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।অন্যান্য ব্লকগুলিতে নির্বিঘ্নে এই কর্মসূচী সম্পন্ন হলেও ফরিদপুর ব্লকে উত্তেজনা ছড়াল।নেতৃত্বে ছিলেন পান্ডবেশ্বর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র প্রার্থী জীতেন চ্যাটার্জী এবং তার স্ত্রী মহিলা মোর্চার নেত্রী সোনালী চ্যাটার্জী।অভিযোগ, যখন তারা ডেপুটেশন দিতে যান তখন ব্লক সমষ্টি আধিকারিকের অফিসেই ছিলেন ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়। সেখান থেকে সুজিতবাবু বেরিয়ে যেতেই হঠাত প্রায় ১৫০ জন হাতে রড,লাঠি,বাঁশ নিয়ে আক্রমন চালায়।আহত হন বিজেপি নেতা জীতেন চ্যাটার্জী তার স্ত্রী মহিলা নেত্রী সোনালী চ্যাটার্জী সহ মোট ১৫ জন বিজেপি সমর্থক।আহত নেত্রী সোনালী চ্যাটার্জীর অভিযোগ “”আগে থেকেই ওরা তৈরী ছিল।আমরা গরিব মানুষের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে গিয়েছিলাম।কোনো মানুষের সাথে লড়াই করতে যায়নি।কিন্তু যেভাবে পরিকল্পিত আক্রমন করল তা নিন্দনীয়।” তাকে “শ্লীলতাহানি” করা হয়েছে বলেও সোনালীদেবী অভিযোগ তোলেন।বিজেপি র আহত নেতা কর্মীদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তিনজনকে ভর্ত্তী করতে হয়।তিনজন বিজেপি কর্মীর মধ্যে একজনের হাত ও একজনের পা ভাঙে এবং একজনের মাথা ফেটে যায়।
তৃণমুল কংগ্রেস এর ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় এর পালটা অভিযোগ, “বিজেপি কর্মীরা ডেপুটেশন দেওয়ার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করতে থাকে এবং তারা নিজেরাই মারামারি করে শাসকদলকে কলঙ্কিত করে।আমাদের কর্মীরা সংযত ছিল।”এই ঘটনা ঘিরে ফরিদপুরে চাপা উত্তেজনা।