এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ২৯ মার্চঃ হয় বাঘ নয় হাতি- সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত এই দুয়ের আতঙ্কে দিন কাটছে ঝাড়গ্রাম-পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষদের। আজ যদি বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক ছড়ায় তো কাল আবার হাতির তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়ছে মানুষ। বিগত বছরগুলিতে কোনওদিন এমন সঙ্কটে পড়তে হয়নি এখানকার মানুষজনকে। বৃহস্পতিবার যেমন দুটি দলছুট দাঁতালের তাণ্ডবে ত্রাহিত্রাহি রব ছেড়েছেন এলাকাবাসী। এজ এসব দেখভাল করে মানুষকে রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব সেই বন দফতরের কথা বেশি না বলাই ভাল। পশ্চিম মেদিনীপুর আর ঝাড়গ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলে শুরু করেছে। তারা না পারছে বাঘটিকে ধরতে না পারছে এইসব হাতির তান্ডব থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষে করতে।
বৃহস্পতিবার দলছুট দুটি দাঁতাল ঝাড়গ্রাম ব্লকের আগুইবনী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরিহাঁড়ি, আসনবনী, বড়পাল সহ পাশের কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালায়। হাছের কাঁঠাল খেয়ে ফেলে। মাঠে বোরো ধানের যে চাষ হয়েছে তাও নষ্ট করে দেয়।
হাতির তাণ্ডবে গ্রামের মানুষ দিনের বেলাতেও চলাফেরা করতে পারছে না। বন দফতরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বন দফত্র জানিয়েছে, তারা হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখছে। গ্রামবাসীরা বলছে, নজর রেকেহে কি হবে! তারা যা ক্ষতি করার তা তো করেই দিচ্ছে। নজর রেখে কি হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য পাওয়া যায়নি।