জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ওরা বলে উঠলেন “আমরাই মোহনবাগান পরিবার”

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল  ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: ডিসে ২৮, ২০১৭ @ ২২:৫৯

এসপিটি নিউজ, শালবনী, ২৮ ডিসেম্বরঃ জাতীয় ক্লাব মোহনবাগানকে ঘিরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে ভানবাস। প্রিয় ক্লাবকে নিয়ে যারা সবসময় স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। আর সেই মোহনবাগান ক্লাবের সমর্থকরা মিলেই গড়েছেন “আমরাই মোহনবাগান পরিবার”। যারা দলের হয়ে যেমন গলা ফাটান তেমনই আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্যও করে থাকেন। যেমনটা করলেন তারা আজ বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহলে এসে আদিবাসী মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে।

ইদানীং কালে এদেশের কোনও ক্লাবের সমর্থকদের এমন উদ্যোগ সচরাচর চোখে কিন্তু পড়েনি। যা করে দেখালেন “আমরাই মোহনবাগান পরিবার”-এর সদস্যরা। এক অভূতপূর্ব কাজ করে দেখালেন তারা।জঙ্গলমহল ব্যাকওয়ার্ড এডুকেশনাল ট্রাস্টের সহযোগিতায় ও মোহনবাগান পরিবারের সদস্য ও জেলার বিশিষ্ট ক্রীড়া প্রশাসক সন্দীপ সিংহের সহায়তায় আজ সামাজিক দায়বদ্ধতার অনুষ্ঠান হয়ে গেলো বরজু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।যাখানে হাজির হয়েছিল বহু আদিবাসী ছেলেমেয়ে। কলকাতা থেকে আসা মোহনবাগান পরিবারের সদস্যদের আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।

সদর উত্তর শালবনীর ২৫ জনের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সারাদিন ধরে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মোহনবাগান ক্লাব সম্পর্কিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে ১২০ জন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এসএসকে-র ছাত্র-ছাত্রীদের হাতেও উপহার তুলে দেওয়া হয়।এই এলাকার মুলত আদিবাসী অনগ্রসর ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলির বাচ্চাদের শীতের কম্বল এবং ক্রীড়া ও পড়াশোনার সরঞ্জামও দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ ও বিশিষ্ট সমাজসেবী কাসেম খাঁ,রামপদ মাহাত,কৃষ্ণেন্দু বিষয়ী,শান্তনু দে, সঞ্জীব তোরই প্রমুখ।সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সন্দীপ সিংহ ও নির্মাল্য মুখার্জী।উপস্হিত দর্শকদের মধ্যে লালমোহন মাহাতর দলের ঝুমুর ও বিভীষণ চালকের লোকগীতি ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে। সব মিলিয়ে ঐতিহ্যপূর্ণ ভারতের জাতীয় ক্লাব মোহনবাগানের ফ্যান ক্লাবের সমাজসেবার অনুষ্ঠান জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষ ও এলাকার ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি করে।

Published on: ডিসে ২৮, ২০১৭ @ ২২:৫৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 2 =