Published on: জুন ৭, ২০১৮ @ ২৩:২৩
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৭জুনঃ থানার ভিতর তথন মাত্র তিনজন। সেকেন্ড অফিসার উত্তম কুমার দে, পুলিশ কর্মী দেবাশিস দাস ও রাহুল পান্ডে। আচমকা গুলির আওওয়াজ। বাইরে থেকে সবাই ছুটে গেল ভিতরে। দেখা গেল, মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছে পুলিশ অফিসার উত্তমবাবুর দেহ। হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জনের কথায় পুলিশ কর্মী দেবাশিস দাসের সার্ভিস রিভলবারটি মাটিতে পড়েই নাকি গুলি ছিটকে বেরিয়ে উত্তমবাবুর বুকে গিয়ে লাগে।ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর টাউন থানায়।
এমন যুক্তি মানতে নারাজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের অনেকেই। যার রিভলবার তার কাছে ছিল না কেন। কিভাবে সেটি থানার টেবিলে এল। দেবাশিসবাবুকে তবে সেটা জমা দিতে এসেছিলেন? আর রাখার সময় সেটি গুলি ভর্তি কেন ছিল? গুলি তো বের করে রেখে টেবিলে রাখা উচিত ছিল। আর টেবিলে রাখার পর সেটি গিয়ে সেকেন্ড অফিসার উত্তম কুমার দে-র বুকে গিয়ে লাগল কিভাবে? এসব নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঘটনাটিকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে। সত্য উদ্ঘাটন করা হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উত্তমবাবুর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তিনি রেখে গেলেন দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে।পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যেহেতু ওই অফিসার থানায় ডিউটি করার সময় মারা গেছেন তাই তাঁর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।
Published on: জুন ৭, ২০১৮ @ ২৩:২৩