সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল
Published on: মার্চ ৪, ২০১৮ @ ২২:৩৮
এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ৪ মার্চঃ রাজ্যে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি উপ-নির্বাচন হয়ে গেছে। যেখানে দলীয় প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জেতানোর স্লোগান তুলেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সেই নির্বাচন গুলিতে তৃণমূলের পালটা সভায় গিয়ে কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে বলেছিলেন ক্ষমতা থাকলে আগে নিজে একটা বুথে জিতে দেখাক তারপর গোটা কেন্দ্রে জেতানোর কথা বলবেন। দেখা গেল সব কটি উপ-নির্বাচনেই মুকুল রায়ের দলের প্রার্থী হেরে গেছেন।তারপরও তিনি সমানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষেদগার করতে ছাড়ছেন না।তৃণমূলের একাধিক নেতা তাকে কখনও ‘চাটনি দাদু’ কখনও ‘পচা বাসী খাবার’, কখনও ‘গদ্দার’ বলে তোপ দেগেছেন।এবার সেই গদ্দারির অভিযোগ টেনে মুকুল রায় খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন।
রবিবার ঝাড়গ্রামের পাঁচমাথা মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির কিষান মোর্চার এক জনসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।তার বিরুদ্ধে ওঠা গদ্দারির অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য এদিন তিনি এই মঞ্চটিকেই ব্যবহার করেন। প্রথমেই তিনি তার চিরাচরিত ভঙ্গিতে নতুন একটা স্লোগান তোলেন-‘এবার চলো বাংলা পাল্টাই’। যা নিয়ে স্থানীয় এলাকাতেই সাধারণ মানুষের মধ্য প্রশ্ন ওঠে-এই তো বেশ আছি। বাম আমলের চেয়ে এখন তো ভালোই আছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মুখেই বলেন না কাজেও করে দেখিয়েছেন। পরিষেবাও সঠিকভাবে পেয়ে চলেছি।তাহলে পাল্টানোর কথা আসছে কেন? কেউ কেউ তো এমন প্রশ্নও তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার এই জেলায় পা রেখেছেন সেখানে মুকুল রায় কতবার এসছেন এখানে। এখন বিজেপির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলছেন!আগে নিজের জায়গা ঠিক করুন তারপর এসব বলবেন।
মঞ্চে তখন মুকুল রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সীর বিরুদ্ধে নিশানা করে বলে চলেছেন, মুকুল রায় গদ্দার নয়।
বাজপেয়ীর সময়ের এনডিএ জোট ও জঙ্গলমহল আন্দোলনের সময়ের মুখ্যমন্ত্রী ও ছত্রধর মাহাতর সঙ্গে মিটিং করার ছবি তুলে ধরে মুকুল বলেন, যারা সাহায্য করে লালগড়ে নিয়ে এসেছিল তারা আজ কোথায়? আসলে যারাই মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করেছেন তাদেরকে মুখ্যমন্ত্রী দূরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। তৃণমুল দলটা আসলে আর দল নেই এটা একটা লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।এখানেই না থেমে তিনি আরও বলতে থাকেন, তৃণমুলের নেতারা বেতন ভোগী কর্মচারীতে পরিণত হয়েছে। পিসি-ভাইপোর কোম্পানি।
শেষে তিনি আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব কটি পঞ্চায়েত সমিতি, বুথ জেতার কথা বলে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার ডাক দেন। যা নিয়ে এলাকার মানুষ রীতিমতো হতবাক। মুকুল রায়ের কাছে তাদের প্রশ্ন, তৃণমূল কংগ্রেস দলটা যদি সত্যিই লিমিটেড কোম্পানি হয়ে থাকে আপনি তাহলে আপনিও এতদিন সেই কোম্পানির বেতন ভোগী কর্মচারী হয়েছিলেন?এতদিন বাদে আপনার মনে হল তৃণমূল দলটা পিসি-ভাইপোর কোম্পানি?
Published on: মার্চ ৪, ২০১৮ @ ২২:৩৮