গঙ্গাসাগরে আজ রাত ১২টার পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে মকর স্নান, তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় সজাগ প্রশাসন, হাজির মন্ত্রীরাও

দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published on: জানু ১৩, ২০১৮ @ ২১:১৪

এসপিটি নিউজ, গঙ্গাসাগর, ১৩ জানুয়ারিঃ মকর সংক্রান্তির স্নান ঘিরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজ রাত ১২টার পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে মকর স্নান। কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভি-র পর্দায় যেমন চোখ রেখে জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও যেমন নজরদারি চালাচ্ছেন ঠিক তেমনই মেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গোটা বিষয়টি ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ায়ের নির্দেশে মেলায় এসে পৌঁছেছেন মনীশ গুপ্তাও। এছাড়া সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা তো আছেনই।তবে শনিবার তাপমাত্রার পারদ ফের নিম্নগামী হয়। প্রবল ঠান্ডায় চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সকলেই বয়স্ক বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গনে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ তীর্থযাত্রীর সমাগম হয়েছে। সারা দেশ থেকে এমমকী বিদেশ থেকেও বহু তীর্থযাত্রী যোগ দিয়েছেন মহাতীর্থ গঙ্গাসাগর সঙ্গমে। সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা জানান, এখনও পর্যন্ত এই তীর্থস্থানে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে। আছে সুব্যবস্থা। আজ রাত ১২টার পর থেকে বহু পুণ্যার্থী মকর স্নান শুরু করে দেবন। তবে মূল স্নান হবে আগামী কাল দুপুরের দিকে। চলবে ১৫ তারিখ দুপুর পর্যন্ত।

গতকালই মেলায় এসেছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও অরূপ বিশ্বাস। আজ এসে পৌঁছেছেন মন্ত্রী শোভন্দেব চত্তোপাধ্যায়। তাঁআরা তিনজনেই আছেন মেলার মূল কেন্দ্রে। কচুবেড়িয়ায় যেখান থেকে তীর্থযাত্রীরা আসছেন সেদিকে আছেন দুই মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। লট নম্বর ৮-এ আছেন দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা জানান, তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় তা দেখছে প্রশাসন। মমতা বন্দ্যোপাধায়ায়ের নির্দেশে এসে পৌঁছেছেন মনীশ গুপ্তাও। জেলাশাসক সারাক্ষণ কন্ট্রোল রুমে থেকে মিনিটারিং করে চলেছেন। তাছাড়া মেলায় কয়েক হাজার পুলিশ কর্মী, স্বেচ্ছেসেবক থেকে শুরু করে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের তৎপরতা তো আছেই।উপস্থিত আছেন জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখ।

মেলা চত্বর জুড়ে ছড়িয়ে আছেন বহু সাধু সন্ন্যাসীও। আছে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, মায়াপুর ইসকনের মতো সংস্থাও। এছাড়াও আরও অনেক সংস্থাও আছে তীর্থযাত্রীদের সেবায়। মেলায় সাতটি ড্রোন ক্যামেরা সারাক্ষণ নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। মেলার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এলইডি স্ক্রিনে দেওয়া হচ্ছে তীর্থযাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যাখান থেকে তারা জানতে পারছে ভেসেল, লঞ্চ ছাড়ার সময়সূচি। জোয়ার-ভাঁটার সময়সূচিও। বিধায়ক বলেন, স্নানের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগছে। কারণ, জোয়ার-ভাঁটার জন্য তীর্থযাত্রীদের কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে মিলিয়ে এখন শুধু অপেক্ষা।

Published on: জানু ১৩, ২০১৮ @ ২১:১৪

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

66 − = 64