ক্যালিফোর্নিয়ার লেকে গুপ্ত সুড়ঙ্গঃ রহস্যজনক ‘নরকের দ্বার ‘ ঘিরে বাড়ছে কৌতূহল

বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ৫, ২০১৮ @ ১৬:০৮

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ বিশালাকার একটি লেক। যেখানে অনেকেই সাঁতার কাটে। আর সেই লেকেই এখন এক রহস্যজনক ‘ নরকের দ্বার ‘ দেখা গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বেঋয়েসা লেকের এমন পাতাল সুড়ঙ্গ ঘিরে দেশে-বিদেশে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। কেউ কেউ এই গুপ্ত সুড়ঙ্গ নিয়ে অলৌকিক কথা বলছেন আবার কেউ বলছেন, পৃথিবীকে আঘাত করতে এটি উল্কা দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে এই গুপ্ত সুড়ঙ্গ ঘিরে দানা বেধেঁছে রহস্য।

লেকটি রাস্তার ধার ঘেঁষেই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বেঋয়েসা লেকটিতে জলের মাঝখানে একটি বিরাট গহ্বর ঘিরে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। একটি জায়গায় এই গুপ্ত সুড়ঙ্গের ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে। সেটি পড়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট করা হয়েছিল, যেখানে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।এই ক্লিপিংসটি বর্তমানে ১,৫০,০০ এরও বেশি বার দেখানো হয়েছে এবং দর্শকরা ভয় পেয়েছে।ডেইলি এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে জানা গেছে, একজনের মন্তব্য: “কেন সাঁতার কাটা হ্রদে্র মাঝখানে এমন বিশাল গর্ত আছে, কেন সেখানে আর কোনও দড়ি নেই?”

আর এক জন বলেছেন- “এটা খুব বিপজ্জনক দেখায়।”এবং তৃতীয়জনের মন্তব্য: “যে জলে নরকে যাওয়ার দ্বার আছে।” যাইহোক, দৈত্য গহ্বরটি আসলে মানুষের তৈরি জল যাওয়ার রাস্তা, এছাড়াও এটি গরিমা হোল হিসাবে পরিচিত।এই সুরঙ্গটি হ্রদে নিমগ্ন হওয়ার জন্য বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।

সংবাদপত্রটিতে আরও বলা হয়েছে, বেঋয়েসা লেকে প্রায় ৫২১২ বিলিয়ন গ্যালন জল ধরে রাখতে পারে যতক্ষণ না তা অতিরিক্ত প্রবাহের মধ্যে প্রবাহিত হয়।১৯৯৭ সালে সাঁতারু এমিলি খোয়ালেক এই গহ্বরের নিচে পরে মারা যান।রিপোর্টে বলা হয় যে মিস খোয়ালেক ওই গর্তের দিকে সাঁতরাচ্ছিলেন।

গত বছর বেঋয়েসা জলাধার গত ১১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের জন্য তার পূর্ণ ক্ষমতা পৌঁছেছে।সাইবেরিয়াতে একটি নিখরচায় খিলান আবিষ্কৃত হওয়ার পর এটি্র খবরের শিরোনামে আসে।ক্রোয়েটারের ছবিটি ইউটিউবে ১.৫ মিলিয়ন বার দেখানো হয়েছে এবং গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে এই গুপ্ত সুড়ঙ্গে কী ঘটছে।ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদরা এটি বহির্মুখী জীবনের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছ। এই অংশের দাবি, এই গুপ্ত সুড়ঙ্গের নিচে অন্য জগৎ আছে। যেখানে পৌঁছলে দেখা যাবে নতুন কিছু। কিন্তু এখনও এই গুপ্ত সুড়ঙ্গে কেউ যেমন প্রবেশ করার সাহস দেখাননি ঠিক তেমনই কাউকে পাঠানোরও বন্দোবস্ত করা হয়নি। তবে এক শ্রেণি দাবি করেছে, পৃথিবীকে আঘাত করে একটি উল্কা দ্বারা এটি তৈরি হয়েছে।

আরেকটি তত্ত্ব প্রস্তাব দেয় যে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতার কারণে বিস্ফোরণ ঘটে।সাইবেরিয়ান টাইমস এর সাথে কথা বলে একটি সরকারী কর্মকর্তা বলছেন যে, গর্তটির কারণ কী ছিল তা খুব তাৎপর্যপূর্ণ ছিল কিন্তু এটি একটি উল্কা হয়ে ওঠেনি।কর্মকর্তারা বলেন: “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে পারি যে এটি একটি উল্কা নয়। এখনও তেমন কোনও প্রমাণ নেই।” রাশিয়ান নিউজ চ্যানেল জ্ভেজা টেলিভিশনের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে গর্তের গাঢ় রঙটি “কিছু তাপমাত্রা প্রক্রিয়া” নির্দেশ করে।

Published on: মার্চ ৫, ২০১৮ @ ১৬:০৮

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 2 = 1