সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: জুলা ৯, ২০১৮ @ ২৩:৩৩
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৯জুলাইঃ মেদিনীপুর শহরে বিজেপির কৃষক কল্যান সমাবেশ ঘিতে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলেছেন, মোদিজির আমলে সারা দেশে ১৪ হাজার কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে। অথচ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কৃষকের জন্য একের পর এক উন্নয়ন্মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। মোদি এ রাজ্যের কৃষকের জন্য কি করেছেন? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রদ্যুৎ স্মৃতি প্রেক্ষাগৃহে একুশে জুলাই সমাবেশের সমর্থনে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে তৃণমূল কংগ্রসের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মানস ভুঁইয়া থেকে শুরু করে জেলার অজিত মাইতি, রমাপ্রসাদ গিরি সহ অন্যান্যরা ছিলেন।সকলের বক্তব্যের মূল সুর ছিল বিজেপি বিরোধিতা।
সুব্রত বক্সি, মানস ভুঁইয়ারা প্রশ্ন তোলেন মেদিনীপুরে বিজেপির কৃষক কল্যান সভাকে ঘিরে। যে সভায় মুখ্য বক্তা থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। মানস ভুঁইয়া তো সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, বিজেপি পরিচালিত মহারাষ্ট্রে যেখানে ১১ হাজার কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে সেখানে এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে একজন কৃষকের মৃত্যু ঘটে নি। বরং এখানকার কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার।রাজ্যে ছয় বছরে ৩২০টি কৃষক মান্ডি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের ৮ কোটি ২০০ লক্ষ গরিব মানুষকে দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে সমাবেশ করে বাংলায় বিভেদের রাজনীতি করতে চাইছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোদিজি ভয় পেয়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপির এই বিভেদের রাজনীতি কবর হয়ে যাবে।বলেন মানস ভুঁইয়া।
একই ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুব্রত বক্সিও। তিনি বলেন, এ বছর একুশে জুলাই ২৫ বছরে পা দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা রাজ্যে ঘুরে কোথায় কি প্রয়োজন তা নিজের নজরে এনেছেন। যারা কৃষকের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন তারা কৃষকের জন্য কিছুই করেননি। মমতা বঁচে থাকলে কৃষকদের ১০০ শতাংশ দাবি তিনি পূরণ করবেন। মমতা নেতৃত্বে জোট ২০১৯ সালে ভারতের বুক থেকে সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপিকে বিদায় করবে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি শান্ত বাংলায় চক্রান্ত শুরু করেছে। কিন্তু তাদের এই অপচেষ্টা কোনওদিন সফল হবে না।
Published on: জুলা ৯, ২০১৮ @ ২৩:৩৩