কি কাণ্ড! “টাকাখেকো” ষাঁড় খেয়ে নিল ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা

বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

Published on: জানু ১৮, ২০১৮ @ ১৭:৩৯

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ মানুষখেকো বাঘের কথা জানা আছে। কিন্তু তাই বলে টাকাখেকো ষাঁড়!

হ্যাঁ, এই টাকাখেকো ষাঁড়ই কাল হয়েছে রমজান আলীর। তার উপার্যনের ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা খেয়ে নিল তারই বাড়ির পোষা ষাঁড়। এক রাতেই এতগুলো টাকা ষাঁড়ের পেটের ভিতর চলে যাওয়ায় তিনি এখন সর্বশান্ত।কিস্তিতে কিনেছিলেন ষাঁড়টি। টাকা শোধ না হওয়ার আগেই সেই ষাঁড়ই এখন রমজান আলীর আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিপদ যে মানুষের এভাবে আসবে তা কি রমজান আলী জানতেন। তিনি ভেবেছিলেন ষাঁড় কিনে পরিবারের কিছু সুরাহা হবে। তাই তো তিনি অনেক কষ্টে কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন থেকে কিস্তিতে ষাঁড়টি কিনেছিলেন। এখন আয় তো দূরের কথা এই ষাঁড়ই এখন তার কাছে বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। চার সন্তানকে নিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চালান রমজান। তিন মেয়ে স্কুলে পড়ে। ছেলেটির বয়স তিন বছর। এই অবস্থায় তিনি কিভাবে যে কিস্তির টাকা শোধ দেবেন আর কিভাবে সংসার চালাবেন সেটাই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল সর্দারপাড়া এলাকায় বাড়ি রমজান আলীর।এলাকায় তার একটি পানের দোকান আছে। সেই দোকানই তার ভরসা। সেই দোকানে বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য গত ১০ জানুয়ারি রমজান দোকানে হালখাতা করেন। সেই হালখাতা থেকে বকেয়া দুই লক্ষ টাকার মধ্যে এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা আদায় হয়।

রাতে দোকান বন্ধ করে টাকাগুলি নিয়ে রমজান বাড়ি ফিরে আসেন। শোবার সময় ঐ ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা জ্যাকেটের পকেটে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। চোরের ভয়ে টাকাভর্তি জ্যাকেটটি মাথার কাছেই রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে তার “চোক্ষু চড়কগাছ” হয়ে যায়। দেখে বেড়ার খাঁজে জ্যাকেট ঝুলছে। আর সেই ষাঁড় তখন একটি এক হাজার টাকার নোট চিবোচ্ছে। তা দেখে তড়িঘড়ি তিনি ক্ষতিগ্রস্ত নোটটি ষাঁড়ের মুখ থেকে বের করে নেন। পরমুহূর্তেই তিন মূর্চ্ছা যান।অবস্থা এতই সঙ্গীন হয়ে যায় যে “বেচারি” রমজানকে নিয়ে ছুটতে হয় শেষে হাসপাতালে।

পরিবারে আয়ের রাস্তা পাওয়ার আশা নিয়ে কিস্তিতে কেনেন ষাঁড়টি। আর সেই ষাঁড়ই কিনা “বেচারি” রমজানের বকেয়া আদায়ের ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা হজম করে ফেলল! রমজান আর ঐ ষাড় রাখতে চান না। তিনি বেচে দিতে চান। কিন্তু তাতেও বিপত্তি। কারণ,কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে শুধু মানাই করেনি উলটে তারা জানিয়ে দিয়েছে এক্ষেত্রে রমজানকে তারা কোনওরকম ক্ষতিপূরণ দেবেন না। বিষয়টি তারা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানাবে।

স্থানীয় প্রতিবেশীরাও বলছেন, ষাঁড়টি টাকা খায়। কারণ, তারা ষাঁড়টির সামনে টাকা রেখে দেখেছেন, সেগুলি সে খেয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজার রহমান রমজানের কথা ভেবে বলেন, সত্যি ভাবুন তো, ঐ ষাঁড় যেভাবে রমজানের উপার্যনের টাকা খেয়ে নিল তা বেচারির পক্ষে কতটা কষ্টকর ঘটনা। আমরা তাকে যথাসাধ্য সাহায্যের চেষ্টা করব।

কিস্তিতে কিনে আনা ষাঁড়টি যে শেষে এমন টাকাখেকো হয়ে উঠবে তা কি রমজান জানত? শেষে কিনা আশ্রয়দাতাকেই সর্বশান্ত করে ছাড়ল! ছবি ও সূত্রঃ বিডি২৪লাইভ.কম

Published on: জানু ১৮, ২০১৮ @ ১৭:৩৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

50 − = 49