
Published on: জুন ৩, ২০২১ @ ১৯:০৩
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৩ জুনঃ অন্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গে পুরো লকডাউন করা হয়নি। এখানে মানুষের রুটি-রোজগারের কথা ভাবা হয়েছে। আর সজন্যই বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দিয়েছি। নবান্নে আজ এক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানিয়ে দিয়েছেন কর্মীদিয়ে টিকা দিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা যাবে।আর ১৫ জুন থেকে কোভিড বিধি মেনে খোলা যাবে শপিংমলও।
আজ নবান্নে বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তিনি রাজ্যের কোভিড বিধি মেনে যেভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই-এর কথা বলেন। তিনি মানুষের রুটি-রোজগারের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের বিষয়টি তুলে ধরেন। যে বিষয়গুলি তিনি বলেন তা হল-
কোন সময়ে কোনগুলি খোলা থাকছে
” সবজির বাজার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। মিস্টির দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। আর বেলা ১২টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত সোনা-রূপো, শাড়ি সহ অন্যান্য দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
পরের ধাপে বিকেল চারটে পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে
এর পরের ধাপে খুচরো দোকান বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকছে।সব কিছু বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত।
৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু রাখা যাবে
কর্মীদের টিকা দেওয়ার পর বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু রাখা যাবে।
১৬ জুন থেকে বিধি মেনে খোলা যাবে শপিংমল
১৬ জুন থেকে বিধি মেনে খোলা যাবে শপিংমল। তবে ২৫ শতাংশ ক্রেতা ঢুকতে পারবেন।
দুটি শিফটে কাজ করতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প
১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে দুটি শিফটে কাজ করতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প।তবে তাদের কর্মীদেরও টিকা দিতে হবে।
“আমরা ইতিমধ্যে ১.৪ কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়ে দিয়েছি। আমরা হকার, শ্রমিক, মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে, সবজি বিক্রেতা থেকে শুরু করে, গাড়ির ড্রাইভার থেকে শুরু করে, কন্ডাক্টর থেকে শুরু করে এদের আমরা নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছি।” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিল্পদ্যোগীদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন- “শিল্পের ক্ষেত্রে যা করা যেতে পারে তা হল- আপনারা যদি আপনাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন সেক্ষেত্রে আমরা ভ্যাকসিন দিয়ে দেব। আর যে টাকা ভ্যাকসিন দিতে খরচ হত সেই টাকাটা যদি সরকারি বিপর্যয় তহবিলে দেন তাহলে সেই টাকায় ভ্যাকসিন কিনে দিয়ে দেব। ওই টাকা আমরা নেব না।”
Published on: জুন ৩, ২০২১ @ ১৯:০৩