
দেখতে দেখতে ছ’মাস পার করে ফেলল সংবাদ প্রভাকর টাইমস নিউজ পোর্টাল। শুধু আমাদের পশ্চিমবঙ্গ নয় সুদূর আমেরিকা, ইউরোপ, আফিকা মহাদেশের বহু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে পাঠযোগ্য করে তুলতে পেরেছি আমাদের এই পোর্টালকে।তাদের আশীর্বাদই আমাদের প্রেরণা ও শক্তি। তাদেরই অনুরোধে আমরা চালু করলাম জ্যোতিষ বিভাগ। সেই বিভাগে জ্যোতিষ নিয়ে আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ দেবেন পন্ডিত অনিমেষ শাস্ত্রী। তাঁর এক মুল্যবান লেখা দিয়ে এই বিভাগের যাত্রা শুরু হল।
পন্ডিত অনিমেষ শাস্ত্রী
Published on: মে ১৪, ২০১৮ @ ১০:৩৩
আট মানেই শনি। আমাদের অ্যাস্ট্রোলজিতে অষ্টম ভাব খুব মারাত্মক ভাব। অষ্টম ঘরে কোনও গ্রহ থাকলে সেই গ্রহ সঠিক ফল দেয় না। এই অষ্টম ভাবকে আমরা মারক বলি। অষ্টমভাবকে মারক বলি সবাই ভয় পেয়ে যায়। যে মারক মেরে ফেলবে নাকি! অষ্টমভাবটা হল প্রদীপের তলার মতো।লগ্ন হচ্ছে মেইন পাওয়ার। লগ্নকে এক নম্বর ধরে সেখানে যদি যে কোনও গ্রহ অবস্থান করে তবে সেই গ্রহ ভাল ফল দেয় না। সবাই বলে মারক। অনেক ক্ষেত্রে মারক মারকের কাজ করে। এটা আমি নতুন যে বইটা লিখছি ‘নক্ষত্র বিচার’ তাতে এই লেখাগুলো থাকবে। মানে সংখ্যাতত্ত্বের উপর নক্ষত্র বিচার। এটি মূলত জ্যোতিষ নিয়ে যারা চর্চা করছেন তারা ভালো বুঝতে পারবে্ন। সাধারণের জন্য আমি আগে একটা বই লিখেছিলাম-‘মৃত্যু যোগ ও ভাববিচার’। মানুষের মৃত্যু কখন হয়?
আট নম্বর ঘরে বা ১২ নম্বর এই দুটি হচ্ছে মারকের ঘর। মারক অর্থাৎ অশুভ ফলপ্রদান। সেইসময় পরাশর মারক বলে গেছিল কিন্তু আদতে সেটা ততটা মারক নয় সব সময় আট নম্বর ঘরে খারাপ ফল দেবে এর কোনও মানে নেই। খারাপ ফল কখন দেয় তারও একটা সিস্টেম আছে। এইট থাউজেন্ড শনি, মঙ্গল, রবি এক সঙ্গে থাকে এরা তিনজনেই যদি একই নক্ষত্রে থাকে যা খুব কঠিন, তিনটে গ্রহ কি করে এক নক্ষত্রে থাকবে, তাও হয়ে যায়-কারও ২৪ দিনে ট্রানজিট হয়, কারও আড়াই বছরে ট্রানজিট, কারও ৪০ দিনে ট্রানজিট এরকম তো ট্রানজিটের প্রভাব। সব গ্রহগুলি তো এক সঙ্গে ট্রানজিট করে না। ৩০ ডিগ্রি ট্রানজিট করতে কারও ৪০ দিন লাগে, কারও ২৪ দিন, কারও আড়াই বছর, কারও এক আবার কারও দেড় বছর, দু’বছর লাগে।
এর মধ্যে ওই তিনটি গ্রহ রবি, শনি আর মঙ্গল এই তিনটি গ্রহ যদি একই নক্ষত্র পেয়ে যায় অনেক সময় আড়াই ঘণ্টার জন্য পায় অনেক সময় তিন দিনের জন্য পায়, অনেক সময় দু’দিনের জন্য পায়। অনেক সময় চার ঘণ্টার জন্য পায়। একই নক্ষত্র পেয়ে যায়।আর ঐ সময়টাই হল ‘কম্বাস্ট নেচার’। দাহ্য হয়ে যাওয়া। সূর্যের অয়নাংশ থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম। তিন ডিগ্রি কম। এর ফলে মানুষ মারা যায়। মানুষের মৃত্যুযোগের এটাই হচ্ছে পয়েন্ট। এক নক্ষত্রে তো থাকতে পারবে না ঐ তিনটি গ্রহ। খুব কঠিন। আমার জীবনেও এসেছে এই সময়। আমার তিন দিন ৯ ঘণ্টা ছিল। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই সময়টায় আমি ছয়দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। সাধারণ মানুষ জানতে পারবেন কিভাবে, মৃত্যুযোগের প্রভাব? যখনই যে লোক মারা যাবে বা হাসপাতালে ভর্তি হল যমে-মানুষে টানাটানি হল তখনই ‘কমবাস্ট নেচার’ দেখা দেবে। হতেই হবে। নয় ১২, নয় ৪ নম্বর ঘরে নয় ৮ নম্বর ঘরে।
যে লোকই নিজের দ্বারা ট্যালেন্টেড অপরের ইন্সপিরেশন কিংবা অপরের উপদেশে ট্যালেন্টেড নয় নিজে ট্যালেন্টেড তার বুধাদিত্য যোগ আছে। রবি-বুধ একসঙ্গে ‘কমবাস্ট নেচার’-এ নয় আলাদা আলাদা নক্ষত্রে থাকে।শনি ডেস্ট্রয় অর্থাৎ ধ্বংস হলে আড়াই বছর সময় লাগবে জানতে। কারণ শনির আলো আসতে আমাদের কাছে সময় নেয় আড়াই বছর। শনি অনেক দূরের গ্রহ। আর শনি আমাদের ফল দেয়। শনি সহায় না থাকলে তুমি কিচ্ছু করতে পারবে না। যা দেয় শনি আর রাহু।
Published on: মে ১৪, ২০১৮ @ ১০:৩৩