এ কেমন ডাক্তার ! প্রসূতিকে ছুটি দেওয়ার পর শেষে সেই হাসপাতালেই হয়ে গেল প্রসব

রাজ্য স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা– বাপ্পা মণ্ডল

Published on: সেপ্টে ১২, ২০১৮ @ ২৩:০৫

এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১২ সেপ্টেম্বরঃ এ কোনও ব্লক কিংবা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নয়। একেবারে জেলার প্রধান হাসপাতাল। তাও আবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। যেখানে ডাক্তার তাঁর শিক্ষা শেষ করে পেশায় যোগ দেন। আর সেই হাসপাতালের ডাক্তারের এমন কীর্তি দেখে রোগীদের বাড়ির লোকজনের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। যে প্রসূতিকে ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হল সেই প্রসূতি কিন সেই হাসপাতাল চত্ত্বরেই সন্তান প্রসব করে ফেললেন। সকলে একটাই প্রশ্ন তুলছেন- “এ কেমন ডাক্তার?”

উনি কি প্রসূতির অবস্থা বুঝতেই পারেননি তাহলে! না হলে এমন অবস্থায় কোনও ডাক্তার কি প্রসূতিকে বাড়ি পাঠানোর কথা ভাবেন! এদিন যেমনটা হল।গতকাল রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের উত্তর বেঙ্গাই গ্রামের মনোয়ারা বিবি। আজ সকাল ৬টায় তাকে ডাক্তার ছুটি দিয়ে বলেন- “আপনার এখনও সময় হয়নি। পরে সমস্যা হলে এসে দেখাবেন।”

একথা বলে ওই ডাক্তার ওই প্রসূতিকে দুটি ওষুধ লিখে দেন। পরিবারের লোকেরা অনুনয়-বিনয় করলেও ডাক্তার ভর্তি রাখতে চাননি। পরে তিনি অবশ্য বলেন- আপনারা আউটডোরে টিকিট কেটে দেখিয়ে নিন।  সেখানে কিছু রক্ত পরীক্ষা করতে বলা হয়। আর সেই রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দেওয়ার পর সেখানেই সন্তান প্রসব করেন মনোয়ারা। এই দেখে সেখানে থাকা পুলিশ কর্মী ও অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা ধরধরি করে তাকে ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দেয়। যেখানে রোগীকে সকালে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাকে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছিল -আর সেদিনই দুপুরে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই কিনা প্রসূতি সন্তান প্রসব করে ফেললেন।তাহলে- “এ কেমন ডাক্তার”।

এই ঘটনায় ডাক্তারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে মা ও শিশুর সুরক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মাতৃমা নামে আলাদা একটি বিল্ডিং উদ্বোধন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এ ধরনের ডাক্তারের ভূমিকা নিয়ে। তাঁর একটু ভুলের জন্য যদি আজ ওই প্রসূতি সত্যি বাড়ি চলে যেতেন তাহলে তাঁর এবং সদ্যোজাতের সুরক্ষা নিয়ে কিন্তু একটা ঝুঁকি থেকেই যেত। তাহলে সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ কাদের বিশ্বাস করবে?

Published on: সেপ্টে ১২, ২০১৮ @ ২৩:০৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 7 = 3