অস্ট্রেলিয়া পুলিশের ফোনঃ উদ্বিগ্ন বাবা-মাকে বলা হল, বিষ খেয়ে মারা গেছে আপনাদের ছেলে

এসপিটি এক্সক্লুসিভ দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

 

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল

Published on: জানু ৩১, ২০১৮ @ ২০:১১

এসপিটি নিউজ, কেশপুর, ৩১ জানুয়ারিঃ এমন দিন আসবে তারা কি কোনওদিন ভেবেছিলেন? কেশপুরের নেড়াদেউল গ্রামের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন হাজরা তাঁর একমাত্র ছেলে পাঠিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশুনো করতে।মাত্র তিন বছর আগে ছেলে চিরঞ্জীব গেছিলেন সেখানে উচ্চ শিক্ষার জন্য। কিন্তু ২৮ বছর বয়সেই সেই তরুণের ভবিষ্যতের বাতি নিভে গেল।

কি হয়েছিল ঘটনাটা?

যেটুকু জানা গেছে তা হল-চিরঞ্জীব অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এমবিএ পড়তে গেছিলেন।পড়াশুনোয় মেধাবী ছাত্র চিরঞ্জীব বেঙ্গালুরু থেকে বিবিএ করেছিলেন। সিডনিতে গিয়ে পড়াশুনোর পাশাপাশি সেখাবনে সে বন্ধুদের নিয়ে একটি রেস্টুরেন্ট খুলেছিলেন।একই সঙ্গে সে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজও পেয়েছিলেন। দুটোই সে সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সব ঠিক ভাবেই চলছিল। কখনও কোনও গণ্ডগোলের খবর তাদের কাছে আসেনি। প্রতিদিনই সে বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন।বেশ চলছিল।

তাল কেটে যায় কয়েকদিন আগে থেকে। পরিবারের লোকজনের কথা অনুযায়ী, ছেলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। সে নিজেও ফোন করছিল না। ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন বাবা-মা ও দুই দিদি। দিদিদের বিয়ে হয়ে গেছে। পাঁচদিন পর অস্টেলিয়া থেকে দুঃসংবাদের ফোনটি আসে বাড়িতে। অস্ট্রেলিয়া পুলিশ জানিয়ে দেয়, চিরঞ্জীব হাজরা সিডনিতে তার নিজের বাড়িতে বিষ খেয়ে মারা গেছে। তার মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

এই দুঃসংবাদ পেয়ে শোকে ভেঙে পড়েন চিরঞ্জীবের বাবা-মা সহ গোটা পরিবার। নেড়াদেউলে নেমে আসে শোকের ছায়া। চিত্তরঞ্জনবাবু এর পর বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছেলের মৃতদেহ যাতে সৎকারের জন্য দেশে নিয়ে আসা যায় তার আবেদন করেন। এর পর বিদেশ সচিব অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও জানানো হয়েছে গোটা ঘটনা।

Published on: জানু ৩১, ২০১৮ @ ২০:১১

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

56 − 51 =