- “মেয়ো রোডের সভাস্থল অপবিত্র করেছে বিজেপি। তাই গঙ্গাজল ছিটিয়ে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করে শুদ্ধিকরণ করেছি আমরা।”
- “তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তো দূরের কথা তৃণমূল যুব কংগ্রেস কিংবা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে মাঠে লড়ার ক্ষমতা নেই আপনাদের (বিজেপি)।”
- “বাংলা জানে না বাংলা পড়তে পারে না ।”
- “নেতা আনছে ভাড়া করে দিল্লি থেকে। মঞ্চ বাঁধার লোক আনছে রাঁচি থেকে। আর কর্মী নিয়ে আসছে ঝাড়খণ্ড-উড়িষ্যা থেকে। বলছে নাকি বাংলা দখল করব।”
- “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যবরণ করতে রাজী আছে কিন্তু বদনামই আমরা সহ্য করব না।”
- “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি অনুমতি দেয় পাঁচ মিনিট লাগবে শুধু তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের গণতান্ত্রিকভাবে বুঝে নিতে।”–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
Published on: আগ ২৮, ২০১৮ @ ১৬:৩৫
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৮ আগস্টঃ গত ১১ আগস্ট মেয়ো রোডের ঠিক এই জায়গায় যে সভা হয়েছিল- ওটা বিজেপির সভা না সার্কাস, এই প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে তুলোধনা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন- “বিজেপি এই জায়গায় সভা করে এই স্থানকে যারা অপবিত্র করেছে কালিমালিপ্ত করেছে আমরা গঙ্গার জল ছিটিয়ে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করে তারপর সভার মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু করি।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল যুব সভাপতি।
বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ
তিনি বলেন, “মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার করে কুৎসা করে নিন্দা করে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ব্লক প্রেসিডেন্ট তো দূরের কথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তো দূরের কথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সঙ্গে মাঠে লড়াই করার ক্ষমতা তাদের নেই। তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে সংগঠন তৈরি করেছে আমি দিলীপবাবুদের বলতে চাই- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দূরের কথা আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়ার আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাছে ১০-০ গোল খেয়ে যাবেন। আপনাদের বাংলা মানুষ সেই ক্ষমতাওটুকুও দেয়নি। অর্বাচীন অসমীচীন কথায় তারা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছে।”
এরপর অভিষেক বলেন,- “কথায় কথায় বলছেন গর্তে ঢুকিয়ে দেব, হাত ভেঙে দেব, পা ভেঙে দেব, স্ট্রেচারে শুইয়ে দেব, শ্মশানে পাঠিয়ে দেব, হাসপাতালে ঢুকিয়ে দেব। আমি দিলীপবাবুদের প্রশ্ন করতে চাই- আপনি কোন হাসপাতালে পাঠাবেন, যে মাল্টিসুপার হাসপাতালগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছে?
আপনি কোন শ্মশানে পাঠাবেন যে শ্মশানগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্কার করেছে?
আপনি কোন মাটিতে ঢোকাবেন যে মাটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্ক প্রসূত গীতাঞ্জলী প্রকল্পে মানুষ হাতে হাত রেখে গড়েছে?
আপনি কোন মাটিতে পুঁতবেন যে মাটিতে সোনার ফসল ফলায়?
বাংলা জানে না বাংলা দখল করতে আসে
“এমন তাদের দূরাবস্থা যে বাংলায় নেতা নেই কর্মী নেই। ভাড়া করে নেতা নিয়ে আসছে দিল্লি থেকে। পিছনে কি লেখা আছে পড়তে পারবে না। বাংলা জানে না বাংলা পড়তে পারে না। বাংলা লিখতে পারে না। বাংলা কথা জানে না।বাংলা কৃষ্টি জানে না। বাংলা সংস্কৃতি জানে না। বাংলা ঐতিহ্য জানে না। বাংলা সভ্যতা জানে না। নেতা নিয়ে আসছে ভাড়া করে দিল্লি থেকে। মঞ্চ বাঁধার লোক নিয়ে আসছে ভাড়া করে রাঁচি থেকে। আর কর্মী নিয়ে আসছে ঝাড়খণ্ড-উড়িষ্যা থেকে। এনে বলছে বাংলা দখল করব। এটা একটা হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। যাদের নেতা নেই, কর্মী নেই, কর্মসূচী নেই, লক্ষ্য নেই, উদ্দেশ্য নেই বলছে ২২টি সিটে লড়ব। আগে ২২টি বুথে লোকসভা বির্বাচনে জিতে দেখাও। কত ধানে কত চাল বুঝে নেব।”
ধ্বংস নয় সৃষ্টির রাজনীতি করে তৃণমূল
অভিষেক বলেন,”আমরা যে দলটা করি বদলা নয়, বল চাই-এর স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসছি। আমরা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও, হাটিয়ে দাও ধ্বংস করে দাও-এর রাজনীতি করি না। আমরা সিপিএমের মতো ৩৪ বছর খালি আগুন জ্বালিয়ে দাও, ধ্বংস করে দাও-এর রাজনীতি করি না। আমরা সাজিয়ে দাও, গুছিয়ে দাও, তৈরি করে দেওয়ার রাজনীতি করি।”
আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আজকে শিক্ষার আলো দেখিয়েছেন।২৪টি সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের রাজ্যে গড়ে উঠেছে। ৫০টি বেশি সরকারি কলেজ হয়েছে।
কোর্টে লড়লেও তৃণমূল কংগ্রেস জেতে ভোটে লড়লেও জেতে
“এখানে এসে বিজেপির সভাপতি অনেক কথা বলে গেছে্ন। কোর্টে লড়লেও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয় আর ভোটে লড়লেও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা গণ আন্দোলন একটা সংগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা যুগের নাম। মাথায় রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যবরণ করতে রাজী আছে কিন্তু বদনামই আমরা সহ্য করব না। আমরা লড়াই করতে জানি।”
তৃণমূল কংগ্রেস লড়াইটা মাঠে-ময়দানে বুঝে নেবে
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস বলেছিলেন -” তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” আর দিলীপবাবুরা বলে “তুমি আমাকে গদি দাও আমি তোমাদের রক্তস্নাত বাংলা দেব।” তাই তৃণমূল কংগ্রেস চুপ করে থাকার দল নয়। তাই তৃণমূল কংগ্রেস লড়াইটা মাঠে-ময়দানে বুঝে নেবে। যারা বলে তৃণমূল কংরেসকে এই করব সেই করব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি অনুমতি দেয় পাঁচ মিনিট লাগবে শুধু ছাত্র পরিষদ আর যুব তৃণমূল কংগ্রেস মাঠে-ময়দানে ফুটো কলসির কত দাম গণতান্ত্রিকভাবে বুঝে নিতে আমরা জানি। সুতরাং চমকে-ধমকে কোনও লাভ নেই। আর তৃণমূল কংগ্রেসকে কোনওদিন রোখা যাবে না।এই আন্দোলন-এই সংগ্রাম আমাদের জারি থাকবে।” বলেন অভিষেক।
Published on: আগ ২৮, ২০১৮ @ ১৬:৩৫