ভরসা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, শিলান্যাসের এক বছরের মধ্যেই হতে চলেছে জিন্দালদের সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন, আশায় বুক বাঁধছে শালবনী

দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: জানু ১৪, ২০১৮ @ ২২:৫৬

এসপিটি নিউজ, শালবনী, ১৪ জানুয়ারিঃ সেদিন আর এদিন। পার্থক্য অনেক। শালবনীতে সেদিন ইষ্পাত কারখানার শিলান্যাস করে ফেরার পথে তাঁর কনভয়ে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরন হয়। শুরু হয়ে যায় মাওবাদীদের উত্থানের সঙ্গে জঙ্গলমহলের অন্ধকার সময়। জমিদাতারা আশাহত হয়ে পড়েছিলেন। ভরসা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জিন্দালরাও বলেছিলেন সেখানে তারা সিমেন্ট কারখানা করবেন। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী গতবছর করে গেছিলেন শিলান্যাস। আর আগামীকাল করতে আসছেন কারখানার উদ্বোধন।তারই প্রস্তুতি এখন সম্পন্ন।আগের মুখ্যমন্ত্রী যা পারেননি সেতাঈ একবছরের মধ্যে করে ফেললেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগামীকাল শালবনীতে জিন্দাল সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে পৃথক একটি মঞ্চ থেকে পরিষেবা প্রদানও করা হবে। উদ্বোধনের আগে শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। মঞ্চ সরেজমিনে দেখে গেলেন জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, শালবনীর বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো সহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, গত ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর জিন্দালদের ইস্পাত শিল্পের শিল্যান্যাস করে ফেরার পথে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কনভয়-এ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় মাওবাদীদের উত্থান।থমকে যায় ইস্পাত কারখানা তৈরির কাজ। আশাহত হন জমিদাতারা।পরবর্তী কালে জিন্দালরা ঠিক করে এই জায়গায় আপাতত সিমেন্ট কারখানা করবে। গতবছর তার শিল্যান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী, আর কাল করবেন উদ্বোধন। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে জিন্দাল কারখানার মধ্যে এবং বাইরে বিশাল বিশাল তোরণ, গেট ফ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। কারখানার মধ্যেই হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। দুপুর দেড়টার সময় আকাশ পথে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন, প্রথমে জিন্দালদের কারখানা উদ্বোধন করবেন, পরে একই সাথে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে থাকবেন। সেখানে প্রায় দুই হাজার ছাত্র ছাত্রীকে সাইকেল, পাতা তৈরি মেশিন, ধান ঝাড়া মেশিন, ট্রাক্টর ছাড়াও আরো অনেক কিছু বিলি করা হবে।

তবে জমিদাতাদের খুশি হলেও তাদের এখনো আক্ষেপ তাদের কাউকে এখনও স্থায়ী চাকরি দেওয়া হয়নি। অথচ জিন্দালরা জমি নেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, জমিদাতাদের চাকরি দেওয়া হবে। জিন্দাল কর্তৃপক্ষ ভাওতা দিয়েছে। ইস্পাত না হলেও সিমেন্ট যেমন হয়েছে, সেরকম তারা আরো এই রকম কারখানা চাইছে, যাতে তাদের কর্ম সংস্থান হয়। পুরো বিষয়টি তারা লিখিত আকারে মুখ্যমন্ত্রী এবং সজ্জন জিন্দালদের হাতে দেবে বলে জানিয়েছেন জামিদাতা সংগঠনের সম্পাদক পরিষ্কার মাহাতো।

শালবনীর বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যেমন বিভিন্ন জায়গায় কর্মসংস্থান করার চেষ্টা করছে  ঠিক এইভাবেই তারই উদ্যোগে এই কারখানা শুরু হতে চলেছে। আশা এখানে অনেক ছেলে-মেয়েদের জীবন জীবিকার পথ তৈরি হবে। পুলিশ সুপার অলোক রাজরিয়া জানান, সরকারের অনেক উন্নয়নের কাজ মানুষ দেখতে পাচ্ছে, রাস্তা ঘাটের উন্নতি হয়েছে, জিন্দাল কারখানাও তার অন্যতম একটি উদাহরণ।এই সরকার যাতে ভালো কাজ করতে পারে তারজন্য পুলিশ,প্রশাসন,সিআরপিএফ মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।মাও সঙ্গে যারা ছিল তারা সবাই আত্মসমর্পন করেছে, তারাও উন্নয়নের কাজে খুশি আজ।

Published on: জানু ১৪, ২০১৮ @ ২২:৫৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

27 − = 22