পেট্রাপোল সীমান্তে ইমিগ্রেশনে মাত্র ৫০% কর্মী, দুর্ভোগে নাজেহাল যাত্রীরা-অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়

Main দেশ বাংলাদেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: জুলা ১৪, ২০২২ @ ২২:০০

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৪ জুলাই: ঢাকা থেকে রওনা হয়ে রাত দুটোয় পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছেও বেরিয়ে আসতে সময় লেগে যাচ্ছে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। ইমিগ্রেশনে অর্থাৎ অভিবাসনে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় এর দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে যাত্রীদের। পেট্রাপোল সীমান্তে ল্যান্ড পোর্ট অথোরিটি অব ইন্ডিয়া বা এলপিএআই-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গত দু’দিনে দু দিক দিয়ে সব মিলিয়ে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ পারাপার করেছে। আজ এপারে আসা বাংলাদেশের যাত্রীরা অভিযোগ করেছে যে বৃহস্পতিবার ভিড়ের চাপে একটি শিশুর পা ভেঙে গিয়েছে। খবরটি অবশ্য মুহূর্তের মধ্যে গোটা পেট্রাপোল সীমান্তে ছড়িয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য পেট্রাপোল সীমান্তে অভিবাসন দফতরে কর্মী কম থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

ঢাকা থেকে আসা দুই বাংলাদেশি যাত্রী জানালেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা

গত বশ কয়েক মাস ধরেই পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশের যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা শোনা যাচ্ছে। ভারতে প্রবেশের সময় বিশেষ করে ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশি যাত্রীদের দাঁড় করিয়ে রেখে প্রশ্নের পর প্রশ্নে জেরবার করে দেওয়া হয়। তর্ক করলে তাদের পাসপোর্ট আটকে রাখারও অভিযোগ উঠেছে।

  • আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে সোহাগ পরিবহনের বাসে আসা ঢাকা শহরের এক যাত্রী রীতিমতো বিধ্বস্ত অবস্থায় এসপিটি-কে জানালেন- আপনাদের এখানে আমরা বৈধ কাগজপত্র নিয়েই প্রবেশ করেছি। আমাদের কাছে বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও পেট্রাপোল সীমান্তে অভিবাসন বিভাগে চূড়ান্ত হয়রান হতে হচ্ছে। রাত তিনটে নাগাদ আমরা এখানে এসেছি। অথচ দুপুর দুটো বেজে গেলেও আমরা যেতে পারছি না। আমাদের সাথে আসা বেশিরভাগই আটকে আছে অভিবাসন বিভাগে। এগুলো নজর দেওয়া দরকার। এত ভিড় যে একটি শিশুর পা ভেঙে গেল। তার যে চিকিৎসা হবে সেই ব্যবস্থাও নেই।
  • আর এক বাংলাদেশি যাত্রী ঢাকার গাজিপুরের বাসিন্দা ফিরোজের গলাতেও ধরা পড়ল একই অভিযোগের সুর। এসপিটি-কে তিনি অভিযোগ করেন-এখানে বাচ্চা, মহিলা বলে তাদের জন্য কোনও আলাদা ব্যবস্থা নেই। ভিড়ের চাপে এক বাচ্চার পা ভেঙে গিয়েছে আজ। প্রশাসনিক সুব্যবস্থা নেই। নেই চিকিৎসার ন্যূনতম ব্যবস্থাও। আমাদের ওপারে লাইন বাই লাইন নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এপারে সেই ব্যবস্থা নেই। এর আগেও এসেছি। কিন্তু এমন দুর্ভোগ পোয়াতে হয়নি।পেট্রাপোল এসেছি কাল রাতে। অথচ দেখুন, আজ দুপুর হয়ে গেলেও আমরা কেউ বেরোতে পারিনি।

ফ্রিস্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোতোষ সাহা যা বললেন

পেট্রাপোল সীমান্তে বাহকের অভাবে সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন। বাহক না থাকায় তাদের নিজেদের মালপত্র কিংবা লাগেজ বা ব্যাগ সব কিছু নিজেদেরই বহন করে নিয়ে যেতে হচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতার এক ব্যবসায়ী যিনি ফ্রিস্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোতোষ সাহা বাংলাদেশ থেকে ফেরার পথে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা তিনি সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন।

নিউ মার্কেট থেকেই বাংলাদেশের ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সোহাগ পরিবহনের বাস।আবার ঢাকা থেকেও যাত্রী নিয়ে আসে। মনোতোষবাবু তীব্র ক্ষোভের সুরে বলেন- পেট্রাপোল সীমান্তে যাত্রীরা চূড়ান্ত হেন্সতার শিকার হচ্ছে। গতকাল যেমন ভিড় হয়েছে তা এক চূরান্ত বিশৃঙ্খলার পর্যায় পৌঁছয়। যাত্রীরা সকলেই বৈধ ভিসা নিয়ে এদেশে মূলত চিকিৎসা করাতে আসছে। কিন্তু তাদের অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনতা চলতে থাকলে তো আমাদের সুনাম নষ্ট হয়ে যাবে। বিদেশি যাত্রীদের তালিকায় সবচেয়ে উপরে আছে বাংলাদেশ। এখন তাদেরই যদি এভাবে হেনস্থা করা হয় তাহলে এর চরম মাশুল আমাদের গুনতে হবে।ক্ষতি হবে রাজস্বের। সরকারের অবিলম্বে এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।

পিসিডবল্যুএ-র প্রাক্তন সম্পাদক দীপক গলাতেও চরম ক্ষোভ  

পেট্রাপোল চেকপোস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (পিসিডবল্যুএ)-এর প্রাক্তন সম্পাদক ও ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য দীপক ঘোষ এসপিটি-কে বলেন- পেট্রাপোল সীমান্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ভাষা সমস্যা। এখানে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের বেশিরভাগই হলেন অবাঙালি। বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই হিন্দি বলতে পারেন না। আর এরাও বাংলাভাষিদের সঙ্গে চূড়ান্ত অভব্য আচরন করে। তার অভিযোগ কোনও সময় তাদের গায়েও হাত পড়ে যায়।

ইমিগ্রেশনে সময় লাগছে ১৫-২০ মিনিট-অভিযোগ

মামা-ব্রিজ উদ্বোধন হয়ে যাওয়ায় ভাগাড় থেকে আসতে চার থেকে সারে চার ঘণ্টা লাগছে। রাত দশটায় গাড়ি ছাড়লে সেই গাড়ি এখানে রাত দুটোয় পৌঁছে যাচ্ছে। অথচ দুটোর সময় লাইনে দাঁড়িয়েও দুপুর দুটো পর্যন্ত পার হতে পারেনি। এখানে আমাদের ভারতে অভিবাসন বিভাগে আটকে থাকছে। এই ইমিগ্রেশনে ১৬টি কাউন্টার খোলার কথা। অথচ চারটে কাউন্টার খোলা থাকে। তারপর নানা রকম প্রশ্ন- কি করতে আসছেন? কি করতে যাবেন?এত বার বার আসেন কেন ইন্ডিয়াতে? আসার কি দরকার? একটা প্যাসেঞ্জারকে ছাড়তে কম করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগাচ্ছে। এখন সেখানে যদি ৫ হাজার প্যাসেঞ্জার হয়, তাহলে কতক্ষণ লাগতে পারে, ভাবুন একবার? প্রশ্ন তোলেন দীপকবাবু।

১৫ দিন আগেও এলপএআই-এর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি- দীপক ঘোষ

তিনি বলতে থাকেন- প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ নাকানি-চোবানি খাচ্ছে। তার মধ্যে পন্য বহনকারীর সমস্যা তো আছেই। ধরুন মা –কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসছে ছেলে। এবার তাদের লাগেজ আছে। এবার মা-কে তো ছেলে নিয়ে আসছে। তাহলে ট্রলিটা ঠেলবে কে। এর আগেও বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস থেকে প্রতিনিধি এসে এখানে ভিজিট করে গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা যেমন তেমনই রয়ে গিয়েছে। ১৫ দিন আগেও আমরা ল্যান্ড পোর্ট অথোরিটি অব ইন্ডিয়া’র ম্যানেজারের কাছে গিয়েছি।বার বার তার কাছে গিয়েছি। সে দেখাচ্ছে বিএসএফ। বিএসএফ দেখাচ্ছে ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশন থেকে কম লোকের বিষয়ে বলা হচ্ছে যে দিল্লি থেকে আমাদের লোক দিচ্ছে না।

ভারতের রাজস্বের একটা বড় ক্ষতি

সোহাগ পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় দীপকবাবু গোটা ব্যাপরটি খুব কাছ থেকে দেখছেন। তিনি বলেন- আমি এখন প্রতিদিন ১২টা সাড়ে ১২টায় গাড়ি ছেড়ে বাড়ি ফিরছি। সোহাগের দিনে ছ’টি গাড়ি ছাড়ছি। নিউ মার্কেটে কোনও বাস ভোর তিনটে, চারটে নাগাদ ঢুকছে। বাসের মধ্যেই রাত কাটাতে হচ্ছে যাত্রীদের। টয়লেট-ল্যকট্রিনের কোনও ব্যবস্থাই নেই। যে একবার ইন্ডিয়াতে আসছে সে বলে যাচ্ছে – দাদা, আমরা জীবনে আর এখানে আসবো না। চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া আছে। এত কষ্ট করে আসবো না। গত এক বছর ধরে তো তারা হয়রান হচ্ছে। যেভাবে তাদের হয়রান করা হচ্ছে , বলুন কিভাবে তারা এখানে আসবে। তারা না এলে তো ভারতের রাজস্বের একটা বড় ক্ষতি। এরা অর্থনীতি দুর্বল করে দেবে।

১৬টির মধ্যে খোলা থাকে মাত্র ৪টি কাউন্টার

বর্তমানে পেট্রাপোলে ইমিগ্রেশনে কাউন্টার সচল আছে মাত্র ৪-৫টি। এখানে আছে কিন্তু ১৬টি করে মোট ৩২টি- মানে যাওয়ার ১৬টি এবং আসার ১৬টি। এখন ওরা যদি দুই দিকে মিলিয়ে মোট ১৬টি কাউন্টার খুলে রাখে তাহলে যাত্রীরা সকাল দশটার মধ্যে কলকাতায় চলে যেতো। ইমিগ্রেশন যদি কাজ করে তাহলে দুই থেকে তিন ঘণ্টার কাজ। অনেক সময় প্যাসেঞ্জাররা আন্দোলমুখী হয়ে যায়। আর তখন ওরা পাসপোর্ট চাপা দিয়ে রাখে। বলে – আপনি যেতে পারবেন না। প্রতিবাদও করতে পারবেন না।বলছিলেন দীপক ঘোষ।

আজকের বর্তমান পরিস্থিতি বলতে গিয়ে দীপকবাবু বলেন- রাত দুটোয় যাত্রীরা এল। এরপর সে লাইনে দাঁড়াল। সোহাগ পরিবহনের মোট ৯০ জন প্যাসেঞ্জার এসেছে ঢাকা থেকে। তারা সকলে রাত দুটোয় লাইন দিয়েছে। সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৯জন প্যাসেঞ্জার পেয়েছি। ৯জন আমার ঘরে বসা আছে।ঘড়িতে তখন পোনে দুটো। এখনও আমার ৮১জন প্যাসেঞ্জার ইমিগ্রেশনে আটকে আছে। এখন তারা সকলে না আসা পর্যন্ত বাসও ছাড়া যাবে না। ফলে চূড়ান্ত দুর্ভোগে কাটাতে হচ্ছে সকলকে।

সকলে এসে বলে – দাদা, আমরা খাব

দীপকবাবু বলছিলেন শিশুদের কথা। বলছিলেন- বাচ্চাগুলো অঝোরে কেঁদে চলেছে খিদের জ্বালায়। বাসগুলো যখন এখানে ঢুকছে তখন সব হোতেল বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। ফলে খাবারের জন্য সকলে ছটফট করতে থাকে। সকলে এসে বলে – দাদা, আমরা খাব। আমার ঘরে আমি জলের পর্যাপ্ত পরিমানের ব্যবস্থা করে রেখেছি। বোতলে জল সাজিয়ে রেখেছি। আসলেই আগে তারা জলটা খায়।

এলপিএআই –এর ম্যানেজার কমলেশ সাইনি কি বললেন শুনুন

  • এসমস্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল পেট্রাপোল সীমান্তে ল্যান্ড পোর্ট অথোরিটি অব ইন্ডিয়া বা এলপিএআই –এর ম্যানেজার কমলেশ সাইনির কাছে। এসপিটি-র কাছে তিনি কার্যত স্বীকার করে নিলেন ইমিগ্রেশনের কর্মী সঙ্কোচনের কথা। এজন্য যাত্রীরা যে দুর্ভোগ পোয়াচ্ছে তাও সে বিষয়েও তিনি একমত হলেন।তবে পাশপাশি তিনি এও বললেন যে এটি সম্পূর্ণ পৃথক দফতর। কাস্টমস, ইমিগ্রেশন এসব আলাদে বিভাগ। এখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে বলতে পারবেন। তবে- এটা ঠিক যে বর্তমানে এখানে ইমিগ্রেশনে মাত্র ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলছে।
  • এখন যাত্রীদের আগমন বেড়েছে। আগে ছিল ২ থেকে ৪ হাজার। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৬ থেকে ৮ হাজার।এর মধ্যে গত দুদিনে যাত্রী সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। হ্যাঁ, আমি স্বীকার করছি সমস্যার বিষয়ে। এখন যদি সেখানে ৭-৮ হাজার মানুষ চলে আসে তাহলে তো বসার জায়গার অসুবিধা তো হবেই। আপনি লক্ষ্য করবেন- এখানে আগমনের সংখ্যা কমবেশি দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে।আমি আপনার সাথে একমত যে ইমিগ্রেশনে মাত্র ৫০ শতাংশ কর্মী আছে এখানে। গত দু’দিনের এখানে যাত্রী সংখ্যা উভয় দিক দিয়ে – ৮৭৩২ এবং ৭৪৮০। মোট ১৫ হাজারেরও বেশি।বলেন এলপিএআই ম্যানেজার।

  • আমি স্বীকার করছি ইমিগ্রেশন কাউন্টার পর্যাপ্ত নয়। আসলে এ ব্যাপারটি দেখে ইমিগ্রেশন অথোরিটি। আসলে সেখানে বেশি কর্মী, বেশি কর্মীর পোস্ট দরকার। এসবই ইমিগ্রেশন দফতরের অধীন। আপনি এলে দেখতে পাবেন যে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে শেড আছে। জলের ব্যবস্থা আছে। এমনকি সেখানে বসার জায়গা পর্যন্ত আছে। আমি আশাবাদি যে তারা এখানে কর্মী বহাল করবে। তবে সেজন্য সময় লাগবে।
  • আপনাকে বলি এখানে শিশু, মহিলা, বিশেষভাবে সক্ষম, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য বিনামূল্যে ব্যবস্থা করেছি। এমনকি, আমরা ১৫০টির বেশি ট্রলি রেখেছি, এয়ারপোর্টে যেমনটা থাকে। আসলে পোর্টারদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পোর্টার ব্যবস্থা তুলে দেয়, গত ছয় মাস আগে।

একটা কথা বলে রাখি, এখানে কাস্টমস আছে ইমিগ্রেশন আছে। তারা তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে থাকে। এখন যদি কারও অভিযোগ থাকে তাহলে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতেই পারে। তাছাড়া জায়গাটি পুরোপুরি সিসিটিভি-র এরিয়ার মধ্যে পড়ে। তাই যা হবে তাতে উঠে যাবে।

এই ছবি পাঠিয়েছে ল্যান্ড পোর্ট অথোরিটি অব ইন্ডিয়া, পেট্রাপোল সীমান্ত

Published on: জুলা ১৪, ২০২২ @ ২২:০০


শেয়ার করুন