শুভেন্দুর অভিযোগের পাল্টা দিলেন কুণাল, সিপিএম পার্টি অফিসে চলল পুলিশের লাঠি

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জুলা ১১, ২০২৩ @ ১৩:১১

এসপিটি নিউজ: গণনার দিনও হিংসা পিছু ছাড়ছে না বাংলায়। মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরু হুয়্রা আগে থেকেই গোটা বাংলার নানা প্রান্ত থেকে হিংসার নানা ছবি ও খবর আস্তে শুরু করেছে। বহু ভোট গণনা কেন্দ্রে বিরোধী কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোনও জায়গায় আবার বিরোধী এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকি, হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় সিপিএমের পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে পুলিশকে লাঠি চালাতেও দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিও ট্যুইট করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম লিখেছে- হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় টিএমসির উর্দিধারী গুন্ডাদের রুখতে দায়িত্ব নিচ্ছে পুলিশ,গণনা কেন্দ্রে পৌঁছানো থেকে কাউন্টিং এজেন্ট। তবে এদিন সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তোলা অভিযোগের জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী তিনটি ভিডিও ফুটেজ ট্যুইট করে লেখেন- গণনার দিনেও “ডায়মন্ড হারবার মডেল” পুরোদমে চলছে৷ টিএমসি গুন্ডারা গণনা এজেন্ট এবং প্রার্থীদের বাধা দিয়ে নির্বাচন চুরি করার শেষ মরিয়া চেষ্টা করছে যাতে বিজেপি  এবং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণনা হলে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদের 1-2 কিলোমিটার দূর থেকে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। কাউন্টিং এজেন্টদের ভয় দেখানোর জন্য বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তাদের নির্দয়ভাবে মারধর করা হচ্ছে, এমনকি অপহরণ করা হচ্ছে।

এরপর তিনি একটি তালিকা দিয়ে লেখেন যে কাউন্টিং এজেন্ট এবং প্রার্থীরা প্রবেশ করতে পারেনি:-ডায়মন্ড হারবারে ফকির চাঁদ কলেজ, কেশপুর কলেজ, গলসি, কাটোয়া, আমতা, বাগনান, বারাবানি, কিরনাহার এবং আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় গণনা কেন্দ্র।

সবশেষে তিনি লেখেন যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই গণনা প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে সমস্ত বিরোধী গণনা এজেন্ট এবং প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে গণনা কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছতে সক্ষম হবেন। তারা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালেই কেবল গণনা প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।

এই ট্যুইটের জবাবে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা ট্যুইট করে লেখেন-

যেহেতু ফলাফল এখনও আনুষ্ঠানিক নয়, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভয়ে ফিরে এসেছে। যাইহোক, সকালের প্রবণতা দেখায়, লেখাটি দেয়ালে লেখা রয়েছে বিজেপি ফর বেঙ্গল। তিনি টিএমসির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন, কীভাবে তার প্ররোচনায় গতকাল তার দলীয় কর্মীরা তার নিজ জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে ভোটকেন্দ্রের বাইরে বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন তা সহজেই ভুলে গেছেন। এরপর কুণাল একে একে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে লেখেন-

‘দিনহাটার বিজেপি নেতা অজয় রায় কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় গতকাল রাতে জোর করে স্ট্রংরুমে প্রবেশ করেছিলেন সে সম্পর্কেও তিনি কথা বলবেন না।’

‘বিজেপি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সর্বনাশ ঘটাতে সম্ভাব্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। তবুও, এত কিছুর পরেও, শ্রী অধিকারীর আমাদের দিকে আঙুল তোলার সাহস আছে।’

‘জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত, এটি তার দলের জন্য অজুহাত তৈরি করার শেষ প্রচেষ্টা, শীঘ্রই নিশ্চিত হবে, অপমানজনক পরাজয়।’

পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক ও সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্র পাল বলেছেন, “…এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ খুন হয়েছে এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এবং ‘ভাইপো’ যারা দীর্ঘ দাবি করেছেন যে এটি একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে, তারা কোনো বিবৃতি দেননি। সেখানে গুলি চালানো হয়েছে এবং আমার নির্বাচনী এলাকায় বোমা হামলা হয়েছে, জাল ভোট হয়েছে তাই, এই নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই… কয়েকটি গণনা কেন্দ্রে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না… আমি এখানে বসে আছি এবং আমি তথ্য পেয়েছি যে তারা আজ বিকেলের মধ্যে এখানে আক্রমণ করবে…”

Published on: জুলা ১১, ২০২৩ @ ১৩:১১


শেয়ার করুন