মায়াপুর ইসকন মন্দিরে দোল উৎসব ও শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর আবির্ভাব মহোৎসব

দেশ ধর্ম ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২৪, ২০২৪ at ২০:৪৮

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৪ মার্চ: একাধিক উৎসবে মাতোয়ারা এখন মায়াপুর ইসকন। আগামিকাল ২৫ মার্চ দোল উৎসব। ইতিপূর্বেই তা শুরু হয়ে গিয়েছে। একই দিনে শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর ৫৩৮তমশুভআবির্ভাবমহোৎসব উদযাপন। এই উপলক্ষ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে  বিশ্ববরেণ্যভক্তিসিদ্ধান্তসরস্বতীঠাকুরপ্রভুপাদের ১৫০ তমবর্ষপূর্তি আবির্ভাবমহা – মহোৎসব।

ইসকন শ্রীম্যাপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর ৫৩৮তমশুভআবির্ভাবমহোৎসব উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববরেণ্যভক্তিসিদ্ধান্তসরস্বতীঠাকুরপ্রভুপাদের ১৫০ তমবর্ষপূর্তি আবির্ভাবমহা – মহোৎসব।এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে বড় পঞ্চতত্ত্ববিগ্রহের মহাঅভিষেক, প্রভুপাদভিলেজ (৬৪টিগৃহ) ও প্রভুপাদ অন্নক্ষেত্রের শুভ উদ্বোধন, বিশ্ব বৈষ্ণবসন্মেলন, নবদ্বীপমন্ডলপরিক্রমা (৭২কিমি), বিশ্বশান্তিযজ্ঞ, নৌকাবিহার, বিভিন্নভাষায়ভাগবতপাঠ, সেমিনার, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ভক্তবৃন্দের দ্বারা বিভিন্ন ভাষায় ভজন-কীর্তন, মনোমুগ্ধকরনাটক, সঙ্গীত, দৃষ্টিনন্দনপ্রদর্শনী, গঙ্গাপূজা, রাধা মাধবকে হাতির পিঠে আরোহন করিয়ে মন্দির চত্বর পরিক্রমা ও বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ ইত্যাদি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

জাতি -ধর্ম –বর্ণনির্বিশেষে সকলের জন্যই প্রবেশাধিকার অবাধ। মায়াপুর মন্দিরচত্বর ফুল ও আলোকমালায় সুসজ্জিত করা হয়েছে। সর্বত্র পরিলক্ষিত  হচ্ছে বৈচিত্র্যের মধ্যেঐক্য। ১০০ দেশের প্রায় ৫০০০ বিদেশি ভক্ত এই উৎসবে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা। ১৫,০০০ ভক্তবৃন্দ নবদ্বীপমন্ডল পরিক্রমায় অংশগ্রহণ করেছেন। ১২ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪ থেকে ১৮ মার্চ সোমবার ২০২৪ এই সাত দিন ধরে ৭টি ভাগে বিভক্ত হয়ে ভক্তরা নবদ্বীপ মন্ডল পরিক্রমমায় অংশ নিয়েছেন। এর আগে ৮ মার্চ শুক্রবার ২০২৪ থেকে ১১ই মার্চ সোমবার ২০২৪  পর্যন্ত চলেছে কীর্তনমেলা। কৃষ্ণনাম এবং কৃষ্ণপ্রেমে মায়াপুর এখন মুখরিত। দেশবিদেশের লক্ষাধিকভক্ত সমাগমে মায়াপুর এখন পরিণত হয়েছে Mini World  এ।

যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে যথেষ্ট নজর রাখা হয়েছে। হাজার হাজার তীর্থযাত্রী ও ভিড় করছেন মায়াপুরে। আগামিকাল ২৫মার্চ ২০২৪ সোমবার শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর আবির্ভাবদিনটি যথাযোগ্য ধর্মীয়মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হবে।ঐদিন বসন্ত উৎসব, দোলপূর্ণিমা। সর্বত্র রংএবং আবিরের ছড়াছড়ি। কিন্তু ইসকন মন্দিরে রং এবং আবিরের খেলা হয়না। বাহ্যিক রং এ না রাঙিয়ে কৃষ্ণাণুরাগে রঞ্জিত হওয়ার জন্য সারাদিন ব্যাপী চলে সাধনা। শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর আবির্ভাব উপলক্ষে তিনটি খোলা মঞ্চে হবে  মহাঅভিষেক ও আরতি,হবে পুষ্পাঞ্জলিএবংপ্রার্থনা করা হবে  বিশ্বশান্তি ও বিশ্বকল্যাণের জন্য। জানিয়েছেন ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস।

Published on: মার্চ ২৪, ২০২৪ at ২০:৪৮


শেয়ার করুন