Published on: মে ২৮, ২০২৩ @ ১৯:২০
এসপিটি নিউজ: আজ রবিবার উত্তরাখন্ডের প্রাচীন জগেশ্বর ধামে যান অভিনেতা অক্ষয় কুমার।আচমকা তার উপস্থিতি ঘিরে স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকদের মধ্যে হইচই পরে যায়। সকলেই তাকে দেখার জন্য উৎসাহী হয়ে ওঠে। যদিও নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দেন।
এদিন অক্ষয় কুমার উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী তাকে উত্তরাখণ্ডের একটি নতুন রত্ন “মানসখণ্ড মন্দির মালা মিশন” জগেশ্বর ধামের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে জানান। এরপর মুখ্যমন্ত্রী অভিনেতাকে এটির পৌরাণিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেন। সব শুনে মুগ্ধ হয়েই অক্ষয় কুমার ছুটে যান জগেশ্বর ধামে। দর্শন্ন করেন জগেশ্বর মহাদেবকে। সমস্ত আচার-নিয়ম মেনেই করেন আরাধনাও।মন্দির থেকে আরাধনা সেরে বের হওয়ার সময় উৎসাহী মানুষের সামনে পড়তে হয় তাকে।
কোথায় অবস্থিত এই জগেশ্বর ধাম
উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় জাগেশ্বর ধামের প্রাচীন মন্দিরগুলি বহু শতাব্দী ধরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই অঞ্চলে আধ্যাত্মিক প্রাণবন্ততা প্রদান করে আসছে। এখানে প্রায় ২৫০টি মন্দির রয়েছে যার মধ্যে ২২৪টি ছোট-বড় মন্দির একই জায়গায় অবস্থিত।
জগেশ্বর ধামের ইতিহাস
উত্তর ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময় হিমালয় পাহাড়ের কুমায়ুন অঞ্চলে কাত্যুরিরাজা ছিলেন। জগেশ্বর মন্দিরও একই সময়ে নির্মিত হয়েছিল। এ কারণে মন্দিরগুলোতেও গুপ্ত সাম্রাজ্যের আভাস পাওয়া যায়। ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, এই মন্দিরগুলির নির্মাণের সময়কালকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়েছে। কাতুরিকাল, উত্তর কাত্যুরিকাল এবং চন্দ্র যুগ। কুমায়ুনের এই সাহসী রাজারা তুষারময় অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন, তাদের অনন্য সৃষ্টি দিয়ে, দেবদারের ঘন জঙ্গলের মাঝখানে অবস্থিত জাগেশ্বরেই নয়, পুরো আলমোড়া জেলায় চার শতাধিক মন্দির তৈরি করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে খোদ জাগেশ্বরে প্রায় ২৫০টি ছোট-বড় মন্দির রয়েছে। কাঠ ও সিমেন্টের পরিবর্তে বিশাল পাথরের স্ল্যাব দিয়ে মন্দিরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। দরজার ফ্রেমগুলো দেব-দেবীর ছবি দিয়ে অলংকৃত। মন্দির নির্মাণেও তামার পাত ও দেবদারু কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে।
ছবিটি উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে নেওয়া
Published on: মে ২৮, ২০২৩ @ ১৯:২০