COVID-19: পরিসংখ্যান দিয়ে বিরোধীদের ‘অপপ্রচার’কে নস্যাৎ করে দিলেন মমতার এই সৈনিক

Main এসপিটি এক্সক্লুসিভ কোভিড-১৯ দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান
শেয়ার করুন

  • গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে কোভিড নিয়ন্ত্রণ ও আমফান নিয়ে বিজেপি সহ বিরোধীদের গঠনমূলক সমালোচনা করলেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ।
  • তুলে ধরলেন কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের পরিসংখ্যান। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ আক্রান্তের অবস্থানে সারা দেশে ১৩ নম্বর স্থানে এবং নমুনা টেস্ট করার অবস্থানে রয়েছে নবম স্থানে।
  • সংসদীয় গণতন্ত্র অনুযায়ী রাজ্য সরকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ না করে বিজেপি এক প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তাদের মতো করে কথা বলে আসছেন। আসলে তারা রাজ্য সরকারকে হেয় করতে চাইছে।   

Published on: জুন ৭, ২০২০ @ ২১:১৭

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, মধ্যমগ্রাম, ৮ জুন:  বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা বিশেষ করে ভারতীয় জনতা পার্টি কোভিড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে।এমনটাই বলছেন মধ্যমগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রথীন ঘোষ।কিন্তু তাদের সেই অভিযোগকে সরকারি পরিসংখ্যান দিয়ে নস্যাৎ করে দিলেন মমতার এই সৈনিক।পাশপাশি তৃণমূলের এই বিধায়ক বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারকে হেয় করার অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল শনিবার মধ্যমগ্রামে এক সাংবাদিক সম্মলেনে বিধায়ক রথীন ঘোষ এক একটা বিষয় ধরে ধরে বিরোধীদের অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।

কোভিড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে   

মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ বিরোধীদের অপপ্রচারের পরিসংখ্যানকেই হাতিয়ার করেন। তিনি বলেন- “কোভিড নিয়ন্ত্রণে বিরোধীরা যে বলছে রাজ্য সরকারের ভূমিকা ঠিক নয় তা একেবারেই ভুল। পরিসংখ্যান বলছে প্রতি 10 লক্ষে পজিটিভ কেস 60 হাজার 49জন। যেখানে রাজ্যের স্থান 13 নম্বরে। কিন্তু জাতীয় গড় 159.67 শতাংশ। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির অবস্থা কিন্তু এর থেকে আরও খারাপ। 10 লক্ষ জনসংখ্যা পিছু পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে টেস্টের সংখ্যা ছিল 2,687। কিন্তু এখন সপ্তাহে প্রতিদিন 9,495জনের টেস্ট হচ্ছে। যা অন্যান্য রাজ্যের থেকে অনেক বেশি। আমাদের এখানে মৃত্যুর গড় 10 লক্ষতে 3.63 শতাংশ।যেখানে জাতীয় গড় হচ্ছে 4.51 শতাংশ। সক্রিয় কেস বাংলায় 38.47 শতাংশ প্রতি 10 লক্ষ জনসংখ্যায়।জাতীয় গড় সেখানে 75.79 শতাংশ। নমুনার টেস্টে বাংলা নবম স্থানে জাতীয় গড়ের থেকে 2.8 শতাংশ। জাতীয় গড় সেখানে 5.8 শতাংশ।”

ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া মানুষদের সম্পর্কে

“ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া যেসমস্ত মানুষ কোভিড পরবর্তী সময় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাদের নিয়ে ভাবছে রাজ্য সরকার। আমরা দেখছি, তাদের যাতে কোনও জায়গায় কাজ দেওয়া যায়। যাতে করে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। এতে করে রাজ্যের অর্থনৈতিক বুনিয়াদও মজবুত হবে।” বলেন মমতার এই সৈনিক।

আমফান নিয়ে

  • এই প্রসঙ্গ তুলে বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন-” আমাদের রাজ্য কোভিড নিয়ন্ত্রণে যখন লড়াই করছে তখন নতুন করে আমফান-এর মতো দুর্যোগ ঘনিয়ে এল। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমরা ত্রিপল দিয়ে, ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করেছি। আমার মধ্যমগ্রাম বিধানসভা এলাকার পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকার সদস্যরা দুর্গত এলাকায় গিয়ে মানুষদের ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করেছেন। আমরা এটা বলছি না আমরা সব করে ফেলেছি। সেইসময় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। তারা দেখেছেন।
  • সেইসময় কেন্দ্র ১ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেন। পরবর্তী কালে কেন্দ্রের এক প্রতিনিধি দল আসে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে আমাদের। সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব তাদের হাতে 1 লক্ষ 2 হাজার কোটি টাকার খতিয়ানের পরিমান তুলে দিয়েছেন। কোন খাতে কত টাকা তা সবিস্তারে সেখানে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।
  • বিদ্যুতের সাব স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতর খুব দ্রুততার সঙ্গে এটা করেছে। আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আমাদের সরকার 20 হাজার টাকা করে দিচ্ছে। এমনকী সরকারি যে স্কিম আছে তাতে 28 হাজার টাকা করে দিয়ে তাদের ঘরবাড়ি করে দেওয়ার ফলে আরও 10 লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে প্রভাবিত করছে বিরোধীরা

আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কাছ থেকে খতিয়ান নিয়ে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রথীন ঘোষ বলেন-” এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে তারা রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে সব কিছু জেনে ছেন। এর মধ্যে বিরোধীরাও তাদের সঙ্গে দেখা করেন। ভারতীয় জনতা পার্টি তারা বিরোধিতার নামে সাংবিধানিক কাঠামোকে মানছে না। সংসদীয় গণতন্ত্র অনুযায়ী রাজ্য সরকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করা উচিত তারা তা না করে নিজেরাই এক প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তাদের মতো করে কথা বলে আসছেন। আসলে তারা রাজ্য সরকারকে হেয় করতে চাইছে। মানে রাজ্য সরকারকেন উপেক্ষা করে এই ব্যবস্থা করবার চেষ্টা করছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের যে ভূমিকা থাকা উচিত তারা সেটা না করে এধরনের কাজ করে রাজ্য সরকারকে হেয় করছে।”

সঙ্কীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে কাজ করছেন

“আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্কীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে কাজ করছেন। যেভাবে তিনি কোভিড নিয়ন্ত্রণ কিংবা আমফানের মতো পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন তা একজন দক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর মতোই করেছেন। তাঁর প্রতি মানুষের যে বিশ্বাস আছে সেই মতো রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে।” বলেন রথীন ঘোষ।

Published on: জুন ৭, ২০২০ @ ২১:১৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

69 + = 72