জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, স্বাগত জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ১১, ২০২৩ at ২৩:৫৩

এসপিটি নিউজ: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সহযোগিতা মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে 370 ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বহাল রাখার জন্য মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।

X প্ল্যাটফর্মে তার পোস্টে, শ্রী অমিত শাহ বলেছেন যে “আমি 370 ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বহাল রাখার জন্য ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। 5ই আগস্ট 2019-এ, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি অনুচ্ছেদটি বাতিল করার একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। 370. 370 অনুচ্ছেদ বাতিলের পর J&K-তে শান্তি ও স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। একসময় সহিংসতায় বিধ্বস্ত উপত্যকায় মানবজীবনে বৃদ্ধি ও উন্নয়ন নতুন অর্থ নিয়ে এসেছে। পর্যটন এবং কৃষি খাতে সমৃদ্ধি জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখ উভয়ের বাসিন্দাদের আয়ের মাত্রা বাড়িয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সাংবিধানিক ছিল।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে “370 ধারা বাতিলের পরে দরিদ্র এবং বঞ্চিতদের অধিকার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং পাথর নিক্ষেপ এখন অতীতের জিনিস। সমগ্র অঞ্চল এখন সুরেলা সঙ্গীত এবং সাংস্কৃতিক পর্যটনে প্রতিধ্বনিত। ঐক্যের বন্ধন সুদৃঢ় হয়েছে, এবং ভারতের সাথে অখণ্ডতা শক্তিশালী হয়েছে। এটা আবারও জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখ যা সবসময় আমাদের দেশের ছিল এবং থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জির নেতৃত্বে আমাদের সরকার জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং এই অঞ্চলের সর্বাত্মক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন প্রণোদনা দিয়ে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা হোক না কেন, অত্যাধুনিক শিক্ষার অবকাঠামো তৈরি করা হোক বা কল্যাণমূলক সুবিধা দিয়ে দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন করা হোক না কেন, আমরা এই অঞ্চলের জন্য আমাদের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে যাব।”

এই বিষয় নিয়ে আজ রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন-“অনুচ্ছেদ ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে খুশি নন নেহেরুর অনুগামীরা। খোদ নেহেরু উল্লেখ করে গিয়েছেন যে ধারা ৩৭০ অস্থায়ী। যারা আলছেন এটি স্থায়ী তারা আদতে সংবিধানকে অপমান করছেন। আশির দশক থেকে কাশ্মীরে জঙ্গী কার্যকলাপ শুরু হয়। নব্বইএর দশকে চরম সীমায় পৌঁছয়। বহু কাশ্মীরি হিন্দু, পন্ডিত, শিখ ভাই ঘাঁটি ছেড়ে দেশের বিভিন্ন অংশে আশ্রয় নেন।একটু খাওয়ার জন্য তারা ঘুরে বেড়াতে থাকেন। এদের সংখ্যাটা অল্প ছিল না। ৪৬,৬৩১ পরিবার রেজিস্টার হয়েছে। ১,৫৭,৯৬৭ – ২০১৯ সালের পর আমরা অনেক প্রচার করেছি। দেশের সমস্ত শহরে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করেছি। তাতে এত লোক রেজিস্টার হয়েছে। আমি আজ দেশের সমস্ত কাশ্মীরি পন্ডিতদের বলতে চাই যে নরেন্দ্র মোদি সরকার আপনাদের ন্যায় দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনারা কাশ্মীর সরকারকে লিখুন – যে কোনওভাবেই আপনাদের রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে। আপনি ভোটার হবেন, ভোটও লড়বেন। জম্মু-কাশ্মীরের ভিতরে আপনি মন্ত্রী হয়েই যেতে পারেন।”

“১৯৪৭, ৪৮ এ যুদ্ধ হয়েছে। ৩১,৭৭৯ পরিবার অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ভারতে এসেছে। এর মধ্যে ২৬, ৩১৯ পরিবার তৎকালীন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে বাস করতেন। বাকি ৫,৪৬০ পরিবার অন্য ভাগে বাস করতেন। ৬৫ ও ৭১ এর যুদ্ধে ১০,০৬৫ পরিবার চিহ্নিত হয়।’৬৫ সালের যুদ্ধে হয়েছে। ৪৭, ৬৫ ও ৭১ এর যুদ্ধে ৪১, ৮৪৪ পরিবার চিহ্নিত হয়েছে। এদের ব্যাপারে ভারত সরকার চিন্তাভাবনা করছে।”

“আগে জম্মুতে ৩৭ আসন ছিল এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৩। কাশ্মীরে ৪৬ আসন ছিল এখন সেটা এখন ৪৭ হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৮৩ আসন হয়েছে। এখন সেতা ৯০ আসন হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ২৪টি আসনও আসক্ষিত করা হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের ছিল আছে থাকবে। কেউ তা ছিনিয়ে নিতে পারবে না।” যোগ করেন অমিত শাহ।

এরপর তিনি জংগী কার্যকলাপ নিয়ে ইউপিএ সরকারের আমলের সঙ্গে বর্তমান মোদি সরকারের তুলনা টেনে বলেন –“২০০৪-২০১৪ সাল যখন সোনিয়া-মনমোহঞ্জির সরকার ছিল মোট জঙ্গি নাশকতার ঘটনা ৭২১৭টি , এখন তা মাত্র ২১৫৭ হয়েছে এই ১০ বছরে। নিরাপত্তা কর্মী মারা গিয়েছে ২৮২৯জন। ২০১৪ থেকে ৮৯১জন নাগরিক মারা গিয়েছে। আজ এক পতাকা, এক সংবিধান, এক প্রধানমন্ত্রী- ড. শ্যমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।”

Published on: ডিসে ১১, ২০২৩ at ২৩:৫৩


শেয়ার করুন