ARTICLE 370: উচ্ছ্বসিত TAFI-র চেয়ারম্যান- কাশ্মীর-লাদাখ নিয়ে জানালেন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা

দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

“৭০ বছর পর জম্মু ও কাশ্মীর আমাদের দেশের মধ্যে চলে এল।  এ সত্যি নিউ ইন্ডিয়া- যেখানে আমরা সবাই এক।”

“সারা ভারতে যে মোট পর্যটক তার ১০-১২ শতাংশ পর্যটক এবার এই জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বেড়াতে যাবে।”

“পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১০-১৫জন এজেন্ট নিয়ে যাব। ওখানে সব কিছু দেখে-শুনে একটা মৌ স্বাক্ষর করে আসব।”

আমদের ট্যাগ হবে ‘SWITZERLAND IN INDIA’

 সংবাদদাতা– অনিরুদ্ধ পাল

 Published on: আগ ৭, ২০১৯ @ ২২:০১

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৭ আগস্ট:  জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি। একই সঙ্গে তিনি মোদি সরকারের এক দেশ একই আইন এক পলাকার নীতিকেও সমর্থন করেছেন। দেশের মোদি সরকার দীর্ঘ ৭০ বছর বাদে জম্মু ও কাশ্মীরকে একেবারে ভারতের করতে সক্ষম হল এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে আলাদা লাদাখ কেন্দ্র শাসিত রাজ্য করার পদক্ষেপ নিল তা আগামিদিনে পর্যটন ব্যবসায় সুদূরপ্রসারী ফল দেবে বলেই মনে করছেন তিনি। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে টাফি’র চেয়রাম্যান হিসেবে তাঁর যে চমৎকার ভাবনা-চিন্তা আছে একান্ত সাক্ষাৎকারে সেটাও পরিষ্কার করে দিলেন অনিল পাঞ্জাবি।

এতদিনকার এত বড় সমস্যাকে কাটাতে একটু তো অপেক্ষা করতেই হবে

বুধবার টাফি’র চেয়ারম্যান অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রথমেই জানান-” এটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। ভাল পদক্ষেপ কেন্দ্রের।এত দিন মানুষ এই জায়গায় যেতে ভয় পেত। অনেকেই ঘুরতে যেত ঠিকই কিন্তু তারা সকলেই আতঙ্কের ভয় নিয়ে যেত- এই যদি কিছু হয়ে যায়।একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের কাশ্মীর সুইৎজারল্যান্ড থেকে ভাল। তবু মানুষ সেখানে যেতে কুণ্ঠা বোধ করতো। তাদের শুধু একটা প্রশ্নই তাড়া করে বেড়াতো যে -‘কি হবে’? এখন যেটা হল ৭০ বছর পর জম্মু ও কাশ্মীর আমাদের দেশের মধ্যে চলে এল।  এ সত্যি নিউ ইন্ডিয়া- যেখানে আমরা সবাই এক। আমরা সকলে্ই ভারতীয়।আমাদের সকলের এখন একটাই পতাকা হয়ে গেছে।ভাবুন তো একবার- এটা ভালো হল না!আমি তো বলবো এর চেয়ে ভালো আর হয় না। এই সেনা যারা আমাদের নিরাপত্তা দেয় তারাও এবার সেখানে একটা জমি কিনতে পারবে। এই যেটা হয়েছে দেখবেন আরও অনেক ভারতীয় সেনাতে যোগ দেবে। এটা মস্ত বড় সাফল্য দেশের। আমরা সকলেই এজন্য আজ গর্বিত। এটা ঠিক যে একটা সমস্যা হচ্ছে, অত বড় জিনিসকে এতদিনকার এত বড় সমস্যাকে কাটাতে একটু তো অপেক্ষা আমাদের করতেই হবে। এটা যেটা করছে সরকার তো ভালোই করছে।”

এখানেই থেমে থাকেননি টাফি’র চেয়ারম্যান। তিনি বলেন- “আপনাকে এই বিষয়ে আরও একটা দিক লক্ষ্য করতে হবে যে এখানে কেন্দ্র সরকার কিন্তু সাম্প্রদায়িক হচ্ছে না। তারা কিন্তু সকল সম্প্রদায়ের কথা ভেবেছে। তারা চাইছে একটা দেশে সবার জন্য একটাই আইন হোক, একটা পতাকা থাকুক।সব জাতি সব ধর্ম মিলেমিশে থাকুক-বিবিধের মাঝে দেখো মিলনও মহান।”

পর্যটনে নয়া দিশা পেতে চলেছে লাদাখ

টাফি’র চেয়ারম্যান নতুন হতে যাওয়া দুই পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নিয়ে শোনালেন তাঁর মতামত। তিনি বলেন-“একটা আলাদা কেন্দ্র শাসিত রাজ্য হয়ে যাওয়ায় এবার পর্যটনের মানচিত্রে কাশ্মীর ও লাদাখ কিন্তু আরও প্রসারিত হবে। আরও ব্যপ্তি ঘটবে। যা তাদের রাজস্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে। আমি তো এটাও দেখতে পাচ্ছি যে সারা ভারতে যে মোট পর্যটক তার ১০-১২ শতাংশ পর্যটক এবার এই জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বেড়াতে যাবে। সেই সঙ্গে দেখবেন যে সমস্ত বিদেশিরা এতদিন দিল্লি, রাজস্থান ঘুরে চলে যেত তারা এবার আর যাবে না। এবার তারা এখানে বেড়াতে চলে যাবে। কত রাজস্ব বাড়বে ভাবতে পারছেন।শুধু সময় দিতে হবে। এতে আমাদের দেশের রাজস্ব বাড়বে।পর্যটনের দুনিয়ায় ভারতের স্থান আরও উপরের দিকে চলে আসবে।”

কি সেই পরিকল্পনা- যা শোনালেন টাফি’র চেয়ারম্যান

জম্মু ও কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন নিয়ে টাফি যে অনেক কিছু ভেবে নিয়েছে এতদিন বাদে সেটা যে টাফি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাহায্য নিয়ে করতে চায় সে কথা কবুল করলেন পর্যটন বিশেষজ্ঞ টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ হয়ে যাওয়াকে তিনি যে স্বাগত জানিয়েছেন সেটা আরও একবার প্রকাশ করেন। বলেন- “এটা সত্যি খুব ভাল সিদ্ধান্ত। এর চেয়ে ভাল আর হতে পারে না। আমি তো ভাবছি পুজোর পর কয়েক মাস বাদে কাশ্মীর ট্যুরিজম বোর্ডকে একটা চিঠি লিখব। আমি একটা মিটিং করতে চাইছি ওখানে। যেখানে সেখানকার ট্রাভেল এজেন্ট এবং চেম্বার অব কমার্সের লোকজন ও কর্মকর্তারা থাকবেন।আমি নিজে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি দেখতে চাইছি যে কেমন আছে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১০-১৫জন এজেন্ট নিয়ে যাব। ওখানে সব কিছু দেখে-শুনে একটা মৌ স্বাক্ষর করে আসব। আমরা ওদের বলবো- তোমরা আমাদের স্পেশাল রেট দাও। হাউসবোটে কি দেবে এইসব আর কি। পুরো জিনিসটা টাই-আপ করে আসবো। সেই সঙ্গে আমি ওদেরও আমন্ত্রণ জানিয়ে আসব যে আপনারাও এখানে আসুন। বাংলাকে দেখুন। বাংলার সরকার সাহায্য করবে। আসুন থাকুন এখানে দেখুন। আমি সাইট সিন করাবো। ওই যে কথায় আছে না ‘পহেলে দর্শনধারী বাদ মে গুন বিচারি।’ অর্থাৎ ওরা আগে দেখে যাবে পরে আমরা সেটাই বিক্রি করব। আমি গিয়ে দেখে আসি। টাই আপ করে আসি। মৌ-সাক্ষর করে আসি। স্পেশাল ডিল করে আসি। কিছু এয়ারলাইনের সঙ্গে কথা বলছি যে তোমরা স্পেশাল ফ্লাইট ডিল করো। আমি ভাবছি সামনের বছর মার্চ -এপ্রিলে ওখানে যেতে । আমদের ট্যাগ হবে ‘SWITZERLAND IN INDIA’। আমি এটাও দেখতে পাচ্ছি যে কয়েক মাসের মধ্যে কলকাতা-কাশ্মীর সরাসরি উড়ান চালু হয়ে যাবে।”

 Published on: আগ ৭, ২০১৯ @ ২২:০১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

31 + = 38