Published on: মার্চ ৪, ২০১৯ @ ২০:৩৫
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় বায়ুসেনার সার্জিক্যাল এয়ার স্ট্রাইকে বালাকোটে জৈশের সেই ঘাঁটিতে তবে কি ২৮০জনের মতো জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে? ইতিমধ্যে কিন্তু এর সত্যতা সামনে চলে এসেছে। যা এই মুহূর্তে সব চেয়ে বড় খবর। যদিও পাকিস্তান কিন্তু এই খবরের সত্যতা নিয়ে বেশি কিছু আর বলছে না। কিন্তু আমাদের দেশের পাকিস্তানের কিছু এজেন্ট রয়েছে যারা দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। তারাই কিন্তু প্রশ্ন তুলে আমাদের ভারতীয় বায়ুসেনার দক্ষতাকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছে। তারা সমানে বলে চলেছে- এয়ার স্ট্রাইকে ঠিক কতজন মারা গেছে, সেই সংখ্যাটা সরকার জানাক?
সরকার কিন্তু চুপ করে বসে নেই। কারণ তারা ভাল মতোই জানে এটা নিয়ে চুপ করে থাকলে একদিকে যেমন দেশের সেনাদের মান্সিক মনোবলে আঘাত লাগতে পারে ঠিক তেমনই এটি শত্রু পাকিস্তানকে উৎসাহ যোগাবে। তাই এটি নিয়ে সমানে প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকার। ইতিমধ্যে একটি সাঙ্ঘাতিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে যা ২৬শে ফেব্রুয়ারি বালাকোটে সার্জিক্যাল এয়ার স্ট্রাইকের সময় জৈশের জঙ্গি ঘাঁটিতে ২৮০জন জঙ্গির মারা যাওয়ার বড় প্রমাণ হাতে এসেছে।
এক ন্যশনাল নিউজ মিডিয়ার দেওয়া খবরের সূত্র ধরে জানা গেছে, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (NTRO) -এর সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে সামনে এসেছে যে সময় সেখানে এয়ার স্ট্রাইক হয়ে অর্থাৎ ভারতীয় বায়ুসেনা সেখানে হানা দেয় তখন সেখানে মোট ২৮০টি মোবাইল ফোন সচল ছিল। এ থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে সেখানে সেই মুহূর্তে ২৮০জনের মতো জঙ্গি মজুত ছিল।
ওই সূত্র অনুসারে আরও জানা গেছে, ২৬শে ফেব্রুয়ারি বালাকোটে রাত তিনটে ১৫ মিনিট নাগাদ যখন বায়ুসেনার দল সেখানে হানা দিয়েছিল সেখানে ২৮০টিরও বেশি মোবাইল সেই জঙ্গি ঘাঁটিতে সচল থাকার খবর ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সকে দিয়েছিল NTRO। একই সঙ্গে এই খবর বায়ুসেনাকে নিশ্চিত করেছিল RAW. গোয়েন্দা সংস্থাটি স্যাটেলাইট-এর সাহায্যে ওই জঙ্গি ঘাঁটিতে কতজন জঙ্গি হাজির ছিল সেটাও জানিয়েছিল।
এই সংবাদ পাওয়ার পরই ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ যুদ্ধবিমান বালাকোটে জৈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক অপারেশন করে। বায়ুসেনার এই মিশন পুরোপুরি সফল হয়। যখন ভারতের মিরাজ যুদ্ধবিমান জৈশের জঙ্গি ঘাঁটি খতম করার অভিযান চালাচ্ছে তখন পাকিস্তান তা জানতে পারেনি। পরে যখন তাদের কাছে এই খবরটি পৌঁছয় তখন তারা বৌখলা যায়। এরপর তারা ভারতীয় সীমার ভিতর ঢুকে হামলা চালায়। যদিও ভারতীয় বায়ুসেনা এর মোক্ষম জবাব দেয়। যেখানে তাদের F-16 যুদ্ধবিমান মেরে নামানো হয়।
আপনাদের জেনে রাখা ভাল আপনারা অনেকেই সেটা জানেনও ভারতের কিছু রাজনৈতিক দল বায়ুসেনার এই এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে মোদি সরকারকে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছেন। তারা বারেবারে প্রশ্ন তুলছেন- এই অভিযানে ঠিক কতজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে? সেটা জানানো হোক? আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে জৈশের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই মৌলনা অম্মর কিন্তু এক অডিও মারফত ভারতের এই এয়ার স্ট্রাইকের সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং সেই ঘাঁটিতে যদিও তার কথায় তাদের সেই স্কুলে অনেকের প্রাণ গেছে বলেও জানিয়েছেন।ইতিমধ্যে সেখা্ন থেকে নাকি ৩৫জনের মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। এত সব হওয়ার পরেও কিন্তু দমছে না আমাদের দেশের কিছু রাজনৈতিক দল। তারা বারেবারেই প্রশ্ন তুলছে আর জানতে চাইছে- সেদিনের এয়ার স্ট্রাইকে ঠিক কতজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে?
এরই মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনা কিন্তু আজ ফের পাকিস্তানের এক প্রয়াসকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। এদিন ভারতীয় সীমায় পাকিস্তানের একটি ড্রোন রাজস্থানের সীমানায় ঢুকে পড়তেই সেটিকে তৎক্ষনাৎ উড়িয়ে দেওয়া হয়।
Published on: মার্চ ৪, ২০১৯ @ ২০:৩৫