বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মধ্যমগ্রাম তৃণমূলের দখলেই রইল, বামেরাও পেল চারটি

Main পুরভোট২০২২ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২, ২০২২ @ ২১:৪৮
Reporter:Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, মধ্যমগ্রাম, ২ মার্চ:   মধ্যমগ্রাম পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই থাকল।২৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ২৪টি। একেবারে নিরাশ হয়নি বামেরা। তারাও পেয়েছে চারটি আসন। তবে সব কিছু ছাপিয়ে গেছে মধ্যমগ্রামের সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ। যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের পছন্দের দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছে। মধ্যমগ্রামের রূপকার প্রাক্তন পুরপ্রধান বর্তমানে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সৌহার্দ্যের পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিলেন, সেই নিরীখেই এক শান্তির ভোট হয়েছে মধ্যমগ্রামে।

মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রশাসক নিমাই ঘোষ যিনি এবার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রত্যাশিত মতোই তিনি গঙ্গানগরের মানুষের ভালবাসা নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম বিজেপি প্রার্থীকে ৩,৮৫০ ভোটে পরাজিত করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৪,১৭৫টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৩২৫টি ভোট। ২০০৪ সাল থেকে নিমাই ঘোষ এই এলাকা থেকে জয়ী হয়ে আসছেন। কাজের মানুষ কাছের মানুষ হিসেবেই তাঁকে সকলে চেনেন। রথীন ঘোষ যখন পুরপ্রধান ছিলেন সেই সময় একবার তিনি উপ-পুরপ্রধান ছিলেন। পরবর্তী সময়ে এই পুরভোটের আগে তাঁকেই মধ্যমগ্রামের পুরপ্রশাসক নিযুক্ত করা হয়েছিল।

মধ্যমগ্রাম পুরসভাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে গেছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এবার খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনিই দীর্ঘদিন পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। আজকের নয়া মধ্যমগ্রামের উন্নয়নের রূপরেখা তিনিই করেছেন।বাম আমল থেকে রথীন ঘোষ মধ্যমগ্রামকে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রাখতে সফল হয়েছেন। বামেদের সুসময়েও তিনি মধ্যমগ্রামকে তৃণমূলের হাত ছাড়া করতে দেননি। দলনেত্রী বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে তিনি মধ্যমগ্রামের উন্নয়নের রথকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আজকের জয় তারই কর্মফল।

সমস্ত দলকে এক সঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করে গেছেন রথীন ঘোষ। আজ সেটাই এগিয়ে চলেছেন নিমাই ঘোষ, সুভাষ ব্যানার্জি, অরবিন্দ মিত্ররা। নিমাই ঘোষ সেকথাই বলছিলেন- ভোটের দিন তিনি নিজে তাঁর ওয়ার্ডে বিরোধী দলের প্রার্থীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন আড্ডা মেরেছেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হতেই পারে কিন্তু তাই বলে তা কখনোই উন্নয়নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আর সেটাই হয়ে আসছে মধ্যমগ্রামে, যা আজ মডেল হতে চলেছে। হয়তো ২৮-০ শূন্য হয়নি, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো এসেছে। পাশাপাশি বিরোধীরা তো চারটে আসন পেয়েছে তাতে তো প্রমাণ হয়েছে সুষ্ঠু আর অবাধ নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে মধ্যমগ্রামে।

মধ্যমগ্রামে ২৮ টি ওয়ার্ডে জয়ী প্রার্থীরা হলেন- মহম্মদ নজরুল ইসলাম(ওয়ার্ড নং ১-তৃণমূল), মাসতুরা সাহানি(২-তৃণমূল), জুম্মান আলি(৩-তৃণমূল), মমতা রায় সেন(৪-তৃণমূল), গোপাল চন্দ্র ঘোষ(৫-তৃণমূল), কণিকা দেবনাথ(৬-তৃণমূল), পঙ্কজ কান্তি চন্দ(৭-তৃণমূল), সুভাষ চন্দ্র ব্যানার্জি(৮-তৃণমূল), সুমিতা ঘোষ(৯-তৃণমূল), অরবিন্দ মিত্র(১০-তৃণমূল), অন্তরা মজুমদার(১১-ফরোয়ার্ড ব্লক), পিঙ্কি ঘোষ(১২-তৃণমূল), প্রিয়াঙ্কা মল্লিক(১৩-ফব), সুশান্ত রায়(১৪-তৃণমূল), কিশোর কুমার রায় (১৫-তৃণমূল), রাধারানী দত্ত(১৬-তৃণমূল), সুব্রত দাস(১৭-তৃণমূল), প্রহ্লাদ কুমার দত্ত(১৮-তৃণমূল), অলোক সাহা(১৯-সিপিআইএম), বৈশালী ব্যানার্জী(২০-সিপিআইএম), কৃষ্ণা সেনগুপ্ত(২১-তৃণমূল), সঞ্জয় মন্ডল(২২-তৃণমূল), প্রকাশ রাহা(২৩-তৃণমূল), সুতপা ব্যানার্জী(২৪-তৃণমূল), সুকুমার মন্ডল(২৫-তৃণমূল), নিমাই চন্দ্র ঘোষ (২৬-তৃণমূল), অনিতা মুখার্জি(২৭-তৃণমূল), অরূপ কুমার ঘোষ(২৮-তৃণমূল)

ছবিঃ মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী নিমাই ঘোষ জয়ের শংসাপত্র গ্রহণ করছেন। পাশে সমর্থকদের সঙ্গে।

Published on: মার্চ ২, ২০২২ @ ২১:৪৮


শেয়ার করুন