এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ রেলে ভ্রমণের সময় এক মহিলার প্রসব বেদনা ওঠে। আর তখনই রেল স্টেশনেই শনিবার সন্ধ্যায় শিশু সন্তানের জন্ম দেন।ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে রেল স্টেশনে।সংবাদ সংস্থা এএনআই এই খবর দিয়েছে।
সদ্যোজাতের মায়ের নাম ইশরাত শেখ। তিনি এদিন ট্রেনে চেপে অ্যম্বিভ্যালি থেকে কুরলা ভ্রমণ করছিলেন। তিনি যখন থানে রেল স্টেশনে সেইসময় তাঁর প্রসব বেদনা ওঠে। খবর পেয়ে রেলোয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ-এর মহিলা কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে আসেন। তাঁরাই প্রসব বেদনা ওঠা মহিলার পাশে দাঁড়ান। তাঁকে সাহায্য করেন। নিয়ে যান “ওয়ান রুপি ক্লিনিকে”। সেখানেই সঠিকভাবেই সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ইশরাত শিশু সন্তানের জন্ম দেন।
“ওয়ান রুপি ক্লিনিকে”র সিইও রাহুল ঘুলে জানান, মা ও শিশু উভয়েই এখন সুস্থ আছে।
“ওয়ান রুপি ক্লিনিক” কি?
২০১৭ সালেই সাধারণ মানুষের দ্রুত ও প্রায় বিনা মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য রেলের বেশ কয়েকটি স্টেশনে ‘ম্যাজিকডিল’ এই “ওয়ান রুপি” ক্লিনিক খোলে। সেখানে রেল তাদের এমারজেন্সি মেডিক্যাল রুম দিয়েছে। এই ক্লিনিক ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। রেলে সফরকারী যে কোনও মানুষ কোনওরকম অসুস্থ হলেই এই “ওয়ান রুপি” ক্লিনিকে এসে চিকিৎসা করাতে পারেন। যা “গোল্ডেন আওয়ার ট্রিটমেন্ট” বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রথমে দাদার, কুরলা, ওয়াদালা, মুলুন্দ এবং ঘাটকোপর স্টেশনে এই পরিষবা চালু হয়। পরে তা আরও বাড়ানো হয়েছে।এখানে ৩ থেকে ৪জন এমবিবিএস ডাক্তার থাকে সব সময়। এখানে ইসিজি মেশিন, অ্যাম্বু ব্যাগস, পালস-অক্সিমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে।
ঘুয়েল আরও বলেন, “যাত্রীদের সোনার ঘন্টা চিকিৎসার জন্য বহু রেল স্টেশনগুলিতে “ওয়ান রুপি” ক্লিনিকের মাধ্যমে এমারজেন্সি মেডিক্যাল রুম বা ইএমআর চালানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।”